ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

চঞ্চল খানের ‘মহারাজ’ সঙ্গীত সঙ্কলনের প্রকাশনা

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

চঞ্চল খানের ‘মহারাজ’ সঙ্গীত সঙ্কলনের প্রকাশনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেম, প্রকৃতি ও পূজা পর্বের গানে সাজানো এ্যালবাম ‘মহারাজ’। কবিগুরুর ভাবনার আলোকে এই মহারাজ কখনও ঈশ্বর, কখনও বা প্রকৃতি ও প্রেম ও জীবনের প্রতীক। কবিগুরুর সেই ভাবনার আলোকে সঙ্গীত সংকলনটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ও গবেষক চঞ্চল খান। শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের চ্যানেল আই ভবনে এ এ্যালবামের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সন্ধ্যায় ‘মহারাজ’ এ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র গবেষক ও ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও গবেষক মফিদুল হক এবং রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সাদী মুহম্মদ। ‘মহারাজ’ অডিও এ্যালবামটি প্রকাশ করেছে ইমপ্রেস অডিও ভিশন লিমিটেড। এ্যালবামে গান রয়েছে ১০টি। কলকাতার জেএমডি স্টুডিওতে ধারণ করা হয়েছে গানগুলো। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন খ্যতিমান সঙ্গীতজ্ঞ রাহুল চট্টোপাধ্যায়। আহমদ রফিক বলেন, চঞ্চল খান শুধু রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী নন, রবীন্দ্রগবেষক। তার কণ্ঠ অত্যন্ত সুমিষ্ট। রবীন্দ্রনাথের ভাব ও দর্শন বুঝে তিনি গান করেন। তার গান আমাকে সতত অনুপ্রাণিত করে। আসাদুজ্জামান নূর বলেন, চঞ্চল খানের গানের গায়কী ভিন্নমাত্রিক। তার কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের গান আমার খুব প্রিয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মহারাজ ভাবনাকে তিনি নতুন এ্যালবামে প্রকাশ করেছেন। প্রকৃতপক্ষে আমাদের জীবনে রবীন্দ্রনাথই স্বয়ং মহারাজ। মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ মহারাজের ভূমিকা পালন করেছেন। তার গান আমাদের সব সময়ই অনুপ্রাণিত করে। সেলিনা হোসেন বলেন, চঞ্চল খান শুধু গুণী শিল্পী নন, সাংস্কৃতিক সংগঠকও। দেশে ও বিদেশে তিনি বাঙালী সংস্কৃতি তুলে ধরেছেন। সাংস্কৃতিক আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ নানা কর্মকা-েও তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। মফিদুল হক বলেন, চঞ্চল খান আমার প্রীতিভাষণ মানুষ ও শিল্পী। তার স্বতন্ত্র গায়কী রবীন্দ্রসঙ্গীতে নতুন মাত্রা দিয়েছে। সাংস্কৃতিক আন্দোলনেও তাকে আমরা পেয়েছি, পেয়েছি ছায়ানটের অনেক কাজেও। অনুভূতি প্রকাশ করে চঞ্চল খান বলেন, চার দশক ধরে রবীন্দ্রসঙ্গীতের সঙ্গে আমার আত্মার বন্ধন। রবীন্দ্রনাথকে গভীরভাবে পাওয়াই আমার বড় পাওয়া। গান করতে গিয়ে তার দর্শন জানছি, অসংখ্যবার পড়ছি তার বহুমাত্রিক রচনা। অনুবাদ করছি, রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টি ও কর্ম নিয়ে গবেষণা করছি। যতদিন বাঁচব, রবীন্দ্রনাথকে নিয়েই থাকব। এ্যালবামের গানগুলো হলোÑ ‘পথিক পরান চল, চল, সে পথে তুই’, ‘রাখো রাখো রে জীবনে জীবনবল্লভে’, ‘আরো একটু বসো তুমি আরো একটু বলো’, ‘লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ, প্রাণেশ হে’, ‘তুমি এপার ওপার করো কে গো ওগো খেয়ার নেয়ে’, ‘আমার মন কেমন করে’, ‘আমার মিলন লাগি তুমি’, ‘মহারাজ, একি সাজে এলে হৃদয়পুরমাঝে’, ‘মনে হল যেন পেরিয়ে এলেন অন্তবিহীন পথ’ ও ‘মনো মন্দির সুন্দরী’। স্বর্ণময় চক্রবর্তীর মাধুর্যময় উচ্চাঙ্গসঙ্গীত পরিবেশনা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সুর, তাল ও লয়ের খেলায় শ্রোতাদের মুগ্ধ করলেন প-িত স্বর্ণময় চক্রবর্তী। উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের এই তরুণ শিল্পী কণ্ঠ মাধুর্যে দেশের গ-ি পেরিয়ে জয় করেছেন ভারতের শ্রোতার অন্তর। তার স্বীকৃতি হিসেবে ভারতের বেশকিছু পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। শনিবার এই শিল্পীর শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আসর বসেছিল জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে। ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের প্রেস এ্যাটাশে রঞ্জন ম-ল। স্বর্ণময় রাগ মারওয়া দিয়ে শুরু করেন। বিলম্বিত একতাল দিয়ে শুরু করেন শেষ করেন মধ্য ত্রিতাল দিয়ে। এরপরে ভুপাল রাগ দিয়ে শুরু করেন তিনি। পরে পাহাড়ি ঠুমরি দিয়ে শেষ করেন সুরযাত্রা। কণ্ঠশীলনের সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজনটি ছিল সনদপত্র প্রদানের। সঙ্গে ছিল আবৃত্তি পরিবেশনা। আবৃত্তি সংগঠন কণ্ঠশীলনের ৮৬ থেকে ৮৮ আবর্তনে যারা উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাদের সনদপত্র দেয়া হয়। শনিবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি মিলনায়তনে এই আয়োজন হয়। অনুষ্ঠানে প্রদায়ক গুণী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিজন রামেন্দু মজুমদার। অনুষ্ঠানে রামেন্দু মজুমদার ছাড়াও বক্তব্য দেন কণ্ঠশীলনের সাধারণ সম্পাদক ফওজিয়া মান্নান এবং অনুষ্ঠানের সভাপতি আলতাফ হোসেন। দ্বিতীয় পর্বে নজরুল ও রবীন্দ্রনাথের রচনা নিয়ে ছিল দুটি দলীয় পরিবেশনা। এ সময়ে ধর্মে ধর্মে বিভেদের যে দেয়াল উঠেছে, তা নিয়েই নজরুল ও রবীন্দ্রনাথের ভাবনার প্রকাশ ঘটেছে এই দুই পরিবেশনায়। চিত্রকর্ম প্রদর্শনী ও গ্রীন গ্যালারির উদ্বোধন রাজধানীতে গড়ে উঠল নতুন প্রদর্শনালয়। শনিবার বনানীতে স্টুডিও গ্রীন গ্যালারি নামের এ প্রদর্শনালয়ের উদ্বোধন হয়। ‘ফার্স্ট রেট-ফোর’ শীর্ষক প্রদর্শনীর চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর মাধ্যমে এ গ্যালারির যাত্রা শুরু হলো। মানাসের উদ্যোগে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে গ্রীন গ্যালারি। শনিবার বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে একইসঙ্গে প্রদর্শনী ও গ্যালারির উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক চিত্রশিল্পী আবুল বারক্্ আলভী। এছাড়াও অনুষ্ঠানে চিত্রশিল্পীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। শিল্পকলায় ছড়াগানের কর্মশালা দিনভর অনুষ্ঠিত হলো ছড়াগানের কর্মশালা। সংস্কৃতি মঞ্চ আয়োজিত এ কর্মশালায় অংশ নিচ্ছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সদস্যসহ ২৫০ শিক্ষার্থী। শনিবার সকালে শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা ভবনের নিচতলা মহড়া কক্ষে এ কর্মশালার সূচনা হয়। ছড়াগান শেখার এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কর্মশালার প্রধান প্রশিক্ষক সুরকার সুজেয় শ্যাম। সকাল থেকে বিকেল অবধি চলা এ কর্মশালায় শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন কণ্ঠশিল্পী ফাতেমা তুজ জোহরা, লীনা তাপসী, মাহমুদ সেলিম, আবদুল ওয়াদুদ, সোহানা আহমেদ ও সেলিম রেজা। বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষার্থীদের সনদপত্র প্রদান করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক কামাল লোহানী। ফুড ফেস্টিভ্যাল ‘সেরা স্বাদে জয়’ ভোজনরসিক বাঙালীর খাদ্যাভাসের সঙ্গে মিশে আছে আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। রকমারি সব খাবারের আয়োজন হয় এই ভূ-খ-ে। তেমন কিছু বাঙালী খাবার নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ফুড ফেস্টিভ্যাল ও প্রতিযোগিতা। ‘সেরা স্বাদে জয়’ শীর্ষক আয়োজনটি করে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সবুজ চত্বরে এই ফুড ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন উপলক্ষে পর্যটন কর্পোরেশনের সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন পর্যটন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এনএইচটিটিআইয়ের শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান কবির। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আকিজ ফুড এন্ড বেভারেজ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক নজর-ই-জিলানী। উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী বিভিন্ন খাবারের স্টল ঘুরে দেখেন এবং প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করেন । আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বাংলাদেশ একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশ। বিদেশী পর্যটকরা শুধু আমাদের বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজার ও সুন্দরবন দেখতেই এদেশে আসেন না। তারা আমাদের জীবনধারা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িত পর্যটনকেন্দ্রে ভ্রমণ করতে বেশি আকর্ষণবোধ করেন। দেশে-বিদেশে আমাদের রন্ধনশিল্পের বেশ সুনাম রয়েছে। বিদেশে যেসব ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টের সুনাম ও খ্যাতি রয়েছে, তার বেশিরভাগই বাংলাদেশের। এটিকে বাংলাদেশে আরও বেশি হারে পর্যটক আকর্ষণের হাতিয়ার হিসেবে আমরা ব্যবহার করতে পারি। গহীন বালুচর ছবির অডিও এ্যালবামের প্রকাশনা আগামী ২০ অক্টোবর মুক্তি পাচ্ছে সরকারী অনুদানের চলচ্চিত্র ‘গহীন বালুচর’। ছবির চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনা করেছেন বদরুল আনাম সৌদ। ইতোমধ্যেই তৈরি হয়েছে চলচ্চিত্রটির গান। সেসব গান নিয়ে চলচ্চিত্রটির অডিও এ্যালবাম প্রকাশ করেছে জি সিরিজ। চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে সাতকাহন ও ফ্রেন্ডস মুভিজ ইন্টারন্যাশনাল। পরিবেশনায় রয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। শনিবার রাজধানীর একটি রেস্তরাঁয় এ অডিও এ্যালবামের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক বদরুল আনাম সৌদ, চলচ্চিত্রটির অভিনয়শিল্পী সুবর্ণা মুস্তাফা, তানভীর, নীলা ও মুন, জি সিরিজের স্বত্বাধিকারী নজমুল হক ভূঁইয়া খালেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্রের গায়ক-গায়িকারা। চলচ্চিত্রটির গান সম্পর্কে সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, গহীন বালুচরের প্রতি গান গল্পকে এগিয়ে নিয়ে যায়। গানে গল্পে থেমে থাকে না একটুও। ছবির যেখানে গানগুলো আছে, সেখানে গান না থাকলে নতুন সিকোয়েন্স দিতে হতো। তা না হলে ছবির গল্প এগুবে না। প্রকাশনা উৎসবে জানানো হয়, চলচ্চিত্রটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন ইমন সাহা। মোট পাঁচটি গান রয়েছে। এগুলো হলোÑ ‘তারে দেখি আমি রোদ্দুরে’, ‘তাতা থৈ তাথৈ তাথৈ’, ‘ভালোবাসায় বুক ভাসাইয়া’, ‘ঝড়ের মধ্যে পইড়া গেছে নাও’ এবং ‘চর জেগেছে’। গানগুলোয় কণ্ঠ দিয়েছেন বাপ্পা মজুমদার, দিনাত জাহান মুন্নি, ফজলুর রহমান বাবু, লিজা, চন্দন সিনহা, ফাহিমা নাসরিন, ঐশী, সাব্বির, মনির ও জয়িতা। অজিত কুমার গুহ স্মারক বক্তৃতা শনিবার বিকেলে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে ভাষাসংগ্রামী অজিতকুমার গুহ স্মারক বক্তৃতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অজিতকুমার গুহ এবং পূর্ববাংলার সাংস্কৃতিক জাগরণ শীর্ষক বক্তৃতা করেন প্রাবন্ধিক ও গবেষক মফিদুল হক। স্বাগত ভাষণ দেন বাংলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। সভাপতিত্ব করেন একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, কবি কাজী রোজী, কবি মুহাম্মদ সামাদ প্রমুখ। একক বক্তৃতায় মফিদুল হক বলেন, ছাত্রদের প্রতি পরম যতœবান শিক্ষক অজিতকুমার গুহ নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনও বড় করে দেখেননি। তার রচনার পরিমাণ সংখ্যাগত বিচারে অপ্রতুল হলেও বাংলা সাহিত্য-সমালোচনায় উচ্চমানের পরিচয়বহ। পূর্ববাংলার সাংস্কৃতিক জাগরণের পুরোধা ব্যক্তিত্ব হিসেবে আমরা তাকে অনায়াসে চিহ্নিত করতে পারি। মহান ভাষা আন্দোলনে তিনি যে অনন্য ভূমিকা পালন করেছিলেন, কারাবরণ করেছেনÑ তা তার জীবনের কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং যুগপৎ কোমল ও সংগ্রামী সত্তারই স্মারক। তিনি বলেন, অজিতকুমার গুহ বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণের দিশা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ-সংগ্রামের সাংস্কৃতিক পটভূমি নির্মাণে যে অবিস্মরণীয় অবদান রেখে গেছেন তা কখনও বিস্মৃত হওয়ার নয়। সভাপতির বক্তব্যে আনিসুজ্জামান বলেন, বিদ্যাদানের বাইরেও অজিতকুমার গুহ তার অজ¯্র শিক্ষার্থীকে রুচিমান হতে শিখিয়েছিলেন, নিজের ভাষা ও সংস্কৃতিকে ভালবাসতে শিখিয়েছিলেন। মানুষের জীবন গ্লানিমুক্ত হোক, ভাষা তার স্বাভাবিক স্থান অধিকার করুক, গড়ে উঠুক সুস্থ সাহিত্য, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প থেকে দেশ অব্যাহতি লাভ করুকÑ এই ছিল অজিতকুমার গুহের কামনা।
×