ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে কারসাজি করে ত্রাণেরলাখ লাখ টাকা আত্মসাত

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

কুড়িগ্রামে কারসাজি করে ত্রাণেরলাখ লাখ টাকা আত্মসাত

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম, ১৬ সেপ্টেম্বর ॥ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণের লাখ লাখ টাকা প্রতারণা করে আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে একটি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। ত্রাণের টাকা আত্মসাত করার পর থেকে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের কর্মকর্তাসহ সাবেক ইউপি সদস্য আত্মগোপন করেছেন। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। কুড়িগ্রামে ২য় দফা বন্যায় ৬২ ইউনিয়নের ৫ লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন। এর মধ্যে নদ-নদীর ভাঙ্গনে গৃহহীন হয়েছে সাড়ে চার হাজার পরিবার। সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ছাড়াও অনেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে অর্থ কিংবা ত্রাণ সহায়তা নিয়ে। ত্রাণ সহায়তা হিসেবে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুক্তাদির চৌধুরী জেলার ভিটামাটি হারা ৫১ পরিবারকে দুই ক্যাটাগরিতে ৩০ লাখ টাকা বিতরণ করেন বলে বিশ^স্ত সূত্রে জানা যায়। গত শনিবার ঘরবাড়ি মেরামতসহ মাসের খাদ্য সহায়তা হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির প্রচারণাবিমুখ ব্যবস্থাপনা পরিচালক দুস্থ পরিবারকে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা দেন রংপুর অফিসে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটি সিন্ডিকেট প্র্রতারণা করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতারণার শিকার যারা উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের কুমারপাড়ার সৈয়দ আলীর স্ত্রী কাঞ্চনমালা (৩৮), ধনারবি দাসের স্ত্রী মালতি রবিদাস (৪০), নেছাব উদ্দিনের স্ত্রী আজিরন বেগম (৫২), মহিলা বেগম (৪৫), কদমতলা গ্রামের ভগলু হোসেনের ছেলে আবুল হোসেন (৪৮), মৃত রাজেনের স্ত্রী স্বরবালা (৪৫), আবিরউদ্দিনের স্ত্রী ছবিরন নেছা (৫০), অনন্তপুরঘাটে অন্যের বাড়িতে আশ্রিত কফুল্লা আলী (৭০), অন্যের জমিতে আশ্রিত পালপাড়ার মৃত মোহনের স্ত্রী ভিক্ষুক ছবিতা রাণী দাস (৫২), তাঁতিপাড়ার মৃত কানুর স্ত্রী বৃন্দেশ^রীসহ ১০ দরিদ্র পরিবারের সদস্য। প্রতারণার শিকার বৃদ্ধ কফুল্লা আলী জানান, এবারের বন্যায় চরের মধ্যে হামার বাড়িঘর সব ভেসে গেছে। ঘাটের কাছে মানুষের ছাপড়া ঘরে কোন রকম দিন কাটাচ্ছি। শনিবার সকালে সাহেব আলী রংপুর নিয়ে যায়। সেখানে বানভাসিদের সঙ্গে আমাকে একটি খামে বেশ কিছু টাকা দেয়। আমরা দশজন টাকা নিয়ে আসার সময় সাহেব আলী সবার কাছ থেকে খাম নিয়া একটা খাম ছিঁড়ে তিন হাজার করি টাকা দেয়। বাকি খামগুলা ব্যাগের মধ্যে রেখে দেয় বলে জানান এই বৃদ্ধ।
×