ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাষ্ট্রের কোন অঙ্গের অন্য অঙ্গের বিষয়ে কটাক্ষ কাম্য নয় ॥ স্পীকার

প্রকাশিত: ০৮:১৯, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

রাষ্ট্রের কোন অঙ্গের অন্য অঙ্গের বিষয়ে কটাক্ষ কাম্য নয় ॥ স্পীকার

সংসদ রিপোর্টার ॥ সংবিধানে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেয়া রায় নিয়ে নিজ অবস্থান তুলে ধরে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, রাষ্ট্রের কোন একটি অঙ্গ কর্তৃক অন্য অঙ্গের বিষয়ে কটাক্ষ করা কাম্য নয়। একইভাবে একটা বিভাগের আরেক বিভাগের প্রতি অসম্মান করা গণতন্ত্রের জন্য ধ্বংসাত্মক। বৃৃহস্পতিবার রাতে দশম জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণার আগে তিনি এ বক্তব্য তুলে ধরেন । স্পীকার বলেন, সংসদ স্বাধীন ও সার্বভৌম। সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের আলোকে বিচারক অপসারণের বিধান, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুুণœ করে না, বরং অধিকতর সুসংহত করে। ৯৬ অনুচ্ছেদ বিশ্লেষণ করলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিচারপতিদের অসৎ আচরণ বা অসামর্থ্যরে বিষয়ে তদন্ত ও প্রমাণ থাকতে হবে। তদন্তে প্রমাণিত হলে প্রস্তাব সম্পর্কিত পদ্ধতি এবং বিচারকের অসৎ আচরণ সম্পর্কিত তদন্ত ও প্রমাণের পদ্ধতি সংসদ আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। এক্ষেত্রে সংসদের মোট সদস্যের কমপক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সমর্থন প্রয়োজন। এসব উপাদান সমন্বয়ের মাধ্যমেই কেবল জাতীয় সংসদ কর্তৃক ৯৬ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করা যাবে। সে কারণে সংসদ কর্তৃক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ৯৬ অনুচ্ছেদের ব্যবহার সম্ভব নয়। স্পীকার আরও বলেন, অপরদিকে সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিলে বিচারক অপসারণের ক্ষমতা কেবলমাত্র তিন বিচারকের ওপর ন্যস্ত রয়েছে। এক্ষেত্রে বিচারকের ভাগ্য তিন ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল। তারা হলেন প্রধান বিচারপতি ও অপর দুইজন সিনিয়র বিচারপতি। সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিলে তিন ব্যক্তির ওপর ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করা হয়েছে এবং তার প্রবণতাও দেখা যায়। স্পীকার আরও বলেন, ১৯৭২ সালের সংবিধানে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের ওপর ন্যস্ত করা হয়। এর অর্থ হচ্ছে যদি প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় তাহলে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এই ক্ষমতা স্বাধীনভাবে ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে প্রায়োগ করবে।
×