ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফ্যাশন শোর নতুন ধারা

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ফ্যাশন শোর নতুন ধারা

ফ্যাশন ব্যাপারটা উপর মহলের মানুষদের জন্য, খেটে খাওয়া মানুষদের সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই এটা ভাবলে কিন্তু ভুল হবে। প্রথমত পশ্চিমা দুনিয়ায় তথাকথিত ‘ওয়ার্কিং ক্লাস’ বিত্তশালী না হলেও, সচ্ছল তারাও ফ্যাশনেবল জামাকাপড় কিনতে পছন্দ করে। কাজেই গার্মেন্টস বেচারুলো-কস্ট চেন আউটলেটগুলোয় জাম্পসুট, হাফহাতা শার্ট বা কার্গো প্যান্ট বিক্রি হয় ঠিক হাই ফ্যাশনের মতোই। জীবন, মানে হালে যাকে লাইফস্টাইল বলা হয়। আজকের দুনিয়ায় আসল ট্রেন্ড হচ্ছে হেল্থ। সুস্থ থাকা, নিয়মিত দৌড়ঝাঁপ করা, খাওয়া-দাওয়ার দিকে আর ওজনের উপর নজর রাখা। কাজেই এ্যাক্টিভওয়্যার এখন জিম ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছে, ফ্যাশন ডিজাইনাররা সিন্থেটিক ম্যাটেরিয়েলের তৈরি শর্টস, লেগিংস, টপ ইত্যাদি সংগ্রহে রাখতে শুরু করেছে। আর্বান সাবকালচার বা শহুরে অবসংস্কৃতি যা শুরু করে, ফাস্ট ফ্যাশন শীঘ্রই তার লেজ ধরে ফেলে। শুধু জুতো নয়, সাজপোশাকেও বিশ্বব্যাপী জাপানী ঢেউ লেগেছে। এবারের ইউরোপের ফ্যাশ-শোগুলোতে জাপানী কিমোনোর প্রভাব চোখে না পড়ে উপায় ছিল না। ফ্যাশনে আগামী বসন্তেও নাকি কিমোনো বা কিমোনো গোত্রীয় জামাকাপড় অপরিহার্য। ফ্যাশন উইকসের কয়েক সপ্তাহে যে ট্রেন্ড সৃষ্টি হয়, তার জেরে পরের বছর লাখ লাখ পিস বিক্রি হয়, এই হলো নিয়ম। নব্বইয়ের দশকের সোভিয়েত-পরবর্তী ফ্যাশনের ট্রেডমার্ক ছিল তার সস্তার রঙচঙে সব প্রিন্ট, যার নান্দনিক গুণাগুণ নাকি জেনেশুনেই একটু নিম্ন শ্রেণীর হতো। ফ্যাশন ট্রেন্ডটা আসলে শুরু হয় রাশিয়ার গশা রলবচিনস্কি ও জর্জিয়ার দেমনা গোয়াসালিয়ার মতো ডিজাইনারদের দিয়ে। পরে সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। আর আজ তো ইনস্ট্রাগ্রাম স্যাভি মিলেন্নিয়াল প্রজন্মের ওই ‘লো ক্লাস এস্থেটিকস’ ছাড়া দিন কাটে না। গত শতাব্দীর ব্যবধানে পুরুষের সঙ্গে নারীর ফ্যাশনেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। নারীদের চেহারায় যেন বদলে গেছে। নারীরা জ্যাকেট, শার্ট, ভেস্ট, প্যান্ট বা ট্রাউজার্স এসব আছে বটে, কিন্তু যেন এ্যাক্টিভওয়্যারের সঙ্গে মিশে গেছে। আজ অনেক নারী সুটের সঙ্গে স্নিকার্স পরেন। সব মিলিয়ে, এলিগান্স বা সৌখিনতা নয়, কেয়ারলেসনেস বা অগোছালো ভাব, ওই কেয়ারফুলি কেয়ারলেস আরকি। ফ্যাশন ডেস্ক
×