ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ে আখ রোপণ কার্যক্রম উদ্বোধন

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ে আখ রোপণ কার্যক্রম উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ॥ পঞ্চগড়ে আখ রোপণ উদ্বোধন করা হয়েছে । শুক্রবার সকালে ২০১৭-২০১৮ মৌসুমে পঞ্চগড় চিনিকলের আওতায় জেলায় ৬৪ টি ইউনিটে আখ রোপণের মাধ্যমে আখ লাগানোর কার্যক্রম শুরু করা হয়। জেলার আখ চাষিরা চলতি মৌসুমে ৯ হাজার একর জমিতে আখ চাষ করবেন মর্মে আশা করছে চিনিকল কর্তৃপক্ষ । চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন আখ থেকে ৮ হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সদর উপজেলার দরুয়াপাড়ার দুই আখ চাষির উঠোনে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বিভিন্ন এলাকার কয়েক শ’ আখ চাষি উপস্থিত ছিলেন । এসময় আখ চাষিদের উদ্দেশে উদ্বুদ্ধ ও সচেতনতামূলক বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুগার এ্যান্ড ফুড কর্পোরেশনের প্রধান রসায়নবিদ মুসতাক আহমেদ, পঞ্চগড় চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনূর রেজা, ডিজিএম (কৃষি) ফারুক-ই-আজম, জিএম (কারখানা) শহাজাহান কবির, জিএম (প্রশাসন) ইউসুফ আলী, ডিজিএম (সম্প্রসারণ) যজ্ঞেশ্বর চৌধুরী, সাবজোন প্রধান তাজরুল ইসলাম প্রমুখ । পঞ্চগড় সুগার মিলস লিমিটেডের কৃষি বিভাগের আয়োজনে উদ্বোধনিসভা শেষে কৃষক পূর্ণ চন্দ্র রায় ও অবিনাষ রায়ের জমিতে আখ রোপণ করে ২০১৭-২০১৮ মৌসুমের আখ রোপণ উদ্বোধন করা হয় । ঠাকুরগাঁও থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, জেলার একমাত্র ভারি শিল্প ঠাকুরগাঁও চিনিকলের অধীনে চলতি (২০১৭-২০১৮) মৌসুমের আখ রোপণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার হরিহরপুর গ্রামে আখচাষী আব্দুর রহিম এবং চিলারং গ্রামে আখচাষী ইসমাইল হোসেনসহ বিভিন্ন ইউনিটে আখ চাষীদের ক্ষেতে রোপা আখের বীজতলায় আখের কুরি স্থাপনের মাধ্যমে আখ রোপণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সুগার কর্পোরেশনের মহাব্যবস্থাপক (সম্প্রসারণ) সামিউল হাসান ভুঁইয়া। এসময় উপস্থিত ছিলেন চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এনায়েত হোসেন ও মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) এএফএম জিয়াউল ফারুক এবং চিনিকলের অন্যান্য কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ স্থানীয় আখচাষীরা। মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) এএফএম জিয়াউল ফারুক জানান, এবার ঠাকুরগাঁও চিনিকলের অধীনে ১১ হাজার একর জমিতে আখ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং জেলার ৭২টি ইউনিটে সাড়ে ৫ হাজার চাষী আখ আবাদ করবেন। রোপা বা এসটিপি পদ্ধতিতে আখ আবাদ করলে আখের ফলন দ্বিগুণ হয় এবং আখের সাথী ফসল হিসেবে মুগডাল, মরিচ, মুলাসহ অন্যান্য ফসলের আবাদ জনপ্রিয় হওয়ায় আখের আবাদ আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান প্রধান অতিথিগণ।
×