ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতে আইটি সেক্টরে ধস, বাংলাদেশে উল্টো চিত্র

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ভারতে আইটি সেক্টরে ধস, বাংলাদেশে উল্টো চিত্র

ফিরোজ মান্না ॥ ভারতের আইটি সেক্টরে কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে বড় ধরনের ধস নেমেছে। যদিও দেশটির আইটি সেক্টরটি বিস্ময়করভাবে বিকশিত হলেও এখন আর সেই অবস্থা নেই। এমন অবস্থার জন্য অটোমেশন পদ্ধতি দায়ী। অটোমেশনের ফলে দেশটিতে আইটি সেক্টরের কিছু কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে হচ্ছে। আর কিছু কাজ করা হচ্ছে রোবোটের মাধ্যমে। ফলে দেশটিতে নিম্ন ও মাঝারি পর্যায়ের আইটি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেশিরভাগ কোম্পানি ছাঁটাই করে দিচ্ছে। ভারতে আইটি সেক্টরটিতে কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা আয় ক্রমাগত নিম্ন দিকে চলে যাচ্ছে। অটোমেশন পদ্ধতি চালুর পর আইটি কোম্পানির মালিকরা এক দিকে যেমন কর্মী ছাঁটাই করছে, অন্যদিকে কর্মীদের বেতনও কমিয়ে দিয়েছে। ভারতের ফ্রন্ট লাইন পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এসব কারণই উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশে সেক্টরটি ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। আইটি সেক্টরকে সরকারীভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ফলে এখানে আইটি সেক্টরে ধস নামার আশঙ্কা এখনই পরিলক্ষিত হচ্ছে না। সরকার নিজেও আইটি সেক্টর নিয়ে আশাবাদী। এই সেক্টরের মাধ্যমে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে বলে বলা হচ্ছে। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের আগেই দেশ পুরোপুরি আইটিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। সরকার ভিশন ’২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বছরে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের টার্গেট নিয়েছে। আর ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য সরকার ৭০ হাজার আইটি বিশেষজ্ঞ তৈরি করার কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে। আর এই ৭০ হাজার বিশেষজ্ঞ আরও ২০ লাখ আইটি শিল্পে দক্ষ জনবল গড়ে তুলবে। ২০ লাখ আইটি জনবল আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ৫০ বিলিয়নের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করবে। এই আয় জাতীয় আয়ে বড় ধরনের ভূমিকা পালন করবে বলে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ জানিয়েছে। ভারতের দীর্ঘ ৩০ বছরের অভিজ্ঞতায় আইটি সেক্টর শীর্ষস্থান দখল করে ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাস মাত্র ৮ বছরের। এই ৮ বছরে বাংলাদেশ আইটি সেক্টরে বড় রকমের অগ্রগতি অর্জন করেছে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আইটি সেক্টর দিন দিন উন্নত হচ্ছে। দেশে গড়ে উঠেছে কয়েক শ’ সফটওয়্যার শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। প্রতিবছর বিদেশে সফটওয়্যার শিল্প থেকে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছে। এসব সফটওয়্যার শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকার সরাসরি সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এ কারণেই ভারতের মতো বাংলাদেশে আইটি শিল্পে ধস নামার আশঙ্কা অনেক কম। ভারতের ফ্রন্টলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত ‘লুজিং স্টিম’ (বাষ্প হারাচ্ছে) শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অর্থবছরে (২০১৫-১৬) ভারতের আইটি সেক্টর থেকে আয় হয়েছে ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে। তবে প্রতিবছরই এই আয় কমে আসছে। ২০১২-১৩ সালে এ খাত থেকে মোট বৈদেশিক রফতানির ২০ দশমিক ৮ শতাংশ অর্থ আয় করলেও ২০১৪-১৫ সালে মাত্র ৭ দশমিক ৩ শতাংশ অর্থ আয় করতে সক্ষম হয়। ক্রমাগত ভারতের আইটি সেক্টরে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। এই সেক্টর এখন খাদের কিনারে এসেছে। আইটি শিল্প অনেকটাই অস্থিত্ব সঙ্কটে ভুগছে। ভারতের যেসব শহর তথ্যপ্রযুক্তির জন্য বিখ্যাত ছিল, ওসব শহরের আইটি প্রতিষ্ঠানে গত কয়েক মাসে বড় ধরনের ধস নেমেছে। মূলত ২০০১ সাল থেকেই ভারতের আইটি সেক্টরে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ভারতে সস্তায় দক্ষ আইটি কর্মী পাওয়ার কারণেই দেশটির এই খাতে ধীরে ধীরে বিকাশ হয়েছে। আইটি খাত থেকে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও সরকারের বেড়েছে। এক সময় এই আদায় ডাবল ডিজিটেও পৌঁছায়। ভারতের আইটি খাতের বিশেষজ্ঞরা এক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করেছেন। পরে দেশীয় আইটি খাত বিকাশে নিয়োজিত হয়েছেন। ফলশ্রুতিতে ভারতের আইটি খাতে কর্মীদের দক্ষতা এসেছে। এসব দক্ষকর্মী পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশের আইটি খাত বিকাশে ভূমিকা রেখেছেন। ভারতে গত দুই দশক ধরে আইটি সেক্টরের বিকাশ হয়েছে। তবে ২০০১ সাল থেকে ২০০৮-০৯ পর্যন্ত এ খাতে বিকাশের মাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছিল। বিশেষ করে চেন্নাই, হায়দরাবাদ, ব্যাঙ্গালুরু, পুনে ইত্যাদি শহরে এই সেক্টরের অভূতপূর্ব বিকাশ ঘটে। তবে এখন সেই বিকাশ অনেকটাই ভাটা পড়েছে। কর্মী ছাঁটাইয়ের কারণে দেশটিতে কর্মীরা চরম প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। ভারতের আইটি সমৃদ্ধ শহরগুলোতে সফটওয়্যার বিজ্ঞানীদের সংগঠনগুলো কর্মী ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে এই প্রতিক্রিয়া দেখায়। তারা কর্মী ছাঁটাইকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। তখন ইনফয়েস কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এন আর নারায়ণ মার্থি বিজ্ঞানীদের রহস্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, সফটওয়্যার শিল্পে যা ঘটেছে তা দুঃখজনক। কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিম্নশ্রেণীর কর্মচারীদের চাকরি ঠেকাতে পদক্ষে নেয়া উচিত ছিল। তিনি দাবি করেন, তার সহপ্রধান ২০০১ সালে নিম্ন বেতনের কর্মচারীদের চাকরি বাঁচিয়েছিলেন। বর্তমানে ভারতে সফটওয়্যার শিল্প অনেক ছোট হয়ে এসেছে। পাশাপাশি কর্মচারীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। ভারতের চেন্নাই, হায়দারাবাদ, দিল্লী, ব্যাঙ্গালুরু ও পুনেতে আইটি সেক্টর থেকে হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। এসব কোম্পানিগুলো থেকে ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞ মাঝারি পর্যায়ের অনেক কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। এ সব কর্মীর বিরুদ্ধে অদক্ষতার অভিযোগ তুলে এদের ছাঁটাই করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। কোম্পানিগুলোর মালিকরা বলেছে, কর্মী ছাঁটাইয়ের কিছু কারণ হচ্ছে আইটি খাতে কিছু কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে হচ্ছে। আবার কিছু কাজ হচ্ছে রোবোটের মাধ্যমে। ফলে অধীকসংখ্যক কর্মীর প্রয়োজন নেই বলে কিছু কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। বাংলাদেশে আইটি সেক্টরের বয়স খুব বেশি দিন আগের না। এরপরও তুলনা মূলকভাবে বাংলাদেশ আইটি সেক্টরে বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে। গত ৮ বছরের আইটি খাতে রফতানি হয়েছে ৭শ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৮ সাল নাগাদ আইসিটি সেক্টর থেকে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি করা সম্ভব হবে। ২০২১ সাল নাগাদ রফতানি হবে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এজন্য প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। ফ্রন্টলাইন বলছে, ভারতের অলাভজনক সংস্থা ন্যাশনাল এ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এ্যান্ড সার্ভিস কোম্পানি (নাসকম) বলছে, আইটি শিল্প চলতি অর্থবছরে তুলনায় ২০১৮ অর্থবছরে ২০ থেকে ৩৮ শতাংশ কর্মসংস্থান কমে যাবে। আগামী অর্থবছরে এই খাতে ১ দশমিক ৩ থেকে ১ দশমিক ৫ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে, যেখানে চলতি বছরে ১ দশমিক ৮ লাখ কর্মসংস্থান যোগ হয়েছিল। এই সেক্টরে এক বছরে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৪০ লাখ কর্মসংস্থানও যুক্ত হয়েছিল। নাসকমের প্রেসিডেন্ট আর চন্দ্রশেখর বলেছেন, অটোমেশনের কারণেই এই খাতে চাকরি কমে যাচ্ছে। ভারতীয় আইটি শিল্প, অটোমেশন এবং ক্লায়েন্টের ডিজিটাল চাহিদার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। এবং তারা অটোমেশন এবং খরচ কমানোর আশায় কর্মসংস্থান পুনর্গঠন করছে। টিসিএস এবং ইনফোসিসে এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে কর্মী সংখ্যা কমে যথাক্রমে ১৮০০ এবং ১৪১৪ হয়েছে। আর এই প্রতিষ্ঠান দুটি ভারতের এক-পঞ্চমাংশ সফটওয়্যার রফতানি করে যার মূল্য ১১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম সফটওয়্যার পরিষেবা রফতানিকারী প্রতিষ্ঠান উইপ্রোর প্রান্তিক হিসেবে ১৩০৯ জন বেড়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। নাসকম প্রধান আরও জানিয়েছেন, আইটি সেক্টরসহ প্রযুক্তির কারণে সব সেক্টরেই চাকরি কমে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলো প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে এবং একই ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। আর এখন তাদের বেকারত্বের মাত্রা শূন্যের কাছাকাছি। এখানে (ভারতে) চাকরির ক্ষতি এবং কষ্ট থাকলেও শেষ পর্যন্ত এটি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির একমাত্র পথ বলে অভিমত প্রকাশ করেন চন্দ্রশেখর। গত বছর ‘এইচএফএস রিসার্চ’ সংস্থা বস্টন, লন্ডন ও বেঙ্গালুরু থেকে এক যোগে ‘ফিউচার ওয়ার্কফোর্স ইমপ্যাক্ট মডেল’ নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল, যাতে তারা দেখিয়েছে যে পৃথিবীর আইটি ও বিজনেস সার্ভিস কোম্পানিগুলো আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি, অটোমেশন এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অর্থাৎ বুদ্ধিমান যন্ত্রের সুবিধা নিয়ে তাদের ব্যবসা বাড়াতে পারছে কর্মীসংখ্যা কমিয়েই। এদের হিসেব অনুসারে ২০২১ সালের মধ্যে ভারতে সব চেয়ে ‘কম দক্ষতাসম্পন্ন’ কর্মীদের ২৮ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ৬ লাখ ৪০ হাজার কর্মীর আর কোন জায়গা থাকবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এই কাজের ক্ষেত্র সঙ্কোচনের অনুপাতটা হলো ৩৩ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ৭ লাখ ৭০ হাজার মানুষের জীবিকা। এই সব কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে, যন্ত্রের মাধ্যমে হবে, তার জন্য এত মানুষ লাগবে না। এর বিনিময়ে ভারত এই সময়ে ১ লাখ ৬০ হাজার চাকরির ক্ষেত্র সৃষ্টি করবে (১৪ শতাংশ বৃদ্ধি) আর আমেরিকা হয়ত ১ লাখ ৭৩ হাজার (সাত শতাংশ বৃদ্ধি)। দেখাই যাচ্ছে, যত মানুষ কাজ হারাচ্ছে, তার চেয়ে কাজ পাচ্ছে অনেক কম মানুষ। বাংলাদেশ সরকার ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছে। ভিশন ২০২১ বাস্তবায়ন হলে আইটি সেক্টরে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেশ। দেশের তরুণ-তরুণীরা আইটি সেক্টরে বড় অবদান রেখে যাচ্ছে। তারা নিজ উদ্যোগেই আউটসোর্সিং করে যাচ্ছে। এতে বড় অংকের বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে। বিষয়টি সরকারী পর্যায়ে অধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এ জন্য তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যে ৭০ হাজার আইটি বিশেষজ্ঞ তৈরি করার কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে। এই ৭০ হাজার বিশেষজ্ঞ ২০২১ সালের মধ্যে আইটি সেক্টরে ২০ লাখ দক্ষ জনবল তৈরি করবে। দক্ষ জনবল তৈরি হলে বিপুল অংকের বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে। বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবে তখন বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। বাংলাদেশের জ্ঞানভিত্তিক একটি অর্থনীতির ওপর দাঁড়িয়ে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আইসিটি সেক্টর থেকে আয় হবে। ভারত বিগত ৩০ বছরে আইটি শিল্প থেকে প্রায় দেড় শ’ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছে। আইটি সেক্টরের ইতিহাস মাত্র ৮ বছর আগের। সরকার বিভিন্নমুখী পরিকল্পনা, পলিসি প্রণয়ন এবং প্রকল্প গ্রহণের মধ্য দিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা হচ্ছে। সারাদেশে ১ লাখ ৭০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪ কোটি ২৭ লাখ শিক্ষার্থীদের জন্য বিশাল পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। সরকার সারা বাংলাদেশে সাড়ে ৫ হাজার কম্পিউটার ল্যাব, ২ হাজার ১টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করেছে। আগামী ৩ বছরে প্রাইমারি, হাইস্কুল ও কলেজ লেভেলে আরও ১৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। সরকার নানামুখী উদ্যোগের ফলে দেশ আইটি সেক্টর এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার আশা করছে আইটি সেক্টর দিন দিন উন্নত হচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে দেশ আইটি সেক্টরে বিশ্বের উল্লেখযোগ্য দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।
×