স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে আইনসম্মত, গণতান্ত্রিক সরকারকে প্রচ্ছন্নভাবে হুমকি দেয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা। বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, সম্প্রতি প্রদত্ত ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের পর্যবেক্ষণে কিছু অপ্রাসঙ্গিক এবং অনাকাক্সিক্ষত বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে। ফলে একটি অনভিপ্রেত বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিবৃতিতে তারা বলেন, রায়ের পরে এবং রায়কে কেন্দ্র করে অত্যন্ত সুকৌশলে নির্বাহী বিভাগ এবং বিচার বিভাগের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে একটি অচলাবস্থা তৈরির অপপ্রয়াসও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, কোন কোন রাজনৈতিক মহল বিষয়টি নিয়ে অতি উৎসাহী তৎপরতায় লিপ্ত। এতে মনে হয় পরিকল্পিতভাবে দেশে একটি কৃত্রিম রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টির অপচেষ্টাও হচ্ছে। আরও উদ্বেগের বিষয়; কেউ কেউ বিবৃতি দিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টির এই অপপ্রয়াসকে প্রকারান্তরে ইন্ধন যোগাচ্ছে ।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই পরিস্থিতিতে আমরা নিস্বাক্ষরকারী নাগরিক অত্যন্ত বিচলিত এবং উদ্বিগ্ন। আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, এই ধরনের অগণতান্ত্রিক অপচেষ্টা দেশের জন্য কোন কল্যাণ বয়ে আনে না। তাই সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে জনগণের কাছে আমাদের আহ্বান; এই অশুভ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সজাগ থাকুন এবং ধৈর্য ধারণ করুন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নস্যাত করার এ জাতীয় অপতৎপরতা কখনও সফল হতে পারে না।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ড. অনুপম সেন, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, ড. হারুন অর রশিদ, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী, রামেন্দু মজুমদার, অধ্যাপক ড. নিম ভৌমিক, অধ্যাপক ডাঃ প্রাণ গোপাল দত্ত, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সাংবাদিক আবেদ খান, ড. আনোয়ার হোসেন, ড. মিজানুর রহমান, সাংবাদিক রাহাত খান, সাংবাদিক গোলাম সারোয়ার, মঞ্চসারথি আতাউর রহমান, শাহরিয়ার কবির, রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির, রাষ্ট্রদূত ওলিউর রহমান, ড. দুর্গাদাস ভট্টাচার্য, ড. আতিউর রহমান, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, শিল্পী হাসেম খান, শিল্পী রফিকুন্নবী (রনবী), চিত্রনায়ক ফারুক, চিত্রনায়ক এম এ আলমগীর, অধ্যাপক নিসার হোসেন, অধ্যাপক মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, সাংবাদিক ফরিদা ইয়াসমিন, শিল্পী মোঃ মনিরুজ্জামান, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার ও গোলাম কুদ্দুস।