ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

এক আয়োজনে বঙ্গবন্ধু বিশ্বকবি ও জাতীয় কবিকে স্মরণ

প্রকাশিত: ০৪:৫৩, ২৯ আগস্ট ২০১৭

এক আয়োজনে বঙ্গবন্ধু বিশ্বকবি ও জাতীয় কবিকে স্মরণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এক আয়োজনে উঠে এলো বাঙালীর মুক্তির পথ প্রদর্শক ও মননের কারিগর তিন মহাপরুষ। স্বাধিকার সংগ্রামে কিংবা যাপিত জীবনের পরতে পরতে কৃতজ্ঞতার বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন এ তিনজন। তারা হলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। নিজ নিজ কর্মগুণেই এ তিন মহামানব বাঙালীর কাছে প্রেরণার উৎসব। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য নেতৃত্বেই এসেছিল বাঙালীর রাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ সমৃদ্ধ করেছেন বাঙালীর মননকে। অন্যদিকে সম্প্রীতির আবাহনের সঙ্গে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে শিখিয়েছেন বিদ্রোহী কবি নজরুল। নিজ কর্মগুণেই এ তিন গুণী আনন্দ-বেদনা কিংবা সংগ্রামের বাঙালীর নিত্যদিনের সহচর। গান, কবিতা, কথামালা ও প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে এ তিন মহান ব্যক্তিকে স্মরণ করল বঙ্গীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংসদ। জাতির পিতার ৪২তম শাহাদাতবাাির্ষকী, বিশ্বকবির ৭৬তম প্রয়াণ ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪১তম প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ‘জাতির পিতার অনুভবে বিশ্বকবি ও জাতীয় কবি’ শীর্ষক এ আয়োজন। অনুষ্ঠানে এ তিন মহান বাঙালীকে নিবেদিত স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন উদীয়মান কবিরা। সঙ্গীত পরিবেশন করেন ইন্দুপ্রভা ও আয়োজক সংগঠনের শিল্পীরা। সংসদের সভাপতি সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে অনন্য এ আয়োজনে বক্তৃতা করেন কবি আজিজুর রহমান আজিজ, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক কবি মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, অধ্যাপক রূপা চক্রবর্তী প্রমুখ। বক্তারা বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কবিগুরু বলতেন এবং তার দ্বারা বিশেষ প্রভাবান্বিত ছিলেন। তিনি নজরুলকে এ দেশে এনে বিশেষ সম্মান দিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের ‘সার্থক জনম আমার’ কবিতাটি জাতির পিতার সবচেয়ে প্রিয় কবিতা ছিল। অন্যদিকে নজরুলের বহু কবিতা ও গান জাতির পিতার মুখস্থ ছিল। তিনি একইসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলকে গভীরভাবে পাঠ করতেন। জাতির পিতা যে স্বপ্নে বীজ বুনেছেন সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য আমাদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। জাতির পিতার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করলেই দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। রবীন্দ্রনাথ আমাদের জাতীয় সঙ্গীত লিখেছেন আর নজরুল ‘বিদ্রোহী’ কবিতার মাধ্যমে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলকে ধারণ করলে এ জাতি কখনও বিভ্রান্ত হবে না বলেও মনে করেন বক্তারা। রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী অপর্ণা খানের পরিবেশনায় ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’ গানটির সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সমবেতভাবে প্রদীপ প্রজ্বলন করেন কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন, কবি আজিজুর রহমান আজিজ, কবি বিমল গুহ, শিল্পী বুলবুল মহলানবীশ ও আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম।
×