ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাতরাস্তা থেকে মহাখালী রাস্তা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ২৬ আগস্ট ২০১৭

সাতরাস্তা থেকে মহাখালী রাস্তা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মগবাজার ফ্লাইওভারের একাংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার পর সাতরাস্তা থেকে মহাখালী পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বেড়েছে। কিন্তু ভাঙাচোরা এ সড়কটি ধরে গাড়ি চালানো কষ্টকর হয়ে উঠেছে হাজারো গর্তের কারণে। এ সড়কটি ঠিক কবে শেষ মেরামত করা হয়েছিল, সেটা জানে না স্থানীয়রা। আর দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে সড়কের এখানে-সেখানে ছোট ছোট গর্ত বা পিচ গলে জমাট হয়ে ঢেউ খেলানো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এর মধ্যে চলতি বর্ষায় বৃষ্টিতে এসব গর্ত চাকার আঘাতে ভেঙ্গে আরও বড় হয়েছে, ঢেউ খেলানো পিচগুলোর জায়গাতেও ভেঙ্গেছে সড়ক। এ সড়ক ধরে চলাচল করাটা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক বৃষ্টির পর তৈরি হয়েছে বিশাল বিশাল গর্ত। আর সম্প্রতি দুই পাশের ফুটপাথ মেরামতের কাজ শুরুর পর সেখান থেকে তোলা টালি আর ইটের টুকরা এসব গর্তে ফেলে পরিস্থিতি মোকাবেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এতে ভোগান্তি কমেনি এতটুকু, বরং বেড়েছে ক্ষেত্রবিশেষ। মূল সড়ক সংস্কারের আগে ফুটপাথ মেরামতের কাজ শুরুর পর হেঁটে চলা মানুষের ভোগান্তি আরও বেড়েছে। কারণ ফুটপাথের বদলে এখন ভাঙ্গা সড়ক দিয়েই হাঁটতে হচ্ছে পথচারীদের। ফুটপাথে খুঁড়ে রাখা মাটির স্তূপ করে রাখায় তেজগাঁও এলাকাসংলগ্ন মূল সড়কের পাশ ধরে যাচ্ছিলেন কয়েকজন পথচারী। মূল সড়কের সব লেন খালি থাকা সত্ত্বেও এ সময় পেছন থেকে একটি প্রাইভেটকার তাদের প্রায় গা-ঘেঁষে চলে যায়। পরে ওই প্রাইভেটকারের চালক নাহিদ আহমেদ বলেন, ‘হঠাৎই সড়কের মাইদ্দে একটা গর্ত দেখলাম। ওইটা থেইকা বাঁচতে গাড়ি বামে চাপায় দিছি।’ এ সড়কটি যথেষ্ট চওড়া হলেও দিনভর যানজট লেগে থাকে। এর প্রধান কারণ হাজারো গর্তের কারণে স্বাভাবিক গতিতে গাড়ি চলতে না পারা। সাতরাস্তা-মহাখালী সড়কে ভাঙ্গন ধরেছে বহু বছর ধরে। বিশেষ করে তিব্বত, নাবিস্কো ও মহাখালী বাসস্ট্যান্ডের আশপাশের পরিস্থিতি বেশি খারাপ। এ রকম ঝুঁকিপূর্ণ সড়কে দুই অথবা তিন চাকার গাড়িচালকদের বিপদটাই যেন একটু বেশি। সাতরাস্তা থেকে মহাখালীর দিকে অথবা মহাখালী থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত চোখের দেখায় মসৃণ মনে করে গাড়ি টানতে গেলেই হবে বিপত্তি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই রাস্তার ঠিক মাঝ বরাবর হঠাৎই পড়বে ভাঙ্গা। অথবা স্বাভাবিক গতিতে কোন গাড়ির আনুমানিক ১০ ফুট দূর দিয়ে চালালেও আকস্মিক এ বিপজ্জনক গর্তগুলো গাড়ির চালককে হতবুদ্ধি করে দিতে যথেষ্ট। মোটরসাইকেলচালক আকিবুর রহমান মানিক বলেন, ‘একদিন বন্ধুকে নিয়ে মহাখালীর দিকে যাচ্ছিলাম। তেজগাঁওয়ের সিগন্যাল ছাড়ার পর ফাঁকা পেয়ে সিএনজির পেছন থেকে সামান্য গতি বাড়িয়ে আগে যাব, এমন সময় রাস্তার ঠিক মাঝে বড় একটা গর্তের মধ্যে বাইকের সামনের চাকায় প্রচ- ঝাঁকি খাই। কপাল ভাল, বাইক নিয়ে পড়তে পড়তে বেঁচে গেছি। নয়ত পাশের লেনের বাস মাথার ওপর দিয়ে যেত।’ মহাখালী সড়কে চালকরা ঝুঁকিতে রয়েছের স্বীকার করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ কুদরত উল্লাহ বলেন, ‘আমার ইতোমধ্যে সড়কের কাজ হাতে নিয়েছি। বৃষ্টির কারণে কাজ করতে কিছুটা সমস্যা হলেও শীঘ্রই কাজ শেষ করতে পারব।’
×