ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধা তালিকা

রাজাকারের নাম অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ২০ আগস্ট ২০১৭

রাজাকারের নাম অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ দেবহাটায় মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় এক স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারের নাম অন্তর্ভুক্তি করার প্রতিবাদে এবং তাকে যারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সনদ দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহিম। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেবহাটা উপজেলার সখীপুর গ্রামের মৃত সামত আলী গাজীর পুত্র আবুল কাশেম ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের পরপরই বর্তমান খানবাহাদুর আহছান উল্লাহ কলেজের পেছনে বাগেরহাট, বরিশাল ও খুলনা অঞ্চল থেকে ভারতগামী শরণার্থীদের সম্পদ লুণ্ঠন করে বলে অভিযোগ রয়েছে।সখিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল করিমের হাত ধরে এই আবুল কাশেম রাজাকার বাহিনীতে নাম লেখান। তিনি বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধের নয় মাস যে যুদ্ধ হয়েছিল সেখানে ৯ নম্বর সেক্টরের কোন মুক্তিযোদ্ধা এই আবুল কাশেমকে কোথাও যুদ্ধ করতে দেখেনি। দেবহাটা অঞ্চল শত্রুমুক্ত হওয়ার পর সে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিল। আবুল কাশেম তার ভারতীয় ডাক্তারের জাল সার্টিফিকেট নিয়ে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সাজার চেষ্টা করে। দেশ স্বাধীনের পর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল গঠন হলে জেলা ইউনিট কমান্ড, থানা ইউনিট কমান্ড ও ইউনিয়ন ইউনিট কমান্ডের নেতৃবৃন্দকে ম্যানেজ করে আবুল কাশেম মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র সংগ্রহ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলা হয়, আবুল কাশেম রাজাকার হয়েও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম লিখিয়ে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সেজে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে যাবতীয় ভাতা ও সুবিধা ভোগ করছেন। এ বিষয়ে দেবহাটা থানার মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বৃহত্তর অংশ তার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়কমন্ত্রী বরাবর অভিযোগও দেন।অভিযোগ তদন্তে অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা কাশেমকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবি করেছেন।
×