ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মাইম চর্চা আগের চেয়ে ভাল হচ্ছে ॥ নিথর মাহবুব

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ১৯ আগস্ট ২০১৭

মাইম চর্চা আগের চেয়ে ভাল হচ্ছে ॥ নিথর মাহবুব

নিথর মাহবুব। সাংবাদিকতার পাশাপাশি মাইম চর্চাও করেন। নিয়মিতভাবে মঞ্চে পারফর্ম করেন। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন টিভি নাটক ও টেলিফিল্মে অভিনয় করেন। শুক্রবার ছিল এই তরুণ শিল্পীর জন্ম দিন। সম্প্রতি তার ব্যস্ততা নিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়। আপনার বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে জানতে চাই। নিথর মাহবুব : ‘টিরিগিরি টক্কা’ নামে একটি শিশুতোষ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছি। বর্তমানে এর তৃতীয় লটের কাজ চলছে। গত পরশু শূটিং শেষ করেছি, আবার ২৫ তারিখে শূটিং আছে। তপু খানের নির্দেশনায় ঈদের এক পর্বের একটি নাটকে কাজ করব। মাইম আর্টের প্রযোজনায় এবং আমার নির্দেশনায় ‘ডিগবাজি’ নাটকের কাজ চলছে। ‘টিরিগিরি টক্কা’ নাটকটি কেমন? নিথর মাহবুব : আমাদের দেশে বাচ্চাদের নিয়ে খুব একটা নাটক, টেলিফিল্ম বা চলচ্চিত্র নির্মাণ হয় না। এই নাটকটা বাচ্চাদের নিয়ে তৈরি হচ্ছে। ধ্বনি চিত্রের এই নাটকটি রচনা করছেন এম আসলাম লিটন এবং পরিচালনা করেছেন তৌহিদ খান বিপ্লব। নাটকে চোরের সর্দার বজলুর ভূমিকায় অভিনয় করছি। এখানে শিশু শিল্পীদের মধ্যে আছে নদী, ইরা এং তূর্য। বড়দের মধ্যে আছেন হিল্লোল, শামিমা তুষ্টি, সুজাত শিমুল, জামান ও নীল। টিভিতে কম দেখা যায় কেন? নিথর মাহবুব : টিভিতে উপস্থিতি কম হলেও মঞ্চে কাজ করি। নিয়মিত বিভিন্ন জায়গায় দল নিয়ে মাইমের করছি। শূন্যন থিয়েটারের ‘লালজমিন’ নাটকের টিমের সঙ্গে কাজ করছি। চাকরির ব্যস্ততা তো আছেই। এখন নাটকগুলোতে কোয়ালিটিরচেয়ে ফেসভ্যালু আর্টিস্টদের কদর বেশি, আমার সেই ফেসভ্যালু নেই। বিশেষ চরিত্রে কেউ ডাকলে কাজ করি। প্রতি বছর নিজের রচনা, পরিচালনা ও একক অভিনয়ে সোয়া এক ঘণ্টার জীবনমূখী পূর্ণাঙ্গ মূকাভিনয় প্রযোজনা ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’ মঞ্চয়ন করে নিজের জন্মদিন উদযাপন করি। কিন্তু এই বছর ১৮ আগস্ট হলো বরাদ্দ পাইনি। দেশে বর্তমানে মাইম চর্চার অবস্থা কেমন? নিথর মাহবুব : আগের চেয়ে অনেক ভাল। আজ থেকে ১০ বছর আগে তো দেশে মাইম চর্চা ছিল না বললেই চলে। এখন সারাদেশে এর চর্চা হচ্ছে। এই চর্চা আরও বেশি হতে পারত। ২০০৬ থেকে ২০১২ এই সময়টাতে আমি অনেক কর্মশালা করিয়েছি। প্রতি বছর পার্থ প্রতিম মজুমদার, কাজী মশহুরুল হুদাদের মতো গুণী মাইম শিল্পীদের বিদেশ থেকে অনুরোধ করে দেশে এনে তাদের দিয়ে কর্মশালা করিয়েছি। যার ফলে সারাদেশে মাইমের একটা জাগরণ ঘটে ছিল। এই জাগরণে পুরনোরাও জাগ্রত হলো। একটা মাইম ফেডারেশনও হলো। ফেডারেশন হওয়ার পর আমার এককভাবে কাজ করানোর জায়গাটা আর রইল না। আমি এখন আমার দল মাইম আর্টকেই বেশি সময় দিচ্ছি। কিন্তু গত পাঁচ বছরে মাইম ফেডারেশনের উল্লেখযোগ্য কোন কাজও চোখে পড়ছে না। সাজু আহমেদ
×