ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রূপগঞ্জে খানাখন্দে ভরা সড়ক ॥ চরম জনদুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ১৬ আগস্ট ২০১৭

রূপগঞ্জে খানাখন্দে ভরা সড়ক ॥ চরম জনদুর্ভোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ১৫ আগস্ট ॥ রূপগঞ্জ উপজেলার ডেমরা কালীগঞ্জ সড়কের চনপাড়া এলাকায় খানাখন্দে ও গর্তের কারণে ময়লার ভাগারে পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয় দুই কিলোমিটার সড়কেই খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তি বেড়ে হয়েছে জনদুর্ভোগ। আবার এসব সড়কের মেরামত করার পর তা দীর্ঘস্থায়ী না হওয়াকে কর্তৃপক্ষ দায় চাপাচ্ছেন স্থানীয় বালুবাহী ইছারমাথা ও ভারী যান চলাচলকে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শীতলক্ষ্যার পশ্চিমপার দিয়ে রাজধানী ডেমরা হতে রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া, রূপগঞ্জ সদর ও দাউদপুর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে গড়া গাজীপুরের কালীগঞ্জ পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য একটি সড়ক রয়েছে। এ সড়কে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আসা যানবাহনসহ নির্মাণাধীন পূর্বাচল উপশহরের নির্মাণসামগ্রী বহন করা হচ্চে। তবে একমাত্র সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত খানাখন্দে ও স্থানে স্থানে ধ্বসে পড়লেও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ পথে চলাচলরত যানবাহন ও সাধারণ লোকজন। তাই ভোগান্তির শেষ নেই রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে আসা রোগীদেরও। এ সড়কের পার্শ্ববর্তী বালু মহালের মালামাল বহনের কাজে ব্যবহৃত ভারী যান ও সাধারণ যাত্রীবাহী যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। গাড়ির চাকা আটকে গিয়ে ও ইঞ্জিন বিকল হয়ে সৃষ্টি করছে যানজট। তাছাড়া স্থানে স্থানে খানাখন্দের গর্তে পানি জমে থাকায় ছোট যানবাহনের ইঞ্জিনে পানি প্রবেশ করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে- গাড়ির মালিকরা। এছাড়াও উভয় রাস্তার স্থানে স্থানে রাস্তার পাড় ধসে পড়ায় ফাটল ধরায় দৃশ্যও দেখা গেছে। চনপাড়া এলাকার বাসিন্দা অমিত হাসান জানান, পূর্বগ্রাম এলাকা থেকে চনপাড়া বালু সেতু পর্যন্ত রাস্তায় স্থানে স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়ে জনভোগান্তি বেড়ে গেছে। এ পথে তিনগুণ ভাড়া দিয়েও যানবাহন নেয়া যায় না। তাই ওই সড়কটিরও বেহাল দশার থেকে মুক্তি চান তারা। এছাড়াও এ সড়কটিতেই স্থানীয়রা বাসাবাড়ির ময়লা আবর্জনা ফেলার ময়লার ভাগারে পরিণত হয়েছে। গর্ত ও পানি জমে থাকা নাজুক অবস্থায় প্রতিদিন শত শত যান ও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করলেও দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা। এসব বিষয়ে এলজিইডি বিভাগের রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এহসানুল হক্ব বলেন, রূপসী-কাঞ্চন সড়কটি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির অর্থায়নে ৪ লেনে উন্নীত করার জন্য ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৫০ কোটি টাকার বরাদ্দ এসেছে। এ বরাদ্দগুলো কাজে লাগাতে আগামী অক্টোবরের মধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হবে।
×