ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চ্যানেলে চ্যানেলে জাতীয় শোক দিবস

প্রকাশিত: ০৪:৪৫, ১৫ আগস্ট ২০১৭

চ্যানেলে চ্যানেলে জাতীয় শোক দিবস

সাজু আহমেদ ॥ আজ ১৫ আগস্ট। জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতি হারিয়েছিল জাতির জনক, বাঙালীর স্বপ্নদ্রষ্টা, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তৎকালীন সময়ের কতিপয় বিপথগামী মানুষ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে পুরো জাতিকে পিতৃহারা করেছিল। আজকের এ শোকের দিনে দেশের বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংঠন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বিটিভিসহ দেশের বেসরকারী বিভিন্ন সাটেলাইট চ্যানেল এবং এফএম রেডিওগুলো প্রচার করছে নানা অনুষ্ঠান। এরমধ্যে চ্যানেলগুলোর নানা আয়োজন নিয়ে এই প্রতিবেদন। বিটিভিতে বঙ্গবন্ধু স্মরণে নিবেদিত কবিতা পাঠ : জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিটিভিতে আজ বিকেল ৪-১০ মিনিটে কবিকণ্ঠে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান প্রচার হবে। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন কবি মারুফ রায়হান। এতে মূলত তরুণ প্রজন্মের কবিরা কবিতা পড়বেন। এ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া কবিরা হলেন মোশতাক আহমেদ, পিয়াস মজিদ, অনিকেত শামীম, সাকিরা পারভীন, রাব্বি আহমেদ, গিরীশ গৈরিক, মাহবুব আলম, এহসান হায়দার, শামস মনোয়ার, শানারেই দেবী শানু প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন রবিন মাহমুদ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একাত্তরপর্বে ছিলেন সাড়ে সাত কোটি বাঙালীর নয়নের মণি। রাজনীতির কবি তিনি। তাঁর ৭ মার্চের ভাষণ কবিতারই মতো স্পষ্ট ও সঙ্কেতময়, দ্রোহ ও দেশপ্র্রেমের রসে সিক্ত। তাঁকে নিয়ে কবিতা রচিত হতে থাকে সাতই মার্চের বহু আগে থেকেই। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে সপরিবারে জাতির পিতার হত্যাকা-ের পর তাঁর প্রতি নিবেদিত কবিতা সহস্র ফল্গুধারায় লিখিত হতে থাকে; এ যেন জাতির সকরুণ অশ্রুরই বাঁধভাঙা জোয়ার। স্বাধীনতার স্থপতি হিসেবে শেখ মুজিবকে বহু মাত্রায় মহিমান্বিত করার পরিবর্তে তাঁর নৃশংস হত্যাকা-ের জন্যে শোক প্রকাশই প্রাথমিকভাবে মুখ্য হয়ে উঠেছিল। বাঙালির ঘরে স্বাধীনতার ফসল এনে দেয়ার আগে যুগ যুগ ধরে তাঁর লড়াই ও আত্মত্যাগের বিষয়টি ছাপিয়ে বড় হয়ে ওঠে শোকাভিভূত বিলাপ। বস্তুত মুজিবহত্যার বিচারের বিষয়টি স্থগিত থাকার বাস্তবতায় শোক ও ক্রোধই প্রধান হয়ে উঠতে থাকে। বহু বিলম্বে বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হলে এবং পরবর্তীকালে বিচারের রায় কার্যকর হওয়ার ভেতর দিয়ে সেই পুঞ্জিভূত শোক ও ক্রোধ কিছুটা সান্তনা লাভ করে। সেই সঙ্গে শব্দে ও ছন্দে নেতার চরিত্রচিত্রণের ধরন ও চারিত্রেও পরিবর্তন আসতে শুরু করে। আজকের সচেতন নবীন কবিমাত্রেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কবিতা রচনা করে থাকেন। সেখানে থাকে এই মহান নেতার জন্যে ভালবাসা এবং রক্তঋণ শুধবার আকাক্সক্ষা। এটিএন বাংলায় তথ্যচিত্র ‘একটি মুজিব’ : ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল পথভ্রষ্ট সামরিক সেনার অভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শাহাদাৎ বরণ করেন। মৃত্যুর পর তিনি হয়ে ওঠেন আরও জনপ্রিয়, মৃত্যুঞ্জয়ী। অনেকেই তাঁকে কাছে থেকে দেখেছেন, সেবা করেছেন। তাঁকে কখনও দেখেনি শুধু তাঁর মুখের কথায় জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলেন এবং জীবন দিয়েছেন অনেক মানুষ। বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত জীবনের উল্লেখযোগ্য অংশ নিয়ে নির্মিত হয়েছে বিশেষ তথ্যচিত্র ‘একটি মুজিব’। আমজাদ কবীর চৌধুরীর পরিকল্পনা ও পরিচালনায় নির্মিত তথ্যচিত্রটি জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ রাত ৮টায় এটিএন বাংলায় প্রচার হবে। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জে জন্ম নেয়া শেখ মুজিবের আদিবাস ভবনের পরিচিতির মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হবে। ধারা বর্ণনার মাঝে মাঝে উপস্থাপন করা হবে যারা তাঁকে কাছ থেকে দেখেছেন, তাঁর জনসভায় ভাষণ শুনেছেন। তাদের জবানিতে উঠে আসবে বঙ্গবন্ধুর গল্প এবং তাঁর মৃত্যুর খবরে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়ার কথা। বঙ্গবন্ধুকে বিশ্লেষণ করেছেন গবেষক, ইতিহাসবিদ। সাক্ষাতকার প্রদান করেছেন ফরাস উদ্দিন, তোফায়েল আহমেদ, আমীর হোসেন আমু, ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলাম এবং অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম। জনসভায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনেছিলেন এমন দু’একজন ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়পড়–য়া কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ভাবনার কথা তুলে ধরা হবে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের ওপর প্রতিবেদনের মাধ্যমে ‘একটি মুজিব’ তথ্যচিত্রটি শেষ হবে। আরটিভির দিনব্যাপী অনুষ্ঠান : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আরটিভির বিশেষ অনুষ্ঠানমালায় আজ সকাল ৯-১৫ মিনিটে প্রচার হবে বিশেষ আবৃত্তি অনুষ্ঠান ‘মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধু’। বিকেল ৪-২০ মিনিটে প্রচার হবে ‘সাহিত্যে বঙ্গবন্ধু’। উপস্থাপনায় রাশেদা রওনক খান। অতিথি নির্মলেন্দু গুণ, সেলিনা হোসেন, মুনতাসীর মামুন। ৫-২০ মিনিটে রয়েছে বিশেষ প্রামাণ্য অনুষ্ঠান ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাণ’। ১০০৫ মিনিটে এম শামসুদ্দিন মিঠুর প্রযোজনায় বিশেষ আবৃত্তি অনুষ্ঠান ‘কবিতায় বঙ্গবন্ধু’। এতে আবৃত্তি করবেন হাসান ইমাম, আজিজুল হাকিম, মুনিরা ইউসুফ মেমী, আরমান পারভেজ মুরাদ। রাত ১১-২০ মিনিটে বিশেষ লাইভ গানের অনুষ্ঠান ‘হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু’। অনুষ্ঠানে গাইবেন কণ্ঠশিল্পী লিজা, ঝিলিক ও রাজিব। উপস্থাপনায় থাকবেন শিমুল মুস্তাফা। এনটিভির আয়োজন : এনটিভিতে দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালায় আজ ভোর ৬-১৫ মিনিটে ধানম-ির ৩৬ নম্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি। অনুষ্ঠানটি বিটিভির মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করবে এনটিভি। সকাল ৮-৪৫ মিনিটে প্রচার হবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘নদীর নাম মধুমতি’। সকাল ১০-০৫ মিনিটে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর মাজার শরীফে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি। অনুষ্ঠানটি বিটিভির মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করবে এনটিভি। দুপুর ১২.২০ মিনিটে প্রচার হবে বিশেষ টক শো ‘চিরঞ্জীব মুজিব’। বেলা ২-৩৫ মিনিটে প্রচার হবে বিশেষ নাটক ‘চশমা’। সন্ধ্যা ৬-৪৫ মিনিটে প্রচার হবে আবৃত্তি বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘কীর্তি তোমার বহমান’। এতে আবৃত্তি করেছেন ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্যামলী সুলতানা, ইকবাল খোরশেদ, মাহিদুল ইসলাম ও প্রজ্ঞা লাবণী। রাত ৯-০৫ মিনিটে প্রচার হবে বিশেষ আলেখ্যানুষ্ঠান ‘আমি তোমাদেরই লোক’। আলফ্রেড খোকনের প্রযোজনায় অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করবেন ড. আফসার আহমেদ। রাত ১১-৩০ মিনিটে প্রচার হবে বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘সুরে ছন্দে আমার দেশ’। ওয়াহিদুল ইসলাম শুভ্রর প্রযোজনায় এই অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন শিল্পী পড়শী, ইবরার টিপু, শুভ, নির্ঝর ও পারভেজ। মাছরাঙার বিশেষ আয়োজন : মাছরাঙায় সকাল ১০-০২ মিনিটে প্রচার হবে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’। বেলা ১-৩০ মিনিটে থাকছে বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের প্রেক্ষাপট নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘টি-৫৪’। বঙ্গবন্ধু সরকারের সাড়ে ৩ বছরের শাসনামল নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র ‘সোনালী দিনগুলি’ প্রচার হবে সন্ধ্যা ৬টায়। বিশেষ অনুষ্ঠান ‘ইতিহাসের কলঙ্ক’ থাকছে সন্ধ্যা ৭-৪০ মিনিটে। সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে’ প্রচার হবে রাত ১১ টায়। সুজেয় শ্যামের উপস্থাপনায় এতে গান পরিবেশন করবেন অপু ও নির্ঝর। দীপ্ত টিভির প্রামাণ্যচিত্র ‘শেষ প্রহরের আগে’ : দীপ্ত টিভিতে বিকেল ৫টায় প্রচার হবে বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র ‘শেষ প্রহরের আগে’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকা-ের ষড়যন্ত্র এবং সেই দুঃসহ হত্যাযজ্ঞের স্মৃতিচারণার ওপর নির্মিত হয়েছে এই প্রামাণ্যচিত্র। ১৯৭৫ সালের এই দিনে অতিপ্রত্যুষে সেনাবাহিনীর কতিপয় উচ্চভিলাষী কুচক্রী সৈনিকের হাতে সপরিবারে প্রাণ হারিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ঘাতকদের হত্যা পরিকল্পনা, হত্যা ষড়যন্ত্রের নেপথ্য কুশীলব, হত্যাযজ্ঞ এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণীর ওপর নির্মিত এই প্রামাণ্যচিত্রটি। দেশটিভির ‘রক্তমাখা বুকে স্বদেশের ছবি’ : দেশ টিভিতে আজ রাত ৯-৪৫ থেকে রাত ১টা পর্যন্ত প্রচার হবে বিশেষ লাইভ ‘রক্তমাখা বুকে স্বদেশের ছবি’। দীর্ঘদিন পর সরাসরি সম্প্রচারের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব¡ আসাদুজ্জামান নূর। এ অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত বিভিন্ন গান, কবিতা, থাকবে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও জেলখানার রোজনামচা পাঠ এবং স্মৃতিচারণ। পরিবেশনায় আসাদুজ্জামান নূরের সঙ্গে আরও থাকবেন স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠসৈনিক শিল্পী তিমির নন্দী, এ প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপি করিম এবং নতুন প্রজন্মের কণ্ঠশিল্পী ঐশিকা নদী। আলমগীর হোসেনের প্রযোজনায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিশেষভাবে সাজানো এ অনুষ্ঠানটি সরাসরি প্রচার হবে। একুশে টেলিভিশনের আয়োজন : একুশে টেলিভিশনে আজ সন্ধ্যা ৬-৩০মিনিটে প্রচার হবে বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র ‘রক্তে লেখা ১৫ আগস্ট’। রঞ্জন মল্লিকের প্রযোজনায় অনুষ্ঠানে ১৫ আগস্টের প্রেক্ষাপট এবং বিভীষিকাময় রাতের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হবে । হাসান সাহিদ ফেরদৌসের প্রযোজনায় মিডিয়ায় প্রতিষ্ঠিত অভিনয় ও সঙ্গীত শিল্পীদের নিয়ে নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র ‘আমি বঙ্গবন্ধুকে দেখিনি’ প্রচার হবে রাত ৮টায়। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিশেষ আলোচনা এবং পাঠ আসর ‘মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধু’ প্রচার হবে রাত ১০টায় । শাহদাত হোসেন নীপুর উপস্থাপনা এবং মাসুদুজ্জামান সোহাগের প্রযোজনায় অনুষ্ঠানে অতিথি থাকবেন কামাল লোহানী, সৈয়দ হাসান ইমাম, শেখ হাফিজুর রহমান এবং আফসানা মিমি। এশিয়ান টিভিতে ‘বিনম্র শ্রদ্ধা’ : জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিশেষ স্মরণ অনুষ্ঠান টিব্রেক ‘বিনম্র শ্রদ্ধা’য় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কথা বলবেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, দেশবরেণ্য চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব চিত্রনায়ক ফারুক। যুদ্ধকালীন সেই তরুণ বেলায় বঙ্গবন্ধু প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার মনে কতটা প্রভাব রেখেছিল। স্মৃতিচারণের এক পর্যায়ে চিত্রনায়ক ফারুক অশ্রসজল হয়ে বলেন, আমি এ প্রজন্মের কাছে শুধু একটি অনুরোধ করছি, তোমরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোনো বিভাজন করো না। চিত্রনায়ক ফারুকের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার পাশাপাশি থাকছে আবৃত্তি। শিল্পী শিমুল মুস্তাফার উপস্থাপনায় বঙ্গবন্ধু স্মরণে এই বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার হবে আজ সন্ধ্যা ৬ টায়। অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন সুদীপ্ত সরকার। চ্যানেল আইতে কাহিনী চিত্র ‘ইতিহাসের কৃষ্ণপক্ষ’ : ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে প্রতিবছর ১৫ আগস্ট বাঙালীর হৃদয়ে শোক আর কষ্টের দীর্ঘশ্বাস হয়ে ফিরে আসে। বাঙালী জাতির জীবনে সর্বাঙ্গীনভাবে একটি কালো দিবস ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। এই কালো দিনটিতেই জাতি হারিয়েছে তার গর্ব, দেশের শ্রষ্ঠা, আবহমান বাংলা ও বাঙালীর আরাধ্য পুরুষ, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, ইতিহাসের মহানায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে নৃশংসভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে রচিত হয় এক কলঙ্কিত ইতিহাস। যেদিন রাতে তিনি নিহত হয়েছিলেন ঠিক সেদিন সকালেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে হারানো ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিল। এ উপলক্ষে সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবর্ধনা নিতে আসার কথাও ছিল। এই সত্য ঘটনা অবলম্বনে নাট্যকার ও গীতিকবি সহিদ রাহমান ‘মহামানবের দেশে’ নামে একটি গল্প রচনা করেছেন । গল্পটি ‘ইতিহাসের কৃষ্ণপক্ষ’ নামে নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন মান্নান হীরা। ঢাকার অদূরে পূবাইল ও উত্তরায় এই কাহিনী চিত্রের শূটিং হয়েছে। কাহিনী চিত্রের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন দেশ বরেন্য অভিনেতা তারিক আনাম খান, ফজলুর রহমান বাবু, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী শর্মীমালা, মঞ্চের দাপুটে অভিনেত্রী মোমেনা চৌধুরী প্রমুখ। ‘ইতিহাসের কৃষ্ণপক্ষ’ কাহিনী চিত্রটি বঙ্গবন্ধুর ৪২তম শাহাদাতবার্ষিকী দিবস উপলক্ষে আজ রাত ৭-৫০ মিনিটে চ্যানেল আইতে প্রচার হবে। কাহিনী চিত্রটি প্রসঙ্গে নাট্যকার সহিদ রাহমান বলেন, প্রতিটি বাঙালী বঙ্গবন্ধুর অবদানের প্রতি ঋণী। সেই ঋণ কোন দিন শোধ করার মতো নয়। তবুও তার আদর্শ কত তীব্রভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে দেশের প্রতি ভালবাসা জাগিয়েছিল তা দেখানোর চেষ্টা করেছি। এটা আমার পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ঋণ শোধের অতি ক্ষুদ্রতম প্রয়াস। অভিনেতা তারিক আনাম খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের গল্পে অভিনয়কে শুধু অভিনয় নয়, দায়বদ্ধতা মনে করি। নিজে মুক্তিযুদ্ধ করেছি তাই এই কাহিনী চিত্রে কাজ করতে গিয়ে বার বার মুক্তিযুদ্ধের সেই সময়ে ফিরে গেছি। সহিদ রাহমান একটি সত্য ঘটনার সঙ্গে দারুণ আবেগিক একটি গল্প লিখেছেন। আশা করি কাহিনী চিত্র মানুষকে তাড়িত করবে। অভিনেত্রী শর্মীমালা বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ আমি দেখিনি। তাই সেই সময়ের গল্পে কাজ করতে গিয়ে বেশ পড়াশোনা করতে হয়েছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা তার প্রেমিকা বা স্ত্রীকে ছেড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে যুদ্ধে গেল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুকে এক নজর দেখার জন্য গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় চলে আসে। খুবই আবেগিক গল্প, মন দিয়ে কাজ করেছি। আশা করছি দর্শক এই কাহিনী চিত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তাকে নতুন মাত্রায় আবিষ্কার করবেন।
×