ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাবিতে ছাত্রলীগের ধাওয়া খেয়ে পালাল ছাত্রদল

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ১১ আগস্ট ২০১৭

ঢাবিতে ছাত্রলীগের ধাওয়া খেয়ে পালাল ছাত্রদল

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ডাকা মুক্ত আলোচনায় অংশ নিতে ক্যাম্পাসে আসলে ছাত্রদলকে ধাওয়া দেয় ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মধুর ক্যান্টিনের সামনে এ উন্মুক্ত আলোচনা শুরু হয়। আলোচনা শুরুর আগে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সিদ্দিকীর নেতৃত্বে শ’খানেক ছাত্রদল নেতাকর্মী। এ সময় মধুর ক্যান্টিনের আশপাশে উপস্থিত থাকা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কাজী এনায়েত, মেহেদী হাসান রনি, আদিত্য নন্দী, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানিসহ কয়েক নেতাকর্মী তাদের ধাওয়া দেয়। এ ঘটনায় হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মামুন আহত হয়েছেন বলে দাবি করে ছাত্রদল। এদিকে এ মুক্ত আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিক আবিদ আল হাসান। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হলে আলোচনায় অংশ নিবেন বলেও জানান আবিদ আল হাসান। তিনি বলেন, আমরাও ডাকসু নির্বাচন চাই। আর এ বিষয়ে আলোচনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাকলে উপস্থিত হবো। কোন ভিত্তিহীন ডাকে আমরা সাড়া দিব না। আলোচনায় ডাক দেয়া সমন্বয়কদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ঢাবি ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মোতাহের হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, যারা আলোচনার জন্য ডাক দিয়েছে তারা বিভিন্ন বাম ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। প্রশাসনের অধীনে মুক্ত আলোচনা হলে আমরা সেখানে অংশ নিব। ধাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার বলেন, ডাকসুর দাবিতে ডাকা পূর্ব ঘোষিত উন্মুক্ত আলোচনায় আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল অংশ নিতে এসেছিলাম। কিন্তু ছাত্রলীগের নেতারা আমাদের সে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিতে দেয়নি। তারা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। মুক্ত আলোচনার ডাক দেয়া কর্মসূচীর সমন্বয়ক সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কর্মী মাসুদ আল মাহাদী বলেন, আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। প্রত্যেক সংগঠনের তিনজন প্রতিনিধি আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ছাত্রদল অনেক নেতাকর্মী নিয়ে ক্যাম্পাসে শোডাউনের মতো করে উপস্থিত হয়েছিল। যেহেতু আমাদের আমন্ত্রণে তারা এসেছিল, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া করাটা ঠিক হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সকল ছাত্র সংগঠনকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছিল বলে জানান মাহাদী। ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের অনুপস্থিতিতেই চলে মুক্ত আলোচনা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টে মার্কসবাদী ও খলিকুজ্জামান অংশ ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের দুই অংশ। সভা থেকে ডাকসু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
×