ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

জবি উপাচার্যকে জড়িয়ে যা বলা হয়েছে সেটা সত্যি নয়

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ৮ আগস্ট ২০১৭

জবি উপাচার্যকে জড়িয়ে যা বলা হয়েছে সেটা সত্যি নয়

৭ আগস্ট, ২০১৭ তারিখে আপনার বহুল প্রচারিত দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় ‘ঢাবি উপাচার্য নির্বাচন নিয়ে বিএনপি জামায়াতীদের চক্রান্ত’ শীর্ষক প্রতিবেদনের উপ-শিরোনামে ‘বিক্ষোভের আগে জগন্নাথের উপাচার্যের সঙ্গে বাম নেতাদের সাক্ষাত’-এর একাংশের বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ‘ঢাবি উপাচার্য নির্বাচন নিয়ে বিএনপি জামায়াতীদের চক্রান্ত’ শিরোনামে সোহেল তানভীরের প্রতিবেদনের একাংশে (পৃ:১৯, ক:৪) সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানকে জড়ানো হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনের শুরুতেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করার পূর্ব থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সঙ্গে যে দ্বন্দ্বের কথা বলা হয়েছে তাও সত্য নয়। ড. আরেফিন সিদ্দিকের সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমানের কোন দ্বন্দ্ব কখনও ছিল না, এখনও নেই। কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ড. আরেফিন সিদ্দিককে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যাতে অধিকতর টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে পারেন সে পথ সুগম করার লক্ষ্যে কোষাধ্যক্ষের পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছিলেন অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। ২৯ জুলাই, ২০১৭ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন প্রাক্কালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তুরস্ক সফরে ছিলেন। সিনেট অধিবেশনের সময় বিক্ষোভ ও শিক্ষকদের সেখানে অবস্থানের ঘটনাটি তিনি রাতে দেশে ফিরে গণমাধ্যমে অবগত হন। গণমাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন বর্তমান ও একজন সাবেক শিক্ষকের নাম উল্লেখ করা হয়। একমাত্র গণমাধ্যমের খবর ছাড়া আর কোন ব্যাখ্যা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট না থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার ব্যাপারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত উক্ত দু’জন শিক্ষকের নিকট ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। উল্লিখিত ঘটনার তিনদিন পর ১ আগস্ট, ২০১৭ তারিখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপাচার্যের নিকট একটি স্মারকলিপি জমা দেন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন শিক্ষকের কথিত ভূমিকার বিচার দাবি করে কয়েক মিনিটের মধ্যেই চলে যান। সে সময় বেশ কিছু সাধারণ শিক্ষার্থী ও কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, প্রতিবেদনে বাম ছাত্রনেতাদের উপাচার্যের ‘ব্যক্তিগত কক্ষে’ ডেকে নেয়ার কথা বলা হয়েছে। এ ধরনের কোন ‘ব্যক্তিগত কক্ষ’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেই। তাছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট অধিবেশন বা উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে বাম নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ব্যক্তিগত পর্যায়ে কোন আলাপ-আলোচনা হয়নি। উক্ত প্রতিবেদনের উপরোক্ত অংশটি মোটেই সঠিক নয়।
×