ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্ত্রীর স্বীকৃতি চাওয়ায় কলেজছাত্রীকে হত্যার হুমকি

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ৪ আগস্ট ২০১৭

স্ত্রীর স্বীকৃতি চাওয়ায়  কলেজছাত্রীকে  হত্যার হুমকি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ৩ আগস্ট ॥ কুমিল্লায় স্ত্রীর স্বীকৃতি চাওয়ায় সুমাইয়া খন্দকার বিথী নামে এক কলেজছাত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। দেড় বছর আগে নগরীর হাউজিং এস্টেট এলাকার একটি বাসায় ডাঃ সাইফুল ইসলাম মজুমদার ওই ছাত্রীর সঙ্গে দাম্পত্যজীবন শুরু করেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ওই বাসা থেকে সাইফুল উধাও হয়ে যান। সম্প্রতি বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করায় স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে আদালতে মামলা দায়েরের পর থেকে ডাঃ সাইফুল ও তার লোকজনের হুমকির মুখে ওই ছাত্রীসহ তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর টমছম ব্রিজ এলাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজের ডিগ্রী দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও নগরীর দক্ষিণ চর্থা এলাকার জামাল খন্দকারের মেয়ে সুমাইয়া খন্দকার বিথী এসব অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে সেন্ট্রাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের প্রভাষক ডাঃ সাইফুল ইসলাম মজুমদারের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে সুমাইয়া খন্দকার বিথীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে সুমাইয়াকে নিয়ে বাগেরহাটে যান সাইফুল এবং সেখানে সাইফুলের বন্ধুদের পরিচিত এক কাজীর মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন হয়। সেখানে স্থানীয় একটি আবাসিক হোটেলে তারা চার দিন অবস্থান শেষে কুমিল্লায় ফিরে আসেন। পরে নগরীর হাউজিং এস্টেটের ৩নং সেকশনের ‘ফাইজা হাউস’ নামের একটি বাড়িতে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন। গত দেড় বছরে সুমাইয়াকে নিয়ে সাইফুল কুমিল্লা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে আনন্দ ভ্রমণে ঘুরে বেড়িয়েছেন। পরবর্তীতে সুমাইয়া স্বামীর বাড়িতে যেতে চাইলে সাইফুল বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে সাইফুল ওই বাসায় সুমাইয়াকে রেখে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কৌশলে উধাও হয়ে যান। বিষয়টি সুরাহার জন্য সুমাইয়া ও তার পরিবার সাইফুলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি। এতে নিরুপায় সুমাইয়া হয়ে গত ৭ জুন কুমিল্লায় নারী ও শিশু অপরাধ দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। সুমাইয়া বলেন, গত ৩১ জুলাই আমার বাবাকে তালতলা চৌমুহনী নিয়ে পাঁচ লাখ টাকায় পুরো বিষয়টি মিটমাটসহ মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেয়া হয়। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেনÑ সুমাইয়ার কলেজের সহপাঠী শাহিনুর রহমান, জোবায়েরুল হক নেপু, আবদুল আসাদ, শাহিন আক্তার মুন্নীসহ তার স্বজনরা। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডাঃ সাইফুল ইসলাম মজুমদার বলেন, নগরীর হাউজিং এস্টেটে বাসা ভাড়া করে সুমাইয়া থাকত। আমি মাঝেমধ্যে সেখানে যেতাম কিন্তু তাকে বিয়ে করিনি। বাগেরহাটের বিনোদন স্পটে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের অনেকগুলো ছবি এবং সেখানে আবাসিক হোটেলে অবস্থানের রিসিট রয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়ে তাকে (সাইফুল) ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।
×