ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাতিল হচ্ছে সিটিসেলের লাইসেন্স

প্রকাশিত: ০৭:৫৩, ২৫ জুলাই ২০১৭

বাতিল হচ্ছে সিটিসেলের লাইসেন্স

বিডিনিউজ ॥ সদ্য বন্ধ হয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ সোমবার বিডিনিউজকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে অনুমতি পাওয়ার পর সোমবার কমিশনের বিশেষ সভায় সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। কী প্রক্রিয়ায় লাইসেন্স বাতিল হবে তা দুই একদিনের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান বিটিআরসি প্রধান। “খুব শীঘ্রই গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে,” বলেন বিটিআরসির এক কর্মকর্তা। বিটিআরসির পাওনা পৌনে পাঁচশ কোটি টাকা না দেয়ায় গত ২১ অক্টোবর সিটিসেলের তরঙ্গ বন্ধ করে দেয়া হয়। দেনা পরিশোধের প্রতিশ্রুতিতে আদালতের নির্দেশে ১৭ দিন পর সিটিসেলের সংযোগ ফিরিয়ে দেয়া হয়। সংযোগ ফিরে পেলেও সে সময় থেকে সিটিসেলের আর কোন গ্রাহক ছিল না। বিটিআরসির এক উর্ধতন কর্মকর্তা জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী গত বছর অক্টোবরে এবং এ বছর মার্চে চলতি দেনা ও বকেয়া পরিশোধ না করা এবং লাইসেন্স শর্ত ভঙ্গ করায় সিটিসেলের লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না এ বিষয়ে কারণ দর্শানো নোটিস পাঠায় বিটিআরসি। নোটিসের জবাবে সিটিসেল জানায়, পাওনার হিসেবে তারা বিটিআরসিকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে দিয়েছে তাই তারা আর কোন টাকা দেবে না। গত জুনে বিটিআরসি আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী চলতি দেনা ও বকেয়া পরিশোধ না করা এবং লাইসেন্স শর্ত ভঙ্গ করার অভিযোগে সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করে সরকারের কাছে। গত সপ্তাহে সেই সুপারিশে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সম্মতি দিলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ তা বিটিআরসিতে প্রেরণ করে। সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিল হলে দেশে মোবাইল ফোন অপারেটরের সংখ্যা দাঁড়াবে ৪টি। ইতোমধ্যে রবি-এয়ারটেল একীভূত হয়েছে। এই কোম্পানির ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক বিএনপি নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানের প্যাসিফিক মোটরস লিমিটেড। সিঙ্গাপুরের সিংটেলের হাতে আছে ৪৫ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া ফার ইস্ট টেলিকম লিমিটেড ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিক।
×