ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মা সেতুর ১৪ পিলারের ডিজাইন চূড়ান্ত সেপ্টেম্বরে

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ২২ জুলাই ২০১৭

পদ্মা সেতুর ১৪ পিলারের ডিজাইন চূড়ান্ত সেপ্টেম্বরে

মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, মাওয়া থেকে ফিরে ॥ পদ্মা সেতুর জন্য একটি বিশেষ হ্যামার তৈরি হচ্ছে জার্মানিতে। সেতুর মাওয়া অংশের কয়েকটি পিলারের জন্য আরও উচ্চ ক্ষমতার হ্যামারের প্রয়োজন বুঝেই এটি অর্ডার করা হয়েছে। দু’মাস আগে থেকে এই হ্যামার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আগামী নবেম্বরের দিকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ক্ষমতার হ্যামারটি মাওয়ায় পৌঁছার কথা রয়েছে। এটি সাড়ে তিন হাজার কিলোজুল ক্ষমতার। এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ক্ষমতার হ্যামার ছিল ৩ হাজার কিলোজুল। সেটিও এখন মাওয়ায় রয়েছে। সেতুর পাইল বেশি গভীরে প্রবেশের কারণেই এই বেশি ক্ষমতাধর হ্যামারের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। এদিকে ১৯ শ’ কিলোজুল ক্ষমতার আরেকটি হ্যামার সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়েছে। শুক্রবার এটি সিঙ্গাপুরের কাছাকাছি অবস্থান করছিল। সমুদ্রপথে বাংলাদেশে আসছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে হ্যামারটি মাওয়ায় পৌঁছবার কথা রয়েছে। আগস্টের প্রথম দিকেই এই হ্যামার পুরোদমে কাজ শুরু করবে। এদিকে পদ্মা সেতুর ১৪টি পিলারের চূড়ান্ত ডিজাইন নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। ব্রিটিশ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘কাউই’ এই ডিজাইন নিয়ে কাজ করছে। এই প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ের তিনজন বিশেষজ্ঞ এখন মাওয়ায় অবস্থান করছে। গত ১৭ জুলাই তারা মাওয়ায় আসেন। বিভিন্ন কারণে সেতুর ১৪টি পিলারের ডিজাইন চ্যালেঞ্জে পড়ে। তাই ডিজাইন চূড়ান্ত করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। জটিলতায় থাকা ১৪টি পিলারের ডিজাইন চূড়ান্ত করতে ব্রিটিশ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘কাউই’ ওয়ার্কঅর্ডার পাওয়ার পর এখন পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পদ্মা সেতুর দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা জানান, কাউই আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাকি থাকা ১৪ পিলারের ডিজাইন চূড়ান্ত করবে। এরপরই মাওয়া প্রান্তের ৬, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর পিলারসহ ১৪ পিলারের কাজ শুরু হবে। তিন সদস্যের বিদেশী বিশেষজ্ঞ দলটি রবিবার ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে পদ্মা সেতুর অন্যান্য সেক্টরের কাজও চলছে পুরোদমে। পদ্মার প্রবল ¯্রােত আর রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাতদিন চলছে বিরামহীন কাজ। সেতুর জাজিরা প্রান্তের ৩৮ নম্বর পিলারের ফাইনাল লেয়ারের বেজ ঢালাই হচ্ছে রবিবার। এর আগেই ৩৭ নম্বর পিলারের ফাইনাল লেয়ারের বেজ ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে। গণগ্রন্থাগারে আবৃত্তিসন্ধ্যা ‘ধারা নিরন্তর’ শুক্রবার সন্ধ্যায় কবিতার শিল্পীত উচ্চারণে মুখরিত হলো সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তন। অনুষ্ঠিত হলো ‘ধারা নিরন্তর’ শীর্ষক আবৃত্তিসন্ধ্যা। প্রযোজনাটি উপস্থাপন করে মুক্তধারা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র। অনুষ্ঠানে একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন সৈয়দ হাসান ইমাম, আশরাফুল আলম, রূপা চক্রবর্তী, শিমুল মুস্তাফা ও রফিকুল ইসলাম। এছাড়া মুক্তধারার শিল্পীরা কবি আহসান হাবীবের কবিতা ‘দোহাই তোমার’-এর বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করেন। তাহেরের মৃত্যুবার্ষিকীতে মঞ্চস্থ ক্রাচের কর্নেল বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল তাহেরের মৃত্যুবার্ষিকী ছিল ২১ জুলাই শুক্রবার। এ উপলক্ষে এদিন সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে কর্নেল তাহের সংসদের পক্ষ থেকে স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ আয়োজনে মঞ্চস্থ হয় নাট্যদল বটতলার নাটক ক্রাচের কর্নেল। কর্নেল তাহেরকে ঘিরেই নির্মিত হয়েছে নাটকটি শাহাদুজ্জামানের উপন্যাস থেকে প্রযোজনাটির নাট্যরূপ দিয়েছেন সৌম্য সরকার ও সামিনা লুৎফা নিত্রা। আরশীনগর ফাউন্ডেশনের ‘শতবর্ষের গান’ দেশীয় সংস্কৃতি চর্চায় নিবেদিত সংগঠন আরশীনগর ফাউন্ডেশন। সংগঠটির ত্রৈমাসিক সঙ্গীত আয়োজনের অংশ হিসেবে শুক্রবার হয়ে গেল ‘শতবর্ষের গান’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। সঙ্গীত পরিবেশনা ও আলোচনায় সাজানো ছিল। ছুটির দিনে বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আয়োজনের প্রথম পর্বে ছিল ‘দেশীয় সংস্কৃতি বিকাশে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনাসভা। হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে সংস্কৃতিমন্ত্রীর স্মৃতিচারণ হুমায়ূন আহমেদ নির্মিত ‘আগুনের পরশমণি’ চলচ্চিত্র কিংবা ‘কোথাও কেউ নেই’ অথবা ‘অয়োময়’ নাটকে অভিনয়ে করে খ্যাতির শীর্ষে উঠেছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। শুক্রবার সেই হুমায়ূনকে নিজের সেসব স্মৃতিচারণ করলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী। হুমায়ূন আহমেদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমির স্টুডি থিয়েটার হলে ম্যাড থেটারের ‘নদ্দিউ নতিম’ নাটকের এক প্রদর্শনীতে এসে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে হুমায়ূন আহমেদ ‘কাব্যিক ও অতিনাটকীয়’ নাট্যধারায় আমূল পরিবর্তন এনেছিলেন। হুমায়ূন তার নাটকে মানুষের মুখের কথা, বুকের কথা, প্রতিদিনের কথা বলতেন। আজকে যারা আমাকে দেখতে আসে তাদের অনেকের দাদা দাদীরাও হয়তো আমাদের নাটক দেখেনি। এই যে স্বাদ, তা হুমায়ূন আহমেদের নাটক ব্যতীত কোথাও পেলাম না। হুমায়ূন আহমেদের গল্প-সংলাপ অত্যন্ত শক্তিশালী।
×