ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

উত্তর প্রদেশ বিধানসভায় বিস্ফোরক ॥ এনআইএ তদন্ত দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৫ জুলাই ২০১৭

উত্তর প্রদেশ বিধানসভায় বিস্ফোরক ॥ এনআইএ তদন্ত দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বিধানসভার ভেতর থেকে সন্দেহজনক সাদা পাউডারের প্যাকেট পাওয়ার একদিন পর বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। অধিবেশন চলাকালে এ ধরনের ঘটনায় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইনের। অধিবেশন চলাকালে উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে জরুরী বৈঠকে বসেছেন। অধিবেশন ভাষণে তিনি বলেন, আমরা কি চারশ’ তিনজন এমএলএর নিরাপত্তা নিয়ে কোন আপোস করতে পারি। এটি হলো পিইটিএন, যা খুবই বিপজ্জনক। এর পেছনে কে রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। প্রত্যেক নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। অধিবেশন কক্ষে এ ধরনের ঘটনার পর সেখানে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ সপ্তাহে উত্তর প্রদেশ বিধানসভার অধিবেশন শুরু হয়েছে। এটিই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরকারের প্রথম বাজেট অধিবেশন। বুধবার অধিবেশন চলাকালে সমাজবাদী পার্টির এমএলএ মনোজ পান্ডের আসনের নিচে প্রায় ১৫০ গ্রাম ওজনের একটি প্যাকেট পাওয়া যায়। ঘটনা জানাজানি হলে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা দ্রুতই এ্যাসেম্বলি ভবনে পৌঁছে যান। ফরেনসিক ল্যাবরেটরি টেস্টের জন্য পাঠানো হলে প্লাস্টিক বিস্ফোরক বলে জানা যায়। উদ্ধার হওয়া পাউডার পেন্টাএ্যারিথ্রিটল টেট্রা নাইট্রেট কম্পাউন্ড (পিইটিএন) বলে জানান ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। বিধান সভাকক্ষে বিস্ফোরক পাউডার উদ্ধার হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এ ধরনের পাউডার শক্তিশালী বোমা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। সিঙ্গাপুরে মাদক পাচারের দায়ে মালয়েশীয় নাগরিকের ফাঁসি সিঙ্গাপুর সরকার শুক্রবার মাদক পাচারের দায়ে এক মালয়েশীয় নাগরিকের মৃত্যুদ- কার্যকর করেছে। প্রবাগারন শ্রীবিজয়ান (২৯) নামের এ মালয়েশীয় নাগরিক ২০১২ সালে প্রাইভেটকারের ভেতর ২২ দশমিক ২৪ গ্রাম হেরোইনসহ সিঙ্গাপুরে পুলিশ চেকপোস্টে গ্রেফতার হয়েছিল। খবর এএফপির। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা বিচারকার্যে বেশকিছু ত্রুটির কথা উল্লেখ করে শ্রীবিজয়ানের সাজা কমানোর আবেদন করেছিল। সিঙ্গাপুর কেন্দ্রীয় মাদকবিষয়ক ব্যুরো এক বিবৃতিতে জানায়, শুক্রবার তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়। দুই বছর আগে আদালতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে হেরোইন পাচারের দায়ে মৃত্যুদ-ের রায় ঘোষণা করা হয়েছিল। সিঙ্গাপুরের মাদক আইন অনুযায়ী কারও কাছে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মাদক পাওয়া গেলে তাকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়। মাদকবিষয়ক ব্যুরো জানায়, মালয়েশীয় নাগরিকের কাছে যে পরিমাণ হেরোইন পাওয়া গিয়েছিল, তা ২৬৫ জন মাদকাসক্ত ব্যক্তির এক সপ্তাহ মাদক গ্রহণের জন্য যথেষ্ট। দ-প্রাপ্ত মালয়েশীয় নাগরিক সিঙ্গাপুর ও তার দেশের উচ্চ আদালতে আপীল করেছিল। মালয়েশিয়ার উচ্চ আদালত তার আপীলটি হেগে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে প্রেরণ করেছিল।
×