ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

টুকরো খবর

প্রকাশিত: ০৭:০৯, ৯ জুলাই ২০১৭

টুকরো খবর

অবিক্রীত ছোলার দরপতন গত রমজানকে ঘিরে চাহিদার চেয়ে বাড়তি ছোলা আমদানি করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু রমজানজুড়ে বৃষ্টি ও মৌসুমি ফলের কারণে পণ্যটির বিক্রি হয়েছে লক্ষ্যের চেয়ে অনেক কম। রোজার শেষভাগ থেকে এখন পর্যন্ত বাজারে পণ্যটির বিকিকিনি নেই বললেই চলে। ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছর আমদানিকৃত ছোলার প্রায় ৮০ শতাংশই অবিক্রীত রয়ে গেছে। এসব ছোলা দীর্ঘদিন গুদামে রেখে বিক্রি করতে হবে। এতে গুদাম ভাড়া ও ব্যাংকের সুদ গুনতে হবে। ফলে প্রতি বস্তা ছোলায় কমপক্ষে ৫০০ টাকা লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে যাদের হাজার টনের বেশি ছোলা মজুদ রয়েছে, বড় ধরনের লোকসানের ঝুঁকিতে রয়েছেন তারা। ট্যারিফ কমিশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে ছোলার বার্ষিক চাহিদা ১ লাখ ৪৪ হাজার টন। এর অর্ধেক অর্থাৎ ৭০ হাজার টনের চাহিদা থাকে রোজাকে কেন্দ্র করে। চট্টগ্রাম কাস্টমসের তথ্যমতে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই থেকে মে পর্যন্ত) দেশে পণ্যটি আমদানি হয়েছে ৩ লাখ ২২ হাজার ৮১২ টন। সে হিসাবে চাহিদার প্রায় ৫৫ শতাংশ বাড়তি ছোলা আমদানি হয়েছে। চাহিদার বাড়তি আমদানি হলেও সে পরিমাণে বিক্রি না হওয়ায় মজুদকৃত ছোলা নিয়ে বিপাকে রয়েছেন আমদানিকারকরা। এসব ছোলা দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষণ করলে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। আমদানিকারকরা জানান, রমজান ঘিরে আন্তর্জাতিক বাজারে ছোলার দাম বেশি ছিল। সে সময় তাদের ৮৫০-৯০০ ডলারে প্রতি টন ছোলা কিনতে হয়েছে। সে হিসেবে প্রতি মণ ছোলায় খরচ হয়েছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা। বর্তমানে সে ছোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকায়। বন্ড সুবিধা পাচ্ছে চামড়া শিল্প দেশের রফতানি আয় মূলত পোশাক শিল্পনির্ভর। এতে বৈচিত্র্য আনতে পণ্যভিত্তিক রফতানিকে উৎসাহ দেয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে পোশাকের মতোই বন্ড সুবিধা পেতে যাচ্ছে চামড়া ও পাদুকাসহ চামড়াজাত পণ্য। বর্তমানে বন্ড সুবিধা বিদ্যমান আছে চামড়াজাত পাদুকা শিল্পে। তবে তা পোশাক খাতের অনুরূপ নয়। বর্তমানে তিন বছর মেয়াদী বন্ড সুবিধা থাকলেও তা সব শিল্পের জন্য নয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে চামড়া ও পাদুকাসহ চামড়াজাত পণ্যের ক্ষেত্রে এটি তিন বছর মেয়াদী করা হবে। লেদারগুডস এ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলএফএমইএবি) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল মোমেন ভুইয়া এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে বলেছেন, বর্ষপণ্য ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারী খাতের সমন্বয়ে সরকার বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করছে। এখানে আমাদের একটি দাবি ছিল বন্ডসহ বিভিন্ন সুবিধা পোশাক শিল্পের অনুরূপ করা। এটিসহ বার্ষিক কর্মপরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন হলে খাতটি আরও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চামড়া ও পাদুকাসহ চামড়াজাত পণ্য ঘিরে যেসব পরিকল্পনা করা হয়েছে, তার মধ্যে আছে ২০২১ সালের মধ্যে খাতটি থেকে ৫০০ কোটি ডলার আয়ের লক্ষ্য অর্জনে নীতিসহায়তা প্রদান।
×