ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিএডিসি ডিলারদের বিরুদ্ধে দ্বিগুণ দামে বিক্রির অভিযোগ

বাউফলে আমন বীজের কৃত্রিম সঙ্কট

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ৭ জুলাই ২০১৭

বাউফলে আমন বীজের কৃত্রিম সঙ্কট

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ৬ জুলাই ॥ বীজ ধানের কৃত্রিম সঙ্কট দেখিয়ে বাউফলে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) অনুমোদিত ডিলারদের বিরুদ্ধে বীজধান বিক্রয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডিলারদের দাবি জেলা অফিস থেকে চাহিদা অনুযায়ী বীজ না পাওয়ায় তারা বিকল্প উপায়ে বীজ সরবরাহ করায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কৃষকদের অভিযোগ, ডিলারদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা একটি সিন্ডিগেট তৈরি করে কৃত্রিম সঙ্কট দেখিয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাউফলে প্রায় ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার হেক্টর জমির জন্য ৫০ টন আমন বীজের চাহিদা দেয়া হয়েছিল। বাকি জমির জন্য স্থানীয় জাতের উচ্চফলনশীল বীজ কৃষক সংগ্রহে থাকে। কৃষি কর্মকর্তা সরোয়ার জামান জানান, উপজেলার চাহিদা মোতাবেক বিএডিসির ডিলাররা ঠিক কী পরিমাণ বীজ সংগ্রহ করতে পেরেছেন তার কোন হিসেব তারা দেননা। বিএডিসি তাদের আওতাধীন না হওয়ায় তাদের কোন তথ্যই আমাদেরকে জানান না। এ সমন্বয়হীনতার কারণেই বীজ বিক্রয়ের সময়টা এ অরাজকতা দেখা দেয়। কৃষকরা বাধ্য হয়ে বেশি দামে বীজ সংগ্রহ করেন। বাউফলের কালিশুরী বন্দরে বিএডিসির ডিলার কবীর দুয়ারী জানান, জেলা থেকে বীজ সরবরাহ করতে না পারায় বরিশালের বাকেরগঞ্জ বীজ ভা-ার থেকে প্রতি বস্তা ৩৫০ টাকার পরিবর্তে ৬০০ টাকায় ক্রয় করে এনে কৃষকদের চাহিদা মেটাচ্ছি। কালাইয়া বন্দরের হাজী এ্যান্ড সন্স নামক বিএডিসির ডিলার হাজী আবুল কালাম ও কালাইয়া বীজ ভা-ারের স্বত্বাধিকারী বিএডিসির ডিলার আঃ ছালম মিয়া জানান, তারা পটুয়াখালীর কৃষিঘর নামক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি বস্তা ৬০০ টাকা দরে কিনে এনে বিক্রি করছেন। এদিকে বীজ অঙ্কুরোদগমের সময় শেষ হতে থাকায় কৃষকরা বাধ্য হয়ে ৩৫০ টাকার পরিবর্তে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় প্রতি বস্তা বীজ সংগ্রহ করছেন। দিনাজপুরে অল্পের জন্য রক্ষা পেল শতাধিক যাত্রী স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ অল্পের জন্য দুটি ট্রেন মুখোমুখি সংঘর্ষের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। এতে শতাধিক যাত্রীর প্রাণ রক্ষা পেয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে দিনাজপুর রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। জিআরপি থানা সূত্রে জানা গেছে, দ্রুতযান ট্রেন দিনাজপুর রেলস্টেশনে যাত্রী নামিয়ে ইঞ্জিন ঘোরাচ্ছিল। এ সময় পঞ্চগড় থেকে দিনাজপুরগামী শাটল ট্রেন একই লাইনে ঢুকে পড়ে। দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হচ্ছে বিষয়টি বুঝতে পেরে স্টেশনে উপস্থিত লোকজন চিৎকার শুরু করলে চালক দ্রুতযান ট্রেনটির কয়েক ফুট সামনে গিয়ে শাটল ট্রেনটি থামিয়ে দেয়। ফলে অল্পের জন্য শাটল ট্রেনের শতাধিক যাত্রী দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায়। দিনাজপুর জিআরপি থানার ওসি মোকছেদুর রহমান বিষয়টি স্বীকার করে জানান, লাইনম্যানের গাফিলতির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
×