ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

তিস্তা ব্যারাজের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক

প্রকাশিত: ০৬:০০, ৭ জুলাই ২০১৭

তিস্তা ব্যারাজের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের সরকারী জমি অবৈধভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় থাকা এ জমি অবৈধভাবে দখল করে ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের চাপানি বাজারে শত শত পাকা ও টিনের দোকানঘর ও গুদামঘর নির্মাণ করছে প্রভাবশালীরা। অভিযোগ উঠেছে, ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাজস্ব শাখার কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী এর নেপথ্যে জড়িত থেকে অবৈধ জমি দখলকারীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা যায়, তিস্তা ব্যারাজের যাওয়ার প্রধান সড়কের ডিমলা উপজেলার ডালিয়ার চাপানি বাজারে সেচ ক্যানেল ও সড়কের ধারে তিস্তা ব্যারাজের আওতায় ১০ একর সরকারী জমি রয়েছে, যা দেখাশোনা করে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাজস্ব শাখা। ওই স্থানের রাস্তাসংলগ্ন জমি অবৈধভাবে দখল করে মানিক হোসেন আটটি ঘর, সিদ্দিকুর রহমান চারটি গোডাউনঘর, আছিমুদ্দিন আটটি দোকানঘর, জহুরুল ইসলাম চারটি, আব্দুল লতিফ তিনটি, জাহাঙ্গীর আলম একটি, ফরিদুল ইসলাম একটি, আইউব আলী একটি, মহুবর রহমান একটি, মোজাম হোসেন পাঁচটিসহ প্রায় দুই শতাধিক দোকারঘর তৈরি করা হয়েছে এবং হচ্ছে। এছাড়া আশপাশের জমি যারা অবৈধভাবে দখল করে ঘিরে রেখেছে তারা জমির পজিশন বিক্রি করছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাজস্ব শাখার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রতিটি পাকা দোকানঘর বাবদ ৪০ হাজার ও আধাপাকা দোকানঘর হতে ৩০ হাজার করে টাকা নিচ্ছে। এ সময় জানা যায়, অবৈধ দখলকারীদের মতো অপর এক ব্যবসায়ী সফিয়ার রহমান জমি দখল করে ইট দিয়ে পাকা দোকানঘর নির্মাণ করছে। তাকে ডেকে নিয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাজস্ব কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ৪০ হাজার টাকা বুঝে নিয়ে দ্রুত দোকানঘর নির্মাণের অনুমতি দেয়। এ বিষয়ে ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, চাপানি বাজারে রংপুর ডালিয়া প্রধান সড়কে পাউবোর জমিতে শত শত পাকা-আধাপাকা দোকানঘর তৈরি করার ফলে রাস্তাটি চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপোযোগী হয়েছে। এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাজস্ব কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এটা নিয়ে রিপোর্ট করার প্রয়োজন নেই। আমরা অবৈধ জমি দখলকারীদের তালিকা তৈরি করছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও উচ্ছেদ করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবৈধ দখলদারদের কাছ হতে কোন টাকা নেয়া হয়নি। এটি মিথ্যাভাবে তারা প্রচার করছে।
×