ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

জলাবদ্ধতার আশঙ্কা

ভবদহের খাল বিলে নেটপাটা বসিয়ে মাছ শিকার

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ৫ জুলাই ২০১৭

ভবদহের খাল বিলে নেটপাটা বসিয়ে মাছ শিকার

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই অভয়নগর উপজেলার ভবদহ অঞ্চলের অধিকাংশ খালে ও বিলে অবৈধ নেটপাটা বসিয়ে মাছ শিকার শুরু করেছে শিকারিরা। যে কারণে এ বছর আবারও জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। ভবদহের মুক্তেশ্বরী নদী, মশিয়াহাটীর সীমানার খাল, মদার খাল, বুড়ির খালের শতাধিক স্থানে নেটপাটা, ভেষাল জাল, আটল পাটা বসিয়ে মাছ শিকার করছে স্বার্থান্বেষী মহল। আবার কেউ কেউ মাছ ধরার জন্য খালের মাঝে পুঁতেছে বাঁশ, খুঁটি। এছাড়া নদী ও খালগুলোতে কচুরিপানা ও শেওলায় ভরে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসনের হুঁশিয়ারি দেয়া আছে, ভবদহ অঞ্চলের কোন খাল ও বিলে নেটপাটা বসানো যাবে না, বসালেই দ-। কিন্তু মাছ শিকারিরা মানছে না এই নির্দেশনা। তারা আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গালি দেখিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে নদী ও খালে অবৈধ নেটপাটা বসিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ মাছ শিকার কর আসছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ওই অঞ্চলের ঘের ও পুকুর মালিকরা মেশিন লাগিয়ে পানি সেচ দিয়ে, মাছ ধরে নিচ্ছে। মাছ ধরার বিষয়ে মৎস্য ব্যবসায়ী সুদীপ্ত সাধু জানান, জলাবদ্ধতার আশঙ্কায় মেশিন দিয়ে পানি কমিয়ে ঘেরের সকল মাছ ধরে বিক্রি করে দিচ্ছি। উপজেলার সরখোলা বিলে বুড়ির খালে গিয়ে দেখা গেছে, ওয়াজেদ মোল্যার ছেলে মিলন মোল্যা নেট-পাটা ও ভেষাল জাল দিয়ে মাছ ধরছে। এ ব্যাপারে তিনি জানান, জমিতে ধান হয়নি, মাছ না ধরলে সংসার চালাব কিভাবে? অপরদিকে মুক্তেশ্বরী নদী ও মশিয়াহাটী সীমানার খালে মাছ ধরার জন্য অল্প দূরত্বে নেটপাটা বসিয়ে স্রোতধারা বন্ধ করে রেখেছে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা একটি স্বার্থান্বেষী মহল। স্বাভাবিক মৃত্যুকে পুঁজি করে হত্যা মামলা ॥ প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াইল, ৪ জুলাই ॥ সদর উপজেলার কল্যাণখালী গ্রামের হাসিনা বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধূর স্বাভাবিক মৃত্যুকে পুঁজি করে প্রতিপক্ষকে হত্যা মামলায় ফাঁসানোর চক্রান্তের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনের সড়কে এলাকাবাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এলাকাবাসীর পক্ষে আলমগীর কবীর তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ১ জুলাই সকালে সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামের জালাল উদ্দিন মন্টুর ছেলে জুয়েলকে প্রতিপক্ষ রুহোল গ্রুপের লোকজন মারধর করে। এ ঘটনার পরে জালাল উদ্দিন মন্টুর লোকজন প্রতিপক্ষের আব্দুল হামিদ মোল্যাকে মারধর করে। পরবর্তী সময়ে বিকেলে মন্টুর স্ত্রী হাসিনা বেগম হৃদযন্ত্রের ক্রীয়াবন্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করে। বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর, ৪ জুলাই ॥ দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাঘারচর গ্রামে সীমান্তের ১০৭৩ নম্বর পিলারের কাছে রবিবার রাতে বিএসএফ সদস্যরা এক বাংলাদেশী যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে। একই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও এক বাংলাদেশী। রাতে সীমান্তের ১০৭৩ নম্বর পিলারের কাছ দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করলে বিএসএফ তাদের উপর গুলি চালায়। গুলিতে মাখনেরচর গ্রামের বায়েস আলীর ছেলে আবদুল হাই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ফেরত আসলেও একই গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৫) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। রাজশাহীতে গরু ব্যবসায়ী আহত স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহী থেকে জানান, পবা উপজেলার চর মাজারদিয়াড় সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে তাইনিস (৩২) নামে এক বাংলাদেশী গরু ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। রবিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
×