ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

রায়হান আহমেদ তপাদার

তথ্যপ্রযুক্তির যুগান্তকারী সম্ভাবনায় বিশ্বায়ন

প্রকাশিত: ০৩:৪৭, ৪ জুলাই ২০১৭

তথ্যপ্রযুক্তির যুগান্তকারী সম্ভাবনায় বিশ্বায়ন

বর্তমান বিশ্ববাস্তবতায় বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থানরত বিভিন্ন সমাজ ও সম্প্রদায়ের ইচ্ছা বা অনিচ্ছা যাই থাকুক না কেন, নয়া আন্তর্জাতিক তথ্য শৃঙ্খলে সে প্রবেশ করতে বাধ্য হচ্ছে। তবে একথা উল্লেখ্য যে, তাদের অংশগ্রহণের ধরন সুনির্দিষ্ট সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থা দ্বারা সংজ্ঞায়িত। বৈশ্বিক এবং স্থানিক সীমার মধ্যে পরিব্যাপ্ত বহুমাত্রিক জটিল এই প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে একটি যোগাযোগ প্রপঞ্চ হিসেবে কেবল আন্তঃসাংস্কৃতিক যোগাযোগের প্রেক্ষাপটই পরিবর্তন করে না বরং এর বৈশিষ্ট্যগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও সমভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ। ফ্রাইডম্যানের উল্লিখিত বক্তব্য বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় ক্রিয়াশীল সাংস্কৃতিক ও প্রাযুক্তিক শক্তিসমূহের গভীর গুরুত্বকেই নির্দেশ করে যা সমকালীন বিশ্বকে নতুনভাবে আমাদের সামনে চিত্রায়িত করছে। প্রকৃতপক্ষে সমকালীন গণমাধ্যম এবং বিশ্বায়নের তাত্ত্বিকদের মধ্যে ফ্রাইডম্যানই অন্যতম যিনি বিশ্বায়ন ও তথ্যায়ন। এই দুটি ধারণার শক্তির ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্বারোপ করেছেন যা ইতোমধ্যে শিল্পায়ন, রাজনীতি, সংস্কৃতি এবং সম্ভবত সামাজিক শৃঙ্খলের অন্তর্নিহিত রীতি-নীতিকেও পুনঃসংজ্ঞায়িত করেছে। কিন্তু সহজাতভাবে প্রশ্ন জাগে, মানবীয় জীবনের ওপর সুগভীর প্রভাব রাখতে সক্ষম এমন শক্তিসমূহ প্রকৃত অর্থে কী ? তথ্যপ্রযুক্তির যুগান্তকারী সম্ভাবনা এবং বিশ্বায়ন ইতোমধ্যে শিল্প-কারখানা বিশেষ করে আর্থিক বাজারের ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে। আন্তঃসাংস্কৃতিক যোগাযোগের ওপর এই শক্তিসমূহের প্রভাব কতখানি সেটা বর্তমান প্রেক্ষাপটে আলোচনার দাবি রাখে। এছাড়া আন্তঃসাংস্কৃতিক যোগাযোগীয় তত্ত্বসমূহ কিভাবে আমাদের এই শক্তিসমূহকে চিহ্নিত করতে ও বুঝতে সাহায্য করে সেটাও বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিবেচনার দাবি রাখে। বিশ্বায়ন ও তথ্যায়নের এ যুগে আবির্ভূত নয়া ইস্যুগুলোর সঙ্গে ট্র্যাডিশনাল আন্তঃসাংস্কৃতিক যোগাযোগের ধারণা কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ সেটাও আলোচনা করা প্রয়োজন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। বিশ্বায়নকে এ যাবৎ বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এবং প্রায় সব ক্ষেত্রেই যে কথাটা উঠে এসেছে তা হলো:বিশ্বায়ন এমন একটি ধারণা যা রাজনৈতিক বন্ধন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক এমনকি কম্পিউটার নেটওয়ার্র্কিংয়ের সঙ্গে গভীরভাবে আন্তঃসম্পর্কিত। প্রাথমিকভাবে বিশ্বায়ন ধারণা বলতে আমরা যা বুঝি তা হলো, বিশ্বায়ন এমন এক প্রক্রিয়া যার ফলে বিভিন্ন আর্থিক এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো কোন সুনির্দিষ্ট এলাকাকে অধিক গুরুত্ব না দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে। বিশ্বায়নের ফলে বাজার, জাতি-রাষ্ট্র এমনকি প্রযুক্তির প্রসার এমন ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে যা ইতোপূর্বে কখনোই পরিলক্ষিত হয়নি।বিশ্বায়নকে মূলত অর্থনৈতিক টার্ম দিয়ে বিবেচনা করেছেন এবং তিনি বিশ্বায়নকে প্রাথমিকভাবে অর্থনীতির একটি বর্ধিত কাঠামো হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তার মতে, সুস্পষ্টভাবে অর্থনৈতিক কাঠামোর বিশ্বায়ন বলতে বোঝায় যেখানে স্বাভাবিকভাবেই স্থানীয় ও জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কর্তৃত্ব করে থাকে। এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে আসতে পারে বিভিন্ন বহুজাতিক কর্পোরেশন, সরকারী, আঞ্চলিক অথবা আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ইত্যাদি। যদিও বিশ্বায়নকে অনেকেই অর্থনৈতিক প্রপঞ্চ হিসেবেই ব্যাখ্যা করেছেন কিন্তু বলাবাহুল্য এক্ষেত্রে এটি আরও বহু বিস্তৃৃত হয়ে বর্তমানে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক,প্রাযুক্তিক ইত্যাদি বিশ্বের ওপর বহুমাত্রিক প্রভাব ফেলছে। দেশীয় সীমানা পেরিয়ে পণ্য বিনিময় প্রথা শুরু“ হওয়ার পর থেকেই ধারণা, প্রথা, সাংস্কৃতিক আন্দোলন এমন কি হালে রাজনৈতিক আন্দোলনসহ ইত্যাদি কোনভাবেই আর জাতীয় সীমানার মধ্যে আবদ্ধ থাকছে না। বাস্তব চিত্র হিসেবে বিশ্বায়ন হলো, অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহ, বন্ধনসমূহ এবং নতুন ধাঁচের এক অর্থনৈতিক বাস্তবতা। আর অর্থ বিচারে বিশ্বায়ন হলো, ব্যাপক বাজারের সম্প্রসারণ, পুঁজি ও শিল্পের একত্রীকরণ। বিশ্বায়িত এ যুগে যেখানে সংস্কৃতি প্রতিনিয়ত প্রবাহমান বা পরিবর্তনশীল সেখানে কেবল রাজনৈতিক চেতনা উদ্বুদ্ধ জাতি পরিচয় তার যৌক্তিকতা হারাচ্ছে। শুধু জাতি পরিচয়ের মধ্যে দিয়ে সংজ্ঞায়িত করলে সংস্কৃতিকে খুবই সঙ্কীর্ণ আকারে ব্যাখ্যা করা হয়। মজার ব্যাপার হলো এ জাতীয় প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়া সহজ নয়। কারণ এগুলো আমাদের ওপর আরও কতগুলো মৌলিক প্রশ্ন চাপিয়ে দেয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মিডিয়া নিজে কোন অসাড় বা অক্রিয়াশীল সত্তা নয়। সাংস্কৃতিক ধারা, রীতি-নীতি মিডিয়ার আধেয়, প্রচার উপাদান, কাঠামো ইত্যাদি নির্ধারণ করে দেয়। যেমন, কাতার ভিত্তিক আলজাজিরা টেলিভিশন চ্যানেল এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সিএনএনের মধ্যে তুলনা করলেই আমরা দেখতে পাব কোন্টা সংবাদ আর কোন্টা সংবাদ নয় সে সম্পর্কে উভয়ের মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য আছে। পার্থক্য আছে তাদের সংবাদ নির্বাচন এবং উপস্থাপন বৈচিত্র্যের মধ্যে এবং লক্ষণীয়, উভয়ের সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক আদর্শও ভিন্ন। প্রাসঙ্গিকভাবেই আলোচনায় আসে সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিশ্বায়ন এবং তথ্যায়নের ভূমিকা কতটুকু। তাত্ত্বিকদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন, বিশ্বায়ন মূলত কেন্দ্রমুখীভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বায়নের কেন্দ্র হলো পশ্চিম এবং পশ্চিমা ধারণাকে সমজাতীয়করণ করতেই বিশ্বায়ন ক্রিয়াশীল রয়েছে। ট্র্যাডিশনাল এবং বিবর্তনবাদী উভয় ঘরানার তাত্ত্বিকরাই মনে করেন সাংস্কৃতিক এবং জাতীয় সীমারেখার মধ্যে ব্যাপক মাত্রায় সমকেন্দ্রীকরণ করার ক্ষেত্রে বিশ্বায়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সাম্প্রতিক উন্নত দেশগুলোতে নতুন ধরনের পুঁজিবাদের উত্থানকে প্রায়ই সার্বজনীনতা, জাতি, বর্ণ, স্বাধীনতা, নিরপেক্ষতা এবং মানবাধিকারের সার্বজনীন চেহারা হিসেবে সাধুবাদ দেয়া হয়ে থাকে। আরেকটু এগিয়ে বললে, ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক সীমানা ছাপিয়ে একটা নতুন ধরনের সংস্কৃতির সৃষ্টি হচ্ছে যাকে আমরা পেশাদারিত্ব, প্রাযুক্তিক দক্ষতা এবং সামাজিক শ্রেণী দিয়ে সঠিকভাবে সংজ্ঞায়িত করতে পারি। প্রথমত, মানুষ সাধারণত নিজেকে কোন সম্প্রদায় বা জাতির সদস্য মনে না করে ব্যক্তিক সঙ্কীর্ণ পরিচয়ে উপস্থাপন করতে পছন্দ করে। সেটা হতে পারে নৃতাত্ত্বিক, ধর্মীয় কিংবা ভাবার্দশের প্রতি অনুরক্ত হয়ে। এ দৃষ্টিভঙ্গিতে বিবেচনা করলে দেখা যায়, আমরা যতই বৈশ্বিক হই না কেন আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ততই আঞ্চলিক হয়ে থাকে। আমরা যদিও কোন সুনির্দিষ্ট বিশ্বাস, জীবনধারা কিংবা সামাজিক ধারণা গ্রহণ করতে বাধ্য নই। কিন্তু সেই সঙ্গে কোন বিশ্বাস বা মূল্যবোধকে প্রহণ করার জন্য কারও পক্ষ থেকে আমাদের ওপর কোন চাপও থাকে না। দ্বিতীয়ত, ব্যাপক ধরনের তথ্য প্রবেশগম্যতার ফলে কোন ব্যক্তি আর তথ্যের জন্য তার নিজস্ব কম্যুনিটি কিংবা সমাজের ওপর নির্ভর করে না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যোগাযোগ প্রযুক্তির অভূতপূর্ব বিকাশের ফলে এখন যে কেউ অনলাইনের মাধ্যমে অন্য ধর্ম বা বিশ্বাস সম্পর্কে তথ্য গ্রহণ করতে পারে এবং চাইলে নিজস্ব ধর্ম বা কম্যুনিটির বাইরে গিয়ে অন্য বিশ্বাসে দীক্ষিত হতে পারে। এটা আন্তঃসাংস্কৃতিক যোগাযোগ ও ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য মারাত্মকভাবে হুমকিস্বরূপ। বলাবাহুল্য যোগাযোগ প্রযুক্তির এই বিপ্লব মানুষের সামনে চিন্তার স্বাধীনতার দ্বার আরও বেশি করে উন্মুক্ত করেছে। খ্রীস্টান মিশনারিসমূহ ইতোমধ্যে তাদের নিজস্ব ধর্মীয় বিশ্বাসের পক্ষে প্রোপাগা-া চালানোর উদ্দেশ্যে ওয়েবসাইট খুলেছে। ইসলাম, বৌদ্ধ, হিন্দু ধর্মগুলোও নিজেদের ধর্মের পক্ষে প্রচারণা চালানোর জন্য ক্রমানয়ে ইন্টারনেট অভিমুখী হচ্ছে এবং এটা শুধু ধর্মীয় বিশ্বাসে মানুষের সহজ প্রবেশাধিকারের জন্য নয় বরং মানুষকে দীক্ষিত করানোর জন্য। এর ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় ধারণাই বিদ্যমান। কেউ যদি খুব সহজেই গোত্রীয় সীমার বাইরে গিয়ে আলাদা মতাদর্শে নিজেকে সন্নিবেশিত করে নতুন আত্মপরিচয় তৈরি করতে পারে তাহলে সে কখনোই আর কোন বিষয়ে সমর্থনের জন্য কম্যুনিটির ওপর নির্ভর করবে না। সাইবার প্রতিবেশি যখন স্থানীয় প্রতিবেশির মতোই বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠবে তখন উভয়ের মধ্যে আর দূরত্ব তেমন একটা থাকবে না। দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটি বৈশ্বিক মূল্যবোধ, প্রযুক্তি এবং যোগাযোগের সমকেন্দ্রিকতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এটা হলো যোগাযোগ প্রযুক্তির সেই সামর্থ্য যা আন্তঃসাংস্কৃতিক মিথস্ক্রিয়াকে উৎসাহ যোগাতে এবং নয়া রাজনৈতিক, সামাজিক অথবা সাংস্কৃতিক আন্দোলনের কার্যকারিতা উন্নয়নে প্রযুক্তির প্রতিশ্রুতিকে পরিপূর্ণ করে। নিশ্চিতভাবেই এ কথা সত্যি যে, প্রযুক্তিক প্রাচুর্যের কারণেই বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সদস্যদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সহজাত প্রশ্ন জাগে, প্রযুক্তির সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার সময় মানুষ কি সেই বৈচিত্র্যকে খুঁজে বের করে অথবা প্রাথমিক পর্যায়েও কি ব্যবহারকারী সমবৈশিষ্ট্য সম্পন্ন সংস্কৃতির লোকদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করে? এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে জাতিসংঘের প্রাক্তন মহাসচিব কফি আনানের একটি উদ্ধৃতি দিতে পারি। তিনি বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি প্রযুক্তির শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ক্ষমতা আছে যা বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নের জন্য ব্যবহৃত হবে। নয়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি থেকে প্রাপ্ত তথ্যের পরিমাণ ও গুণগতমান নাটকীয়ভাবে প্রতিদিন, প্রতিটি দেশে এমনকি বিশ্বের প্রতিটি কোণে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন নিয়ে আসছে। আর এর ফলে নাগরিকদের তথ্যে প্রবেশগম্যতার হারও অনেক বেড়েছে। তথ্যের অবাধ প্রবাহের ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকারগুলোর স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার মাত্রাও অনেক বেড়েছে। অধিকন্তু বার্তার আদান-প্রদান এক ধরনের যোগাযোগীয় দক্ষতা যা এক ব্যক্তি, সংস্থা, শিল্প কিংবা কোন একটি জাতি কতটা সফলভাবে জ্ঞানের উৎপাদন ও বণ্টন করতে পারবে তা নির্ধারণ করে দেয় এবং এর ওপরই নির্ভর করে অর্জিত সফলতা তারা কতখানি বিস্তৃত করতে পারবে। বর্তমান বৈশ্বিক গণমাধ্যম ব্যবস্থায় যোগাযোগ ও সাংস্কৃতিক ইস্যুগুলোর সমন্বয় খুব সহজ নয় এবং এটা নিঃসন্দেহে প্রতিযোগিতামূলক। সম্ভবত নতুন এই জ্ঞান সমাজ ট্র্যাডিশনাল জাতীয় বা সাংস্কৃতিক সীমানা পেরিয়ে নতুন নতুন জ্ঞান, দক্ষতা এবং ভুবনদৃষ্টির সমকেন্দ্রিকরণের মুখোমুখি হবে। লেখক : অধ্যাপক, কলাম লেখক [email protected]
×