ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সচেতনতায় মাঠে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা

ঘরে ঘরে চিকুনগুনিয়া

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ১৮ জুন ২০১৭

ঘরে ঘরে চিকুনগুনিয়া

নিখিল মানখিন ॥ রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশনের মশক নির্ধন কার্যক্রমের জন্য বাজেট বাড়ে, কমে না মশা। চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু এই দুই রোগের বাহক হলো ‘এডিস মশা’। প্রতি বছর নগরীতে কয়েক হাজার ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। মশার কামড় নীরবে সহ্য করে যাচ্ছে নগরবাসী। এবার ঘরে ঘরে চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় নড়েচড়ে বসেছে সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান। অভিযোগ ওঠেছে, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রমের মধ্যে কোন সমন্বয় নেই । দু’ টি প্রতিষ্ঠান দু’ টি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকায় নিজ নিজ পরিকল্পনায় চলে। মশক নিধনের দায়িত্বে রয়েছে সিটি কর্পোরেশন। কিন্তু নগরীতে মশক নিধন কার্যক্রমে গতি নেই বলে অভিযোগ তুলেছেন নগরবাসী। বিভিন্ন মিডিয়ায় বছরে কয়েকবার মশক নিধনের জন্য পরামর্শমূলক বিজ্ঞপ্তি দিয়েই দায়িত্ব শেষ করে সিটি কর্পোরেশন। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নির্দেশে স্বাস্থ্য অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে নগরীতে শনিবার থেকে তিনদিনব্যাপী মশক নিধন কার্যক্রমের মাধ্যমে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচী শুরু করেছে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা। প্রতি বছর এই সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কে থাকে রাজধানীবাসী। এবার নতুন করে যোগ হয়েছে চিকুনগুনিয়া। দু’টি রোগের বাহক ‘এডিস মশা’। যথাযথ সরকারী উদ্যোগ না থাকায় এডিস মশার কামড় থেকে এবারও রক্ষা পাচ্ছে না নগরবাসী। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সংবাদ সম্মেলন, সেমিনার ও বিভিন্ন মিডিয়ায় সচেতনতামূলক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মশক নিধনে নেমেছে মেডিক্যাল শিক্ষার্র্থীরা রাজধানী ঢাকায় চিকনগুনিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সরকারী-বেসরকারী মেডিক্যালের শিক্ষার্থীরা শনিবার থেকে তিনদিনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে। শনিবার সকালে ধানম-িতে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। সকাল ৯ টা থেকে শুরু হওয়া এই সচেতনতামূলক কার্যক্রম চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এ সময় জনসচেতনতার মাধ্যমেই চিকনগুনিয়া প্রতিরোধ সম্ভব বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, যে যার অবস্থান থেকে নিজের বাড়িঘর ও আশ পাশের এলাকা পরিষ্কার রাখলে এবং কোথাও পানি জমতে না দিলে এই চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। শুধু চিকুনগুনিয়া নয় সব রোগ প্রতিরোধেই সবাইকে সচেতন হতে হবে। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এডিস মশা থেকেই যেহেতু চিকুনগুনিয়া রোগের ভাইরাস ছড়ায়, তাই এই মশার উৎপত্তিস্থল নিধন কার্যক্রম আমরা প্রতিকীভাবে শুরু করেছি। আমাদের এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য জনগণকে সচেতন করা। তিনি বলেন, সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে এডিস মশা নিধন কার্যক্রমে এগিয়ে আসতে হবে। প্রথমে একজন নাগরিককে নিজ বাড়ি ও আশপাশের এলাকায় লক্ষ্য রাখতে হবে, কোথাও যাতে কোন পানি জমে না থাকে। জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্যই আমরা এমন কর্মসূচী হাতে নিয়েছি বলেও জানান মন্ত্রী। এ সময়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা) অধ্যাপক ডাঃ সানিয়া তাহমিনা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (ডাঃ) শেখ সালাহউদ্দিন, বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ সচেতনামূলক অভিযানে অংশ নেয় ঢাকা শহরের যতো সরকারী-বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি, মেডিক্যাল এ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলসহ সকল চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী এ কাজ করছেন। ঢাকার ৯২ পয়েন্টে তারা সচেতনতামূলক কাজ চালিয়েছে। চিকুনগুনিয়ার বাহক এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করতে এবং এ রোগ নিয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে মাঠ পর্যায়ে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ভাগ করে এই কার্যক্রম পরিচালনা করেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা) অধ্যাপক ডাঃ সানিয়া তাহমিনা বলেন, আমরা চেয়েছিলাম ৯২টি স্পটে এই সচেতনতামূলক কার্যক্রমটি চালাব। কিন্তু সেটি এখন আরও অনেক বেশি হয়েছে। তিনি জানান, সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতেই আজকের এই কার্যক্রম। কেবল ঘরের বাইরে নয়, ঘরের ভেতরে অর্ধস্বচ্ছ পানি, ফুলের টব, ফেলে রাখা কৌটা বা বোতল, পানির ট্যাঙ্ক, ছাদে জমে থাকা পানি, পরিত্যক্ত টায়ার, আবর্জনার স্তূপ বা ডাবের খোসার ভেতরেও জন্ম নেয় এডিস মশা। সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা ঘরের ভেতরে ঢুকতে পারে না। তাই ঘরে ঘরে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে সাদা এ্যাপ্রোন পরে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা কাজ করেছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এলাকা, ধানম-ি ২ নং সড়ক এবং আজিমপুর সরকারী কলোনির ভেতরে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এই সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। মশক নিধন কার্যক্রমে গতি নেই বর্ষা মৌসুমকে মশকের বংশ বৃদ্ধির কাল ধরেই মশকযন্ত্রণা নিবারণের যাবতীয় উদ্যোগ নেয় ঢাকার দুটি সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। কিন্তু এবার তা তেমন চোখে পড়ছে না বলে নগরবাসীর অভিযোগ। তারা অভিযোগ করেন, রাতের বেলায় তাদের উৎপাত-এমন জানাশোনা চিরাচরিত হলেও এখন সেই জানাশোনারও ব্যতয় ঘটিয়ে দিনরাতের উৎপাতে ভুগতে শুরু করেছে গোটা রাজধানীবাসী। মশার উৎপাত ঠেকাতে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম ঘোষণার মধ্যেই রয়ে গেছে। দিনরাত সমানতালে মশার যাতনায় অনেকটাই কাহিল নগরবাসীর জন্য এবারও কোন সুখবর নেই। কারণ তিনটি প্রতিষ্ঠানই যৌথভাবে কাজ করেও রাজধানীর মশা নিধন করতে পারছে না। ফলে মশার উৎপাত থেকে রেহাই নেই। মশার কামড়ে চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাবে ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা। ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। দু’টি রোগের বাহক হলো এডিস মশা। নগরবাসীর অভিযোগ, মশক নিধন কার্যক্রম নিয়মিত পরিচালনা করা হয় না। নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না নগরের লেক ও ডোবা-নালাগুলো। এর ফলে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ রাজধানীর প্রায় সব এলাকার মানুষ। নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, জানুয়ারি মাস থেকেই নগরীতে মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। বাসাবাড়ি, কর্মস্থল, চলতি পথেও মশা থেকে নিস্তার মিলছে না। মশা নিধন না করায় ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট তিন সংস্থার ওপর চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো বলছে পর্যাপ্ত জনবল, যন্ত্রপাতি না থাকায় মশা নির্মূলে সঠিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। জানা গেছে, রাজধানীর মশা নিধনের দায়িত্ব রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি), ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ঢাকা মশক নিবারণী দফতর। কিন্তু এই তিন প্রতিষ্ঠান মিলেও নগরবাসীকে মশার হাত থেকে রক্ষা করতে পারছে না। এ তিনটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান মশক নিয়ন্ত্রণ খাতে প্রতি বছর কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ রাখছে। বিপুল পরিমাণ এ বরাদ্দ ব্যয় হলেও মশার অত্যাচার থেকে রেহাই না পাওয়ায় নগরবাসীর ক্ষোভ বাড়ছে। বাজেট বাড়ে, কমে না মশা মশা নিধনে বছর বছর বরাদ্দ বাড়াচ্ছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি ও ডিএনসিসি)। তবে, বরাদ্দ বাড়লেও মশার যন্ত্রণা থেকে রেহাই মিলছে না নগরবাসীর। উপরন্তু বরাদ্দ বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মশার উপদ্রব। অভিযোগ ওঠেছে, বিগত বছরগুলোর তুলনায় চলতি বছর প্রায় দ্বিগুণ হারে বেড়েছে মশা। দিনের বেলায় উপদ্রব কিছুটা কম থাকলেও রাতের বেলায় অসহনীয় হয়ে ওঠে। বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল থেকে শুরু করে চলন্ত গাড়িতেও মশার কামড় বাড়ছে। সিটি কর্পোরেশনের মশা নিধনের দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন মশার ওষুধ ছিটানোর জন্য ৫ থেকে ৬ জন করে কর্মী নিযুক্ত আছেন। তারা দিনে দুবার ওষুধ ছিটানোর কাজ করেন। তবে সিটি কর্পোরেশন এমন দাবি করলেও নগরবাসী তাদের দেখতে পান কালেভদ্রে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাঃ শেখ সালাউদ্দিন বলেন, আমরা প্রধানত জলাশয় ও নগরীর অলি-গলিতে বেশি ওষুধ দিয়ে থাকি। কর্মীরা যথেষ্ট কাজ করেন। উত্তর সিটির তুলনায় আমাদের এলাকায় মশা অনেক কম। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শেই কর্মীরা ওষুধ ছিটান। তিনি আরও বলেন, এখন মশা প্রজননের মৌসুম। এ মাসে মশার উপদ্রব একটু বেশিই থাকে বলে জানান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাঃ শেখ সালাউদ্দিন । জানা গেছে, প্রতিবছর ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন মশা নিধনের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু বছর বছর মশার উপদ্রব বাড়ছেই। দক্ষিণ সিটির রামপুরা, বনশ্রী মেরাদিয়া, গোড়ান, খিলগাঁও, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, মগবাজার, ধানম-ি, পুরান ঢাকা, ফকিরাপুল, আরামবাগ, পল্টন, মতিঝিল, কমলাপুর, মানিকনগর, বাসাবো, মুগদা, খিলগাঁও, ধোলাইখাল, কুড়িল, মীর হাজীরবাগ, শ্যামপুর, কামরাঙ্গীরচর, সূত্রাপুর, মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগে মশার উপদ্রব বেশি। অপরদিকে উত্তর সিটির তেজগাঁও, মহাখালী, বাড্ডা, শেরেবাংলা নগর, মিরপুর, উত্তরা, গাবতলিতে মশার উপদ্রব বেশি। থেমে নেই অভিজাত এলাকা বারিধারা, গুলশান, বনানীও। এসব এলাকার বেশির ভাগ ফ্ল্যাটে মশার অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে জানালা-দরজায় নেট লাগাতে দেখা গেছে বাসিন্দাদের। মগবাজার দিলুরোডের বাসিন্দা মোঃ হামিদ জনকণ্ঠকে বলেন, রাতের কথা কী বলব, দিনেও মশার যন্ত্রণায় থাকা যায় না। ওষুধ স্প্রে করার পরও বসা যায় না। কয়েল জ্বালালে তার ওপরে মশা খেলা করে। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে মশার ওষুধ ছিটানোর জন্য কর্মীর কথা শুনেছি, কিন্তু কোনদিন দেখিনি। জানা যায়, মশা নিধন কার্যক্রমের জন্য চলতি অর্থবছরে (২০১৬-১৭) ২৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে উত্তর সিটি কর্পোরেশন। এ খাতে গত অর্থবছরে (২০১৫-১৬) বাজেট ছিল ১৪ কোটি টাকা। ব্যয় হয়েছে ১১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। অন্যদিকে চলতি অর্থবছর মশক নিধন কার্যক্রমের জন্য ডিএসসিসির বাজেট বরাদ্দ ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। গত বছর বরাদ্দ ছিল ১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সংশোধিত বাজেটে ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ডিএসসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, মশক নিধন বিভাগে স্প্রেম্যান রয়েছে ১৮৩ জন, ক্রু ১৫১ জন এবং সুপারভাইজার ১০ জন। মশা নিধনের জন্য ৩৮৭টি ফগার মেশিন, ৪৩৮টি হস্তচালিত মেশিন, ৩৬টি হুইল ব্যারো মেশিন, ২টি ইউএলভি মেশিন, পাঁচটি পাওয়ার স্পেয়ার এবং একটি ন্যাপসেক পাওয়ার রয়েছে। এর মধ্যে ৭১টি ফগার মেশিন, ৫৯টি হস্তচালিত মেশিন, আটটি হুইল ব্যারো, দুটি ইউএলভি, পাঁচটি পাওয়ার স্পেয়ার এবং একটি ন্যাপসেক পাওয়ার মেশিন নষ্ট। অপরদিকে ডিএনসিসির মশক নিধন কর্মী রয়েছেন ৩০৯ জন। এর মধ্যে ১২০ জন স্প্রেম্যান এবং ১৮৯ জন ক্রুম্যান। সুপারভাইজার রয়েছেন আটজন। এছাড়া ২১৭টি ফগার মেশিন, ২৮৭টি হস্তচালিত মেশিন এবং একটি হুইল ব্যারো মেশিন রয়েছে।
×