ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দ্রুত রাঙ্গামাটির বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক করার নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ১৭ জুন ২০১৭

দ্রুত রাঙ্গামাটির বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক করার নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দ্রুত রাঙ্গামাটির বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক করতে নির্দেশ দিয়েছে বিদ্যুত মন্ত্রণালয়। পার্বত্য অন্য এলাকার সঙ্গে জেলার ১০ উপজেলার সাতটিতে বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক করার দাবি করছে বিদ্যুত বিভাগ। বিদ্যুতের টাওয়ার এবং পোল পড়ে যাওয়ায় সরবরাহ স্বাভাবিক করতে সময় লাগছে। বিদ্যুত বিভাগ থেকে শুক্রবার জানানো হয়, পার্বত্য এলাকার বিদ্যুত সরবরাহ দ্রুত স্বাভাবিক করতে বিদ্যুত জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি) বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি স্থানীয়দের দুর্ভোগ লাঘবে দুর্ঘটনার পর থেকেই সর্বাত্তক প্রচেষ্টা চালানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। গত সোমবার রাতের বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে পার্বত্য জেলাগুলোতে মানবিক বিপর্যয় ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। রাস্তাঘাটে নষ্ট হয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। এত বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানো কষ্টকর হচ্ছে বলে পিডিবি সূত্র জানিয়েছে। পিডিবির এক কর্মকর্তা জানান, প্রথমে পাহাড় ধসে পার্বত্য জেলাগুলোর সব জায়গায় বিদ্যুত সরবরাহ বিঘিœত হয়। এখন তা স্বাভাবিক করা হয়েছে। তবে রাঙ্গামাটির যে অংশে কাপ্তাই থেকে বিদ্যুত সরবরাহ করা হয় ওই অংশে বিদ্যুত সরবরাহ এখনও স্বাভাবিক হয়নি। তিনি জানান, কাপ্তাই এর সরবরাহ লাইনে কয়েকটি পোল এবং টাওয়ার পড়ে যাওয়ায় এখানে সরবরাহ স্বাভাবিক করা কঠিন হচ্ছে। তিনি জানান, পিডিবির পাঁচটি দল রাঙ্গামাটির বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক করতে দিন-রাত কাজ করছে। জানা গেছে, রাঙ্গামাটিতে ৩৩ কোভি লাইনের টাওয়ার ও পোল মিলিয়ে ২৫টি এবং ১১ কোভি লাইনের অন্তত ৫০টি পোল পড়ে গেছে। এতে করে পুরো সরবরাহ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সময় লাগবে। এসব টাওয়ার এবং পোল কোথাও ভেঙ্গে পড়েছে কোথাও মাটি চাপা পড়েছে। সেখানে কোথাও সংস্কার করা হচ্ছে কোথাও নতুন টাওয়ার লাগানো হচ্ছে। মন্ত্রণালয় থেকে শুক্রবার জানানো হয়, রাঙ্গামাটির বরকল, বিলাইছড়ি এবং জুলাইছড়িতে এখনও বিদ্যুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। অন্য উপজেলাগুলোতে বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানো সম্ভব হলে এক থেকে দুইদিনের মধ্যে বিদ্যুত সরবরাহ পুনরায় শুরু করা সম্ভব। রাঙ্গামাটিতে খাগড়াছড়ি এবং কাপ্তাই দুই দিক থেকে বিদ্যুত সরবরাহ দেয়া হয়। এরমধ্যে খাগড়াছড়ি দিয়ে যে বিদ্যুত আসে তা ঠিক করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কাপ্তাই এলাকার উন্নয়ন করা যায়নি। পিডিবি সূত্র জানায়, পার্বত্য জেলাগুলোতে পাহাড় ধসে বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। তবে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়।
×