ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

খালের মুখে স্থাপনা ॥ জলাবদ্ধতায় শঙ্কিত কৃষক

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ১৭ জুন ২০১৭

খালের মুখে স্থাপনা ॥ জলাবদ্ধতায় শঙ্কিত কৃষক

সংবাদদাতা, মীরসরাই, চট্টগ্রাম, ১৬ জুন ॥ খালের মুখ ভরাট, খালের বুকে স্থাপনা নির্মাণ করায় সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। দীর্ঘ মেয়াদী জলাবদ্ধতার কারণে আমন মৌসুমে চাষাবাদ নিয়ে শঙ্কিত পাঁচ হাজার কৃষক। গত মৌসুমেও আমন রোপার ঠিক আগে জলাবদ্ধতায় নষ্ট হয়ে যায় আমন বীজ তলা। আবার ফসল ঘরে তোলার ঠিক আগে বৃষ্টি হলে জলবদ্ধতায় নষ্ট হয়ে যায় শত শত একর পাকা আমন ধান। সম্প্রতি বৃষ্টিতেও উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ মেয়াদী জলাবদ্ধতা। ফলে সামনের আমন চাষ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। জোরারগঞ্জ এলাকার দেওয়ানপুর, গোপীনাথপুর, সোনাপাহাড়, নন্দনপুর, ভগবতীপুর, পরাগলপুর, ইমামপুর, খিলমুরারীতে রয়েছে ৯ হাজার একর ফসলি জমি। বিভিন্ন ছরা দখল করে স্থাপনা ও অপরিকল্পিত পুল কালভার্ট নির্মাণ করায় অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও বসতবাড়ি। সোনাপাহাড় এলাকায় শিল্প কারখানা স্থাপনের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে এলাকার পানি চলাচলের পথ। ফলে বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক। সম্প্রতি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে খিলমুরারী গ্রামে প্রায় অর্ধ শতাধিক বাড়ি পানিতে ডুবে যায়। পানিতে ডুবে ধসে পড়ে প্রায় ২০টি মাটির তৈরি বসতঘর। স্থানীয় কৃষক আলমগীর বলেন, বিত্তশালীরা অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলছে কলকারখানা। দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে গরিব মানুষকে। খিলমুরারী গ্রামে জলাবদ্ধতায় যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তাতে সামনে জমিতে আমন চাষাবাদ দূরের কথা, বর্ষায় নিজেদের থাকাও দূরসাধ্য হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকসুদ আহম্মদ চৌধুরী বলেন, ছরা দখল করে স্থাপনা ও অপরিকল্পিত পুল কালভার্ট নির্মাণের ফলে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এসব ব্যাপারে মানুষদের সচেতন করতে হবে। এবং পানি নিষ্কাশনের জন্য যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি। সিরাজগঞ্জে খুরারোগে ৪২ গরুর মৃত্যু ॥ অসুস্থ শতাধিক স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ তাড়াশের তালম ইউনিয়নে গত এক সপ্তাহে খুরারোগে আক্রান্ত হয়ে ৪২ গরুর মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে আরও শতাধিক। প্রতিদিন সুস্থ গবাদিপশু নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে। এ ঘটনায় গুরুর মালিকরা তাদের পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। এদিকে রোগ থেকে পশু রক্ষা করতে অনেকেই দূরের আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন ও কম দামে বিক্রি করে দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী ঢাকা থেকে চিকিসৎকরা এসে ওই গ্রামে ক্ষুরারোগে আক্রান্ত গরুগুলো চিকিৎসা ও মালিকদের পরামর্শ দিয়ে গেছেন। উপজেলা পশুসম্পদ কার্যালয় থেকেও আক্রান্ত এলাকায় চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। স্থানীয়রা জানায়, এক সপ্তাহ ধরে ওই গ্রামে হঠাৎ করে খুরারোগ দেখা দেয়। এরপর থেকেই পর্যায়ক্রমে গ্রামের প্রায় প্রতিটি পরিবারের গরুগুলো আক্রান্ত হতে থাকে। গরুগুলো আক্রান্ত হওয়ার পর তার মুখে ও পায়ে বিভিন্ন ক্ষত দেখা দেয়। গরুগুলো খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়ে দু’একদিন রোগ ভোগের পর মারা যায়। তালম ইউনিয়নের জয়নাল হোসেন, আনিছুর রহমান, আবু হোসেনসহ কমপক্ষে ১০ জনের গরু আক্রান্ত হয়ে তিনদিন থাকার পর মারা গেছে।
×