ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কাওসার রহমান

অংশগ্রহণমূলক জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা চাই

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ১৩ জুন ২০১৭

অংশগ্রহণমূলক জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা চাই

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন আজ বিশ্বজুড়ে আলোচিত বিষয়। এই জলবায়ু পরিবর্তন যে আজ গোটা বিশ্ব সভ্যতাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে তাতে আর কোন সন্দেহ নেই। এই আলোচিত ইস্যুটি বেশ কিছুদিন ধরে নিম্নস্বরে আলোচিত হলেও ২০০৯ সালের কোপেনহেগেন সম্মেলনের পর এতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। বিশ্ব নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। বৈশ্বিক জলবায়ু যে বদলে যাচ্ছে সে বিষয়ে এখন আর কোন সন্দেহ নেই। ডব্লিউএমওর তথ্য মতে, ২০১৪ সালে পৃথিবীর গড় উষ্ণতায় রেকর্ড গড়েছিল। যা ভেঙেছিল ২০১৫। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’ ও আবহাওয়া গবেষণা সংস্থা ‘নোয়া’র বিজ্ঞানীদের সমীক্ষায়ও পরিষ্কার, আগের দু’বছরের রেকর্ড ভেঙে ২০১৬ উষ্ণ-তালিকায় সবার উপরে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, জলবায়ুর এই তীব্র ও অস্বাভাবিক অবস্থা ২০১৭ সালেও অব্যাহত থাকবে। নাসার দাবি ২০১৩ থেকে ২০১৬ এই তিন বছরে ভূপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা বেড়েছে আধ ডিগ্রী ফারেনহাইট। ১৮৮০ ইস্তক পরপর তিন বছরে এমন বৃদ্ধির নমুনা আগে দেখা যায়নি। বস্তুত উষ্ণ বছরের তালিকায় প্রথম ১৭টির মধ্যে ১৬টিই চলতি শতকের! বৈশ্বিক এই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে হিমালয় পর্বতের হিমবাহগুলো গলে যাচ্ছে, কিন্তু পরে আর তেমন বরফ জমছে না। সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী হিমালয় পর্বতের হিমবাহগুলো বছরে ২৩ মিটার করে কমছে। হিমালয়ের হিমবাহগুলো থেকে নেপাল, ভুটান, ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও চীনের নদীগুলোতে সুপেয় পানি আসত। এখন সেই পানি কমে আসছে। ইউরোপে আল্পস পর্বতমালায় একই উপসর্গ দেখা দিয়েছে। একই সময়ে উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরুতে বেশি মাত্রায় বরফ গলছে। আর এই বরফ গলা বাড়তি হওয়ার ফলে সমুদ্রের পানি বাড়ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক অঞ্চলে সাধারণ অবস্থার চেয়ে বেশি শুষ্ক অবস্থা বিরাজ করছে। আর অন্যদিকে, চীন, মধ্য ইউরোপ আর অস্ট্রেলিয়ার অধিকাংশ অঞ্চলে অনুভূত হচ্ছে সাধারণ আবহাওয়ার চেয়ে বেশি আর্দ্রতা। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি অনুধাবন করেই ২০১৫ সালে বিশ্ব নেতারা ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বর দেশগুলোকে একতাবদ্ধ করছেন। দুইশ’টির মতো দেশ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে আনতে একটি চুক্তিতে উপনীত হতে ঐক্যমত্য পোষণ করেছেন। যা ২০১৬ সালের ৪ নবেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৯৭টি দেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে এবং ১৪৪টি দেশ এই চুক্তি অনুমোদন করেছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকার (ট্রাম্প প্রশাসন) এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে। তবে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংস্থা ইউএনএফসিসিসি আশা করছে, যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে তার অবস্থান পুনর্বিবেচনা করবে। এ চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলোÑ বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে রাখা; গাছ, মাটি ও সমুদ্র প্রাকৃতিকভাবে যতটা শোষণ করতে পারে, ২০৫০ সাল থেকে ২১০০ সালের মধ্যে কৃত্রিমভাবে গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ সেই পর্যায়ে নামিয়ে আনা; প্রতি ৫ বছর অন্তর ক্ষতিকর গ্যাস নিঃসরণ রোধে প্রত্যেকটি দেশের ভূমিকা পর্যালোচনা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে এবং নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে গরিব দেশগুলোকে ধনী দেশগুলোর ‘জলবায়ু তহবিল’ দিয়ে সাহায্য করা। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মতো, বাংলাদেশেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখন দৃশ্যমান। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। উষ্ণায়নের প্রভাবে দেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে গেছে। ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অস্বাভাবিক পরিমাণে নিচে নেমে গেছে। এতে দেশের উত্তরাঞ্চলে মরুকরণ দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে, উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুপেয় পানির অভাব তীব্রতর হচ্ছে। সুন্দরবনের সুন্দরীগাছে ব্যাপক আকারে আগামরা রোগ দেখা দিয়েছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের দ্বীপগুলো তীব্র ভাঙ্গনের সম্মুখীন হয়েছে। ফলে ওই এলাকায় বাড়ছে বাস্তুচ্যুতির পরিমাণ। ঘরবাড়ি হারিয়ে এলাকার দরিদ্র মানুষেরা শহর অঞ্চলে পাড়ি জমাচ্ছে। আর যারা টিকে আছে, তারা পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বে ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে যে পরিমাণ বৈদেশিক সাহায্য পাওয়ার কথা ছিল তা বাংলাদেশ পায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্যই বাংলাদেশকে অর্থায়নে প্রথম এগিয়ে আসে। এই অনুদানের অর্থ ব্যবহারের জন্য ২০০৮ সালে গঠন করা হয় বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ রেজিলিয়েন্স ফান্ড। ২০১৩ সাল পর্যন্ত উন্নয়ন সহযোগীরা ওই তহবিলে ১৮ কোটি ৯৫ লাখ ডলার প্রদান করেছে। কিন্তু এরপর আর ওই তহবিলে কোন অর্থ আসেনি। বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় ওই তহবিলের মাধ্যমে কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলেও নতুন অর্থায়নের অভাবে ওই তহবিলের ব্যবস্থাপনা স্থবির হয়ে আছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ সরকারও নিজের তাগিদে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে এদেশের মানুষকে রক্ষার জন্য বাজেট থেকে অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড নামে একটি তহবিল গঠন করে। এ পর্যন্ত সরকার এ তহবিলে ৪০ কোটি ডলার (৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা) প্রদান করেছে, যার মাধ্যমে গত ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত ৪৭২টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৯১টি প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যদিও এই ফান্ডের অর্থায়নের প্রকল্পে অর্থ ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে অর্থ ব্যবহারে তৃতীয় কোন পক্ষের নিরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় এ প্রশ্বের জবাব পাওয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশ প্রধানত জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হওয়ায় এক্ষেত্রে দেশটির প্রধান কাজ হলো পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়া তথা জলবায়ু অভিযোজন বা এডাপটেশন। কিন্তু এই অভিযোজনের জন্য অর্থ পেতে হলে বাংলাদেশকে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বা ন্যাশনাল এডাপটেশন প্ল্যান থাকতে হবে। প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতেও ক্ষতিগ্রস্ত স্বল্পোন্নত ও অন্যান্য দেশকে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড বা সবুজ জবলায়ু তহবিল থেকে অর্থায়নের ক্ষেত্রে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এবং এই পরিকল্পনা প্রণয়নে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সবুজ জলবায়ু তহবিল থেকে সহায়তার কথা বলা হয়েছে। সবুজ জলবায়ু তহবিলের অর্থ পেতে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় অবশেষে ন্যাশনাল এডাপটেশন প্ল্যান (এনএপি) প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। সেই সঙ্গে পর্যালোচনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বিদ্যমান বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজি এ্যান্ড এ্যাকশন প্ল্যানকে (বিসিসিএসএপি)। এ পর্যালোচনার লক্ষ্য হচ্ছে বিসিসিএসএপিকে যুগোপযোগী করে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করা। ন্যাশনাল এডাপটেশন প্ল্যানের লক্ষ্যও অভিন্ন। দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে অভিযোজন কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার প্রদান। কারণ, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মূল করণীয় হচ্ছে এডাপটেশন বা অভিযোজন, তথা বিদ্যমান জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়া। কারণ বাংলাদেশ উন্নত ও অনেক উন্নয়নশীল দেশের মতো গ্রীন হাউস গ্যাস নির্গমন করে না। বাংলাদেশের মাথাপিছু গ্রীন হাউস গ্যাস নির্গমন মাত্র দশমিক ৩ টন। যা অতি নগণ্য। মিটিগেশন বা প্রশমন অর্থাৎ কার্বন নির্গমনের হার কমানো বাংলাদেশের জন্য জরুরী নয়। এটি উন্নত ও দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাজ। ফলে আমাদের জন্য ন্যাশনাল এডাপটেশন প্ল্যান জরুরী। এক্ষেত্রে পরিকল্পনা তৈরিতে আরও জরুরী হলো প্রণীত পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন। পাশাপাশি সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী পরিকল্পনা প্রণয়ন। এক্ষেত্রে যে কোন পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য আমাদের সামনে গাইডলাইন হিসাবে রয়েছে সরকারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। বর্তমানে আমাদের সামনে রয়েছে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। যাতে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনে অভিযোজন কার্যক্রমকে মাথায় রেখেই বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও সরকারের হাতে রয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা। ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে উন্নয়ন কর্মসূচী গ্রহণের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নই হচ্ছে সরকারের আগামী দিনের লক্ষ্য। তাই জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে সব পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন অতি জরুরী। এখন প্রশ্ন হলো জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বা ন্যাশনাল এডাপটেশন প্ল্যানের (ন্যাপ) মর্যাদা কি হবে? এটি কি সত্যিকার অর্থেই একটি জাতীয় পরিকল্পনা হবে নাকি, বিসিসিএসএপির মতো আরও একটি সাইডলাইন ডকুমেন্ট হবে। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগটি নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। কিন্তু সাইড লাইন ডকুমেন্ট হলে তা কেবল পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সম্পদ হবে। সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তা স্বাচ্ছন্দ্যে গ্রহণ করবে না। ফলে ওই গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। তাই জাতীয় স্বার্থে এই উদ্যোগের সঙ্গে সরকারের সকল মন্ত্রণালয়কে সম্পৃক্ত করে সত্যিকার অর্থেই একটি জাতীয় দলিল তৈরি কি আরও যুক্তিসঙ্গত নয়? সেক্ষেত্রে সময় একটু বেশি লাগলে ক্ষতি কি? এই পরিকল্পনা তৈরির উদ্যোগ নিতে যখন চার বছর সময় চলে যাচ্ছে, আরও এক বছর সময় গেলে ক্ষতি কি? উল্লেখ্য, এই দলিলটি তৈরির জন্য ২০১৩ সাল থেকেই উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটি এতোদিনেও প্রণয়ন হয়নি। প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ অনেক দেশই ন্যাপ তৈরি করে ফেলেছে। ওই দেশগুলো তাদের জাতীয় দলিল হিসেবেই তৈরি হয়েছে। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ইতিপূর্বে ২০০৫ সালে ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অব এ্যাকশন (নাপা) তৈরি করেছে। ইউএনএফসিসিসির চাহিদা অনুযায়ী দেশের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কার্যক্রম নিয়ে ওই দলির তৈরি করে মন্ত্রণালয়। যা ইউএনএফসিসিসিতেও জমা দেয়া হয়েছে। কিন্তু তার ফিডব্যাক তেমন একটা পাওয়া যায়নি। আবার কষ্ট করে তৈরি করা ওই নাপা বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় তা জাতীয় দলিল বা পরিকল্পনাও হয়ে উঠেনি। এটি কেবল পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের একটি দলিল হিসেবেই থেকে গেছে। সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগের স্বীকৃতি না মেলায় তা জাতীয়ভাবে দেশে বাস্তবায়নও হয়নি। বিসিসিএসএপির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। কথা ছিল এই দলিল অনুসরণে সরকারের সব উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। চলবে... লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক
×