ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে শিক্ষামন্ত্রী

প্রশ্ন ফাঁস রোধে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার

প্রকাশিত: ০৬:১০, ১৩ জুন ২০১৭

প্রশ্ন ফাঁস রোধে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার

সংসদ রিপোর্টার ॥ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস রোধে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পরীক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা কেন্দ্র্রে কোন প্রকার মোবাইল ফোন বহন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দুর্বল শিক্ষার্থীদের উন্নত শিক্ষা নিশ্চিতে অতিরিক্ত ৮ হাজার ৯১৯ শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে। সোমবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে একাধিক সংসদ সদস্যের প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও জানান, কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্যান্য শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও পরীক্ষা কেন্দ্র্রে মোবাইল ফোন বহন বা ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি কেন্দ্র সচিবও পরীক্ষা কেন্দ্র্রে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। তিনি বলেন, যে সকল পরীক্ষা কেন্দ্রে এর ব্যত্যয় ঘটেছে সেখানেই সংশ্লিষ্টের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মন্ত্রী জানান, ২০১৭ সালে ঢাকা বোর্ডের অধীন অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনেই ট্রেজারি থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহের সময় সঙ্গে মোবাইল ফোন রাখার দায়ে ৩ শিক্ষককে পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরবর্তীতে সারা দেশে এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়। কলেজ শিক্ষকদের হাজিরা খাতা নেই জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য একেএম মাঈদুল ইসলামের অপর প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কলেজ শিক্ষকগণ প্রথম শ্রেণীর ও গেজেটেড কর্মকর্তা, দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে গেজেটেড কর্মকর্তাদের দৈনন্দিন হাজিরা দেবার ব্যবস্থা নেই। তবে কলেজের শিক্ষকগণ নিয়মিত কলেজে আসেন। তিনি বলেন, শিক্ষকদের নিয়মিত হাজিরা নিশ্চিত করতে দেশের কিছু সরকারী ও বেসরকারী কলেজে নিজস্ব অর্থায়নে কার্ড পাঞ্চিং চালু করেছে। উন্নত শিক্ষা নিশ্চিতে ৮ হাজার ৯১৯ শিক্ষক নিয়োগ সরকারী দলের মোঃ নজরুল ইসলাম বাবুর প্রশ্নোত্তরে শিক্ষামন্ত্রী জানান, দুর্বল শিক্ষার্থীদের উন্নত শিক্ষা নিশ্চিতে অতিরিক্ত ৮ হাজার ৯১৯ শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অপেক্ষাকৃত দুর্বল শিক্ষার্থীদের উন্নত শিক্ষা অর্জনের কৌশল হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চ বিভাগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর বাস্তবায়নাধীন ‘সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি এ্যান্ড এ্যাকসেস এনহেন্সমেন্ট প্রজেক্ট’র (সেকায়প) আওতায় সারা দেশে গণিত, ইংরেজী ও বিজ্ঞান বিষয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ২৯ লাখ ৭০ হাজার ২৫২টি অতিরিক্ত ক্লাস নেয়া হয়েছে। প্রথম শ্রেণী থেকে বাধ্যতামূলক করে ইংরেজী শিক্ষায় গুরুত্বÑগণশিক্ষামন্ত্রী ॥ প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রথম শ্রেণী থেকে বাধ্যতামূলক করে ইংরেজী শিক্ষায় গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। জাতীয় পার্টির বেগম সালমা ইসলামের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও জানান, শিক্ষাক্রমের আওতায় প্রতিটি শ্রেণীতে ইংরেজী পাঠদান যথাযথকরণে শিক্ষক সংস্করণ প্রকাশের মাধ্যমে শিক্ষক সহায়িকা ও নির্দেশনা নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি জানান, ইংরেজী বিষয়ে শিক্ষকদের দক্ষ করে তোলার জন্য কাস্টমাইজড বিশেষ প্রশিক্ষণসহ বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ইংরেজী ভাষায় দক্ষ করার জন্য এবং শ্রেণীকক্ষভিত্তিক ইংরেজী শিখন শেখানো কার্যকর ও আকর্ষণীয় করার জন্য ইংলিশ ইন এ্যাকশন প্রকল্পের মাধ্যমে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
×