ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল, আর্জেন্টিনা ১-০ ব্রাজিল

ব্রাজিলকে হারিয়ে স্বস্তির জয় আর্জেন্টিনার

প্রকাশিত: ০৬:৫৮, ১০ জুন ২০১৭

ব্রাজিলকে হারিয়ে স্বস্তির জয় আর্জেন্টিনার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ একদিকে ছিলেন না নেইমার, মার্সেলো। তবে প্রতিপক্ষ শিবিরে ঠিকই ছিলেন সময়ের অন্যতম সেরা তারকা লিওনেল মেসি। এরপরও ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার প্রীতিম্যাচে দৃষ্টি ছিল গোটা বিশ্বের। শুক্রবার অনুষ্ঠিত যে ম্যাচে স্বস্তির জয় পেয়েছে মেসির আর্জেন্টিনা। অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ‘সুপার ক্লাসিকো’ খ্যাত ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়দের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন সেভিয়া ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল মার্কেডো। এর ফলে জয় দিয়ে আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে অভিষেক হলো জর্জ সাম্পাওলির। ম্যাচে ব্রাজিলও গোল করার মতো বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ পায়। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি একটিও। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে খেলে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। সম্ভাবনাময় কয়েকটি সুযোগও সৃষ্টি করেন পাউলিনহো, অগাস্টো, উইলিয়ানরা। কিন্তু ভাগ্য সুপ্রসন্ন না থাকায় গোল পায়নি তারা। এই ম্যাচে ব্রাজিল তাদের মূল তারকা নেইমারকে ছাড়াই মাঠে নামে। এছাড়া দুই রিয়াল মাদ্রিদ তারকা মার্সেলো ও কাসেমিরোকেও বিশ্রাম দেয়া হয়। শুধু তাই নয়, জুভেন্টাসের হয়ে ফর্মের তুঙ্গে থাকা ডিফেন্ডার দানি আলভেজকেও রাখা হয়নি হলুদ জার্সিধারীদের দলে। তবে এক বছর পর সেলেসাওদের স্কোয়াডে ফেরেন ডেভিড লুইজ। এছাড়া ম্যানচেস্টার সিটির তারকা স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে দলে রাখেন কোচ টিটে। তবে পুরো শক্তির দল নিয়েই মাঠে নামে আর্জেন্টিনা। মেসি ছাড়াও ম্যাচে খেলেন পাওলো ডিবালা, গঞ্জালো হিগুয়াইন, পিএসজির এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। তবে বাদ পড়েন ম্যানচেস্টার সিটির তারকা সার্জিও আগুয়েরো। এই জয়ে বিশ্বকাপে বছাইপর্বের পরের ম্যাচগুলোর আগে আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাবে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে আর্জেন্টিনার অবস্থান এখন পঞ্চম। সরাসরি বিশ্বকাপে খেলতে হলে তাদের পরের চারটি ম্যাচ জিততেই হবে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পরের ম্যাচগুলোতে আার্জেন্টিনা মুখোমুখি হবে উরুগুয়ে, ভেনিজুয়েলা, পেরু ও ইকুয়েডরের। আগস্টে পরের ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ উরুগুয়ে। নেইমারকে ছাড়া খেলতে নামলেও শুরু থেকে আর্জেন্টিনার রক্ষণে চাপ দিতে থাকে ব্রাজিল। এগিয়ে যাওয়ার ভাল একটি সুযোগও পায় ২২ মিনিটে। কিন্তু ডিফেন্ডার নিকোলাস ওটামেন্ডি আর্জেন্টিনাকে রক্ষা করেন। বাঁপ্রান্ত থেকে দ্রুত আক্রমণে ওঠা উইলিয়ান গোলরক্ষক রোমেরোকে একা পেয়েও শট নেননি। ডান দিকে থাকা ফিলিপে কুটিনহোকে বল বাড়ান। নিখুঁত ট্যাকলে ওটামেন্ডি তাকে আটকে দেন। এরপর ৩৩ মিনিটে ফিলিপে লুইসের দূরপাল্লার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এ কারণে আর্জেন্টিনার শুরুটা ধারালো হয়নি। মেসি-হিগুয়াইন-ডিবালা এই তিন তারকায় সাজানো আক্রমণভাগ ব্রাজিল গোলরক্ষককে বড় কোন পরীক্ষাই নিতে পারছিল না। ৩৮ মিনিটে হিগুয়াইনের হেড গোলরক্ষকের গ্লাভসে জমে যাওয়ার পরের মিনিটে ডি মারিয়াকেও হতাশ হতে হয়। ৪৪ মিনিটে ডি মারিয়ার বাড়ানো বল আলতো টোকায় ডিবালাকে এগিয়ে দেন মেসি। কিন্তু জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড পোস্টের বাইরে শট নিয়ে সুযোগটা নষ্ট করেন। তবে পরের মিনিটে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ডি মারিয়ার ক্রসে ওটামেন্ডির হেড পোস্টে লেগে ফেরার পর গোলমুখে থাকা মার্কেডো সহজেই জালে পাঠান (১-০)। বিরতির পর ৫৪ মিনিটে ডি মারিয়া আবারও সুযোগ নষ্ট করেন। ৬০ মিনিটে জেসুসের শট ফিস্ট করে ফেরান আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক রোমেরা। এরপর উইলিয়ানের ফ্রিকিকে জেসুসের শট বাইরের জালে জড়ায়। ৬২ মিনিটে দুর্ভাগ্যের ফেরে সমতাসূচক গোল থেকে বঞ্চিত হয় ব্রাজিল। মিডফিল্ডার ফার্নান্ডিনহোর ডিফেন্স চেরা বল নিয়ন্ত্রণে নেয়া জেসুসের শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হওয়ার পর উইলিয়ানের ফিরতি শটও ফিরে আসে পোস্টে লেগে। শেষ পর্যন্ত আর সমতায় ফেরা হয়নি ব্রাজিলের। ফলে দারুণ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।
×