ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে তারানা

তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষতার সঙ্গে সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৮:১০, ৯ জুন ২০১৭

তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষতার সঙ্গে সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ছে

সংসদ রিপোর্টার ॥ তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকি কিছুটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিষয়টি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় আইনগত, কারিগরি ও সাংগঠনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে। তবে বিভিন্ন কারিগরি ও সাংগঠনিক পদক্ষেপের পাশাপাশি এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে পিতা-মাতা-অভিভাবক হতে শুরু করে সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের সম্পৃক্ততায় একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা অপরিহার্য। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারী দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বেগম তারানা হালিম এ তথ্য জানান। এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের লক্ষ্যে বিটিআরসিতে বিডি-সার্ট গঠন করা হয়, যার মাধ্যমে ইন্টারনেটভিত্তিক অপরাধ দমনে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ইতোমধ্যে অসংখ্য সরকারবিরোধী ও ধর্মবিরোধী কনটেন্ট আইআইজির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে তা অপসারণের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। সরকারী দলের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, টেলিযোগযোগ সেক্টরে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা সবসময়ের জন্য একটি আলোচিত বিষয়। কিন্তু এই অবৈধ ব্যবসার দরুন সরকারের প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা কঠিন। অবৈধ ভিওআইপির জন্য বৈধ পথে আসা কলের পরিমাণ হ্রাস পেয়ে থাকে। টেলিযোগাযোগ সেক্টরে এই অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা বন্ধকরণের জন্য বিটিআরসি হতে সময় সময় নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল রেট হ্রাস করা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতায় অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মাত্র আড়াই বছরে মোবাইল গ্রাহক বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি সংসদ সদস্য মোঃ নবী নেওয়াজের প্রশ্নের জবাবে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বেগম তারানা হালিম জানান, গত সাড়ে আট বছরে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৯ সালে মোবাইল ফোনের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৫ কোটি ৪০ লাখ ১২ হাজার। ২০১৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৩০ লাখ ১১ হাজার।
×