ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে? ফয়সালা আজ

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ৯ জুন ২০১৭

ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে? ফয়সালা আজ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ব্রিটেনের শাসনভার কনজারভেটিভ নেতা টেরেসা মের হাতেই থেকে যাবে, নাকি লেবার নেতা জেরেমি করবিনের হাতে আসবে? -এই প্রশ্নের ফয়সালা আজ। বৃহস্পতিবার সকাল সাতটায় ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে রাত দশটা পর্যন্ত চলে। কয়েকদিন আগে ধারণা করা হচ্ছিল বর্তমান প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে খুব সহজেই এই নির্বাচনে জয়লাভ করবেন। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এসে জনপ্রিয়তার সূচক হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পূর্বাভাস দিচ্ছে। শেষ মুহূর্তে এসে নিজেদের অবস্থান দেখে হতাশ হতে হবে কনজারভেটিভ পার্টির। কারণ, প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী লেবার পার্টির চেয়ে মাত্র এক পয়েন্টে এগিয়ে আছে তারা। জরিপ বলছে, জনপ্রিয়তার সূচকে কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ৪১ দশমিক ৫ পয়েন্ট। আর লেবার পার্টি পেয়েছে ৪০ দশমিক ৪ পয়েন্ট। গত মে মাসের শুরুতে ১৭ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল কনজারভেটিভরা। এ ছাড়া লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ছয় পয়েন্ট ও ইউকে ইনডিপেনডেন্স পার্টি তিন পয়েন্ট করে পেয়েছে। খবর বিবিসি, এএফপি ও দ্য গার্ডিয়ান অনলাইনের। ব্রিটেনজুড়ে মোট ৪ হাজার ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচনে মোট ৬৫০ জন এমপি নির্বাচিত হবেন। ভোট দেবার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন প্রায় সাড়ে চার কোটি ভোটার। এদিকে ব্রিটেনে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভোটকেন্দ্রগুলোতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অনেক ভোটকেন্দ্রে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়। ২০১৫ সালের সর্বশেষ নির্বাচনে রেজিস্টার্ড ভোটারের সংখ্যা ছিল ৪.৬৪ কোটি। চিঠির মাধ্যমে কিছু ভোটার ভোট দেয়। অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে করা হয়েছে স্কুল, কম্যুনিটি সেন্টার কিংবা চার্চের কক্ষে। তবে অতীতে পানশালা, লন্ড্রি এবং স্কুল বাসও ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করতে হলে একটি দলকে কমপক্ষে ৩২৬ টি আসনে জয় পেতে হবে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের মেয়াদ পাঁচ বছর। কিন্তু ব্রেক্সিট বিষয়ে পার্লামেন্ট সদস্যরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারায় হঠাৎ করেই এপ্রিলে আগাম নির্বাচনের ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। নির্ধারিত সময়ের তিন বছর আগে হতে যাওয়া এবারের নির্বাচনে স্থানীয় কোন নির্বাচন না হওয়ায় ভোটের ফল দ্রুত পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতেও কিছু আসনের ফল পাওয়া যেতে পারে। ব্রেক্সিট বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে এবার দুই তৃতীয়াংশ আসনের লক্ষ্যে প্রচারে নেমেছিল কনজারভেটিভরা। শেষ মুহূর্তের প্রচারে নিজেদের ব্যস্ত রেখেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও কনজারভেটিভ পার্টি নেতা টেরেসা মে ও লেবার নেতা জেরেমি করবিন। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছেন মে-করবিন। মে জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা না থাকা তথা ব্রেক্সিট বিষয়ে তার দলের সিদ্ধান্ত যুক্তরাজ্যে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করবে। বাড়িয়ে দেবে বাসস্থান ও যোগাযোগের সুবিধা। এ ছাড়া সন্ত্রাসবাদ কমাতে প্রয়োজন হলে দেশটির মানবাধিকার আইনে পরিবর্তন আনা হবে। করবিন জানান দেশের স্বাস্থ্যসেবাকে রক্ষা করতে হাতে আছে মাত্র ২৪ ঘণ্টা। এ ছাড়া দেশটিতে পুলিশের সংখ্যা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করেন তিনি।
×