ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আব্দুর রশিদ

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অষ্টম শ্রেণি

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ৭ জুন ২০১৭

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অষ্টম শ্রেণি

সিনিয়র শিক্ষক, বি এ এফ শাহীন কলেজ কুর্মিটোলা, ঢাকা (১ম অধ্যায়) প্রশ্ন ঃ যোগাযোগ করার পদ্ধতিকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়? উদাহরণসহ আলোচনা কর। উত্তর ঃ যোগাযোগ করার পদ্ধতিকে মোটামুটি দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা ঃ (ক ) একমুখী ও ( খ ) দ্বিমুখী ( ক ) একমুখী যোগাযোগ পদ্ধতি ঃ যখন একজন ব্যক্তি বা একটি প্রতিষ্ঠান অনেকের সাথে যোগাযোগ করে সে পদ্ধতিটি হলো “ একমুখী ”, ইংরেজিতে যাকে বলে “ ব্রডকাস্ট ”। রেডিও টেলিভিশন হলো এর সবচেয়ে সহজ উদাহরণ - যেখানে রেডিও বা টেলিভিশন স্টেশন থেকে সবার জন্য অনুষ্ঠান প্রচার করা হয় । যাদের জন্য অনুষ্ঠান প্রচার করা হয় , তারা কিন্তু পাল্টা যোগাযোগ করতে পারে না। কোনো কোনো লাইভ অনুষ্ঠানে দর্শক বা শ্রতাদের অবশ্য ফোন করে যোগাযোগের সুযোগ দেওয়া হয় - যেখানে লক্ষ লক্ষ শ্রোতাদের মধ্যে দু-একজন যোগাযোগ করতে পারে , কাজেই এটি আসলে একমুখী ব্রডকাস্টই থেকে যায়। ব্রডকাস্ট পদ্ধতির যোগাযোগের আরও উদাহরণ হচ্ছে- খবরের কাগজ ও ম্যাগাজিন। ( খ ) দ্বিমুখী যোগাযোগ পদ্ধতি ঃ যোগাযোগের একমুখী ব্রডকাস্ট পদ্ধতির সম্পূরক রুপটি হচ্ছে দ্বিমুখী যোগাযোগ। যার সবচেয়ে ভালো উদাহরণ হচ্ছে টেলিফোন। টেলিফোনে দুজন একই সাথে পরস্পরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। অর্থাৎ যে যোগাযোগ ব্যবস্থায় এজন আরেকজনের সাথে একই সময়ে যোগাযোগ করতে পারে। যেমন মোবাইলে আমরা একজন একটি প্রশ্ন করলে অপরজন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি। এভাবে দ্বিমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ হয়ে থাকে। প্রশ্ন ঃ আউটসোর্সিং বলতে কী বোঝ ? ব্যাখ্যা কর। উত্তরঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বর্তমান বিশ্বে একটি অন্যতম প্রধান প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তি উন্নয়নের প্রধান ভ’মিকা রেখেছে ইন্টারনেট। তথ্য ও যোগাগাযোগ প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় প্রণোদনা হলো এর মাধ্যমে নিত্যনতুন কাজের ক্ষেত্র তৈরি হয় । ফলে অনেক বেশি কাজের সুযোগ তৈরি হয়। ইন্টারনেটের বিকাশের ফলে বর্তমানে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য ঘরে বসে অন্য দেশের কাজ করে দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে । বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যখন তাদের নিজেদের অনেক কাজ যেমন- ওয়েবসাইট উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণ , মাসিক বেতন, ভাতার বিল প্রস্তুতকরণ , ওয়েবসাইটে তথ্য যুক্তকরণ , সফটওয়্যার উন্নয়ন ইত্যাদি অন্য দেশের কর্মীও মাধ্যমে সম্পন্ন করে থাকে । এটিকে বলা হয় আউটসোর্সিং (ঙঁঃংড়ঁৎপরহম ) । ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে যে কেউ এ ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে । এ ক্ষেত্রে কাজের দক্ষতার পাশাপাশি ভাষা দক্ষতাও সমানভাবে প্রয়োজন । এই সকল কাজ ইন্টারনেটে অনেক সাইটে পাওয়া যায় । এর মধ্যে জনপ্রিয় কয়েকটি হলো আপওয়ার্ক (িি.িঁঢ়ড়িৎশ.পড়স), ফ্রিল্যান্সার (িি.িভৎববষধহপবৎ.পড়স), ইল্যান্স (িি.িবষধহপব.পড়স) ইত্যাদি । বাংলাদেশের মুক্ত পেশাজীবীগণ এই সকল সাইট ব্যবহার করে আত্মকর্মসংস্থানে সক্ষম হচ্ছে।
×