ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্বামীর দেয়া আগুনে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন অন্তঃসত্ত্বা ফাতেমা

প্রকাশিত: ০৪:০২, ৭ জুন ২০১৭

স্বামীর দেয়া আগুনে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন অন্তঃসত্ত্বা ফাতেমা

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ যৌতুকের দাবিতে অমানুষিক নির্যাতনের একপর্যায়ে পাষ- স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ অন্তঃসত্ত্বা ফাতেমা বেগম ১২ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে মৃত্যুর কাছে হেরে যায় ফাতেমা। নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে ওইদিন রাতে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। গত ২৫ মে রাতে অগ্নিদগ্ধ ফাতেমা বেগমকে (২০) পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শেবাচিম হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। আগুনে ফাতেমার শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাকে (ফাতেমা) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দিলেও অর্থ সঙ্কটের কারণে ফাতেমাকে তার স্বজনরা ঢাকায় নিতে পারেননি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নতুন বাজার এলাকার রিক্সাচালক হারুন মিয়ার কন্যা ফাতেমার সঙ্গে গত তিন বছর আগে একই উপজেলার টিয়াখালীর নাচনপাড়া গ্রামের ইউসুফ গাজীর পুত্র সোবাহানের সঙ্গে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে রুপা নামের দেড় বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। ফাতেমার বরাত দিয়ে তার দাদি হাসিনা বেগম জানান, বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য ফাতেমাকে নির্যাতন চালাত তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ মে সন্ধ্যায় নির্যাতনের একপর্যায়ে ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে ফাতেমার পরনের ম্যাক্সিতে আগুন ধরিয়ে দেয় পাষ- স্বামী সোবাহান। ফাতেমা দ্বগ্ধ হয়ে ডাকচিৎকার শুরু করলে সটকে পরে সোবাহান। প্রতিবেশীরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফাতেমাকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে রাতেই বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ফাতেমাকে ভর্তি করা হয়। হাসিনা বেগম আরও জানান, ঘটনার সময় ফাতেমা তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। কুশিয়ারা ডাইকে ভাঙ্গন ॥ ১৮ গ্রাম প্লাবিত স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ গত দুদিনে কুশিয়ারা ডাইক ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করে ওসমানীনগর উপজেলার ১৮ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের লামা তাজপুর এলাকায় কুশিয়ারা নদীর পানির প্রবল স্রোতে ডাইকের প্রায় ৫০ ফুট অংশ ভেঙ্গে গিয়ে গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। মঙ্গলবার পানির বেগ কিছুটা কম রয়েছে বলে স্থানীরা জানিয়েছেন। ভাঙ্গন প্রক্রিয়ায় ওসমানীনগরের দক্ষিণ তাজপুর, লামা তাজপুর, পূর্ব তাজপুর, ইসলামপুর, আব্দুল্লাপুর, সম্মানপুর, তাহিরপুর, লামাতাজপুর, গাভুটিকি, মোবারকপুর, মশাখলা, বল্লভপুর, চাতলপার, কালনিচর, সুন্দিকলা, জহিরপুর, মিঠাবরাং, মুক্তারপুর, মাদবপুর, মান্দারুকা, চর ইসবপুর, চর সিকন্দরপুর, তিলক চানপুরসহ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার অধিবাসী আক্রান্ত হয়েছেন। গত শীত মৌসুমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তালিকাভুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়ম অনুযায়ী ডাইকের সাড়ে তিন ফুট মাটি ভরাট না করে অনিয়মের কারণে কুশিয়ারা নদীর পানির চাপে ডাইক ভেঙ্গে গেছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। অনিয়মের বিষয় সম্পর্ক সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী বলেন, আমি বেশি দিন হয়নি এখানে যোগদান করেছি। সাদীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
×