নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ, ২ জুন ॥ কেরানীগঞ্জে বিএনপির ইফতার মাহফিলে শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের হামলার জের ধরে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছে। প- হয়ে গেছে ইফতার মাহফিল। হযরতপুর ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী মসজিদে ঢুকে হামলার পর উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এর জের ধরে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। উভয়পক্ষে উত্তেজনা চলা অবস্থায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিএনপি নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী আমান উল্লাহ আমান ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের রোষানলে পড়েন। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। তবে কাউকে আটক করা হয়নি।
জানা যায়, কেরানীগঞ্জে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমানের হযরতপুরের বাড়ির পাশের মসজিদে শুক্রবার হযরতপুর ইউনিয়ন বিএনপি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল আমান উল্লাহ আমানের। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ইফতারের জন্য মসজিদের পাশে রান্নাবান্নাসহ আয়োজন চলছিল।
ঘটনাস্থলে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সাধারণ মুসল্লিরা উপস্থিত ছিল। এসময় ক্ষমতাসীন দলের শতাধিক নেতাকর্মী হঠাৎ লাঠিসোটা নিয়ে মসজিদের ভেতর ঢুকে উপস্থিত লোকজনকে মারধর করে এবং খাবার দাবার ছুড়ে ফেলে দেয়। পরে তারা চলে গেলে বিএনপির লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে বেরিয়ে এলে কয়েক দফা উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে আমান উল্লাহ আমান বলেন, আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই প্রথম দফা হামলার খবর পাই। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার আয়নালের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে। এরপর আমি স্থানীয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলি। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছিল। নতুন করে আর কোন ঝামেলা হবে না। এরপর আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে মসজিদের ভেতর অবস্থান নেই। কিছুক্ষণ পর আয়নালের নেতৃত্বে পুনরায় হামলা চালানো হয়।
