ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

Taslima Afroz

নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান

প্রকাশিত: ০৬:৫৪, ১ জুন ২০১৭

নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান

Blessed with SHAH MD.IDRIS ALI & HAMIDA ALI C/O Md. Sofiul Haq Khandakar (Shohag) M.Sc. (First Class 1st), B.Sc. (First Class 9th) Achieved: Best Teacher Award, Lecturer in Zoology, Arambagh High School & College, Arambagh, Motijheel, Dhaka -1000. Mob: 01711-043777 e-mail: [email protected] (পর্ব -৩১) পঞ্চম অধ্যায়: খাদ্য, পুষ্টি এবং পরিপাক সুপ্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল। ইতোপূর্বে তোমরা উদ্ভিদের খনিজ পুষ্টি, উদ্ভিদের খনিজ পুষ্টির প্রকারভেদ, পুষ্টি উপাদানের উৎস ও উদ্ভিদের পুষ্টিতে বিভিন্ন খনিজ উপাদানের ভূমিকা সম্পর্কে জেনেছো। আজকের আলোচনা: উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদানের গুরুত্ব ও পুষ্টি উপাদানের অভাবজনিত লক্ষণ উদ্ভিদ তার বৃদ্ধি ও পরিপুষ্টির জন্য মাটি, বায়ু ও পানি থেকে কতগুলো উপাদান শোষন করে। এ উপাদানগুলোর অভাবে উদ্ভিদ সুষ্ঠভাবে বাঁচতে পারে না এ উপাদানগুলোকে উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদান বলে। এ সকল পুষ্টি উপাদানের অধিকাংশই উদ্ভিদ মাটি থেকে সংগ্রহ করে বলে এদেরকে খনিজ পুষ্টি বলা হয়। উদ্ভিদের প্রায় ৬০টি অজৈব উপাদান শনাক্ত করা হয়েছে। অবশ্য ৬০টি উপাদানের মধ্যে মাত্র ১৬টি উপাদান উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য একান্ত প্রয়োজনীয় । উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদানের গুরুত্ব : উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে বিভিন্ন খনিজ পুষ্টি উপাদানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ক. ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট বা ম্যাক্রোউপাদান : নাইট্রোজেন (ঘ): নাইট্রোজেন নিউক্লিক এসিড, প্রোটিন ও ক্লোরোফিলের অত্যাবশ্রকীয় উপাদান। উদ্ভিদের সাধারণ দৈহিক বৃদ্ধিতে ন্ইট্রোজেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং কোষ কলায় পানির পরিমাণ বৃদ্ধি করে। ফসফরাস (চ): ফসফরাস নিউক্লিক এসিড, ভিভিন্ন ফসফোরিপিড, ঘঅউচ, অঞচ প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক দ্রব্রের সাংগঠনিক উপাদান। উদ্ভিদের মূল বর্ধনের জন্য ফসফরাস অত্যন্ত প্রয়োজনূয় উপাদান। পটাসিয়াম (ক): পটাসিয়াম উদ্ভিদে পানি পরিশোষণে সাহায্য করে। পত্ররন্ধ্র খোলা ও বন্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে পটাশিয়ামের গুরুত্ব অপরিসীম। ইহা মূল, ফুল ও ফল উৎপাদন ও বর্ধনেও সাহায্য করে থাকে। ম্যাগনেসিয়াম (গম): ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরোফিল অণুর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং শ্বসন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। আয়রন বা লৌহ (ঋব): আয়রন সাইটোক্রোমের সাংগঠনিক উপাদান, কাজেই বায়বীয় শ্বসন এর উপর নির্ভরশীল। ক্লোরোফিল সৃষ্টিতেও আয়রনের ভূমিক অপরিসীম। খ. মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট বা মাইক্রোউপাদান : ম্যাংগানিজ (গহ): ক্লোরোপ্লাস্ট গঠন ও সংরক্ষণের জন্য ম্যাংগানিজ প্রয়োজন। তামা বা কপার (ঈঁ): টমেটো, সূর্যমুখী উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য তামা প্রয়োজন, শ্বসন প্রক্রিয়ার উপর তামার প্রভাব উল্লেখযোগ্য। বোরন (ই): উদ্ভিদের সক্রিয়ভাবে বর্ধনশীল অঞ্চলের জন্য বোরন প্রয়োজন, চিনি পরিবহনে বোরন পরোক্ষ প্রভাব বিস্তার করে। দস্তা বা জিংক (তহ): অ্যামাইনো এসিড সংশ্লেষণের জন্য দস্তা প্রয়োজন। উদ্ভিদের স¦াভাবিক বিপাকীয় কার্যে এর কিছু প্রয়োজন হয়। মোলিবডেনাম (গড়): অণুজীব দ্বারা বায়বীয় নাইট্রোজেন সংবন্ধনের জন্য মোলিবডেনাম আবশ্যক। ক্লোরিন (ঈষ): সুগারবিট এর মূল ও কান্ডের বৃদ্ধির জন্য ক্লোরিন প্রয়োজন। পুষ্টি উপাদানের অভাবজনিত লক্ষণ : উদ্ভিদের কোনো পুষ্টি উপাদানের অভাব হলে বিশেষ লক্ষণের মাধ্যমে উদ্ভিদ তা প্রকাশ করে। এ লক্ষণগুলোকে বলা হয় অভাবজনিত লক্ষণ (ফবভরপরবহপু ংুসঢ়ঃড়সং)। এ লক্ষণ দেখে আমারা বুঝতে পারি কোন উদ্ভিদ বা ফসলে কোন পুষ্টি উপাদানের অভাব রয়েছে। নিচে কিছু উপাদানের অভাবজনিত লক্ষণ উল্লেখ করা হলো :
×