ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

নৃত্য রঙের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সাংস্কৃতিক উৎসব

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ৩১ মে ২০১৭

নৃত্য রঙের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সাংস্কৃতিক উৎসব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সময়ের বহমানতায় প্রতিষ্ঠার দশ বছর পূর্ণ করল সাংস্কৃতিক সংগঠন নৃত্য রঙ। সেই সাফল্যের উদ্যাপনে অনুষ্ঠিত হলো সাংস্কৃতিক উৎসব ও প্রতিযোগিতা। দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশনার সঙ্গে মজাদার কৌতুক উপস্থাপনের মাধ্যমে সাজানো হয় অনুষ্ঠান। বিভিন্ন পরিবেশনায় সংগঠনের শিল্পীদের সঙ্গে অংশ নেই আমন্ত্রিত শিল্পীরা। গানের সুরে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। ছোট ছোট পায়ে একদিন/দুঃখ ব্যথার নদী পেরিয়ে যাবে...শীর্ষক সঙ্গীত পরিবেশনের মুশফিক ও আরিফ। এ গানের পর স্মরণ করা হয় সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী লাকী আখন্দকে। তাকে নিবেদন করে গাওয়া হয় তুমুল শ্রোতাপ্রিয় সেই গান- আবার এলো যে সন্ধ্যা, শুধু দু’জনে/চলো না ঘুরে আসি অজানাতে/যেখানে নদী এসে থেমে গেছে ...। কালজয়ী গানটি পরিবেশন করেন ওয়ালি। গান শেষে নাচ নিয়ে মঞ্চে আসে শিশু শিল্পী রুবি। ‘বাংলা আমার মায়ের ভাষা’ গানের সুরে নাচ করে এই খুদে নৃত্যশিল্পী। আরেক শিশু শিল্পী আরিফ জোয়াদার উপস্থাপন করেন কৌতুক। দর্শকদের হাসির রসদ জোগানো কৌতুক শেষে ‘বুড়া আমায় মারিছে’ গানের সুরে নাচ করে আরেক খুদে নৃত্যশিল্পী সৃষ্টি। ভারত থেকে আগত আমন্ত্রিত দুই নৃত্যশিল্পীর যুগলবন্দী পরিবেশনাটি ছিল অনবদ্য। কত্থক নৃত্যের নানা আঙ্গিক উপস্থাপন করেন তপন রায় ও সুমিধা বেরারা। মুদ্রার সঙ্গে অভিব্যক্তির সম্মিলনে স্তূতি দিয়ে শুরু হয়ে পরিবেশনা। এরপর একে একে যুগলবন্দী পরিবেশনায় উপস্থাপিত হয় পঞ্চম সওয়ারি ও তেহাই। শিল্পী যুগল সর্বশেষ পরিবেশন করে কত্থকের ভাও আঙ্গিক। নাচের সঙ্গে অভিনয়ের মেলবন্ধনে উপস্থাপিত হয় হিন্দু পুরাণ মহাভারতের দ্রৌপদীর বস্ত্র হরণের ঘটনা। এরপর ‘বাপুরাম সাপুড়ে, কোথা যাস বাপুরে’ গানের সুরে নৃত্য পরিবেশন করে আনিকা। এছাড়া সঙ্গীত পরিবেশন করেন হাসান মাসুদ ও তার দল।
×