ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে সাফল্য বলতে কেবল শূটিংয়ে

সার্বিকভাবে ব্যর্থ বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ২১ মে ২০১৭

সার্বিকভাবে ব্যর্থ বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইসলামিক সলিডারিটি গেমসের চতুর্থ আসরেও যথারীতি ব্যর্থ বাংলাদেশের এ্যাথলেটরা। শুধু শূটিং ছাড়া পদক তো দূরে থাক, ট্রায়াল বাধাই পেরুতে পারেনি কেউ। অথচ টুর্নামেন্টের আট ডিসিপ্লিনে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশের ৩১ এ্যাথলেট। আর ৯ কোচ ছাড়াও ফেডারেশনের টাকায় আজারবাইজান ঘুরে এসেছেন বেশ কজন উর্ধতন কর্মকর্তা। তবে ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে আরও পেশাদার হওয়ার কথা জানিয়েছেন এ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। শুধু ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের দলগত ইভেন্টই নয়, ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্বর্ণ জিতেছে বাংলাদেশ। বাকী-আতকিয়ার কল্যাণে দেশ ছাপিয়ে ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’Ñ আরও একবার বেজেছে আজারবাইজানের বাকুতে। এছাড়া রৌপ্যপদক জিতেছেন আরেক শূটার রাব্বী হাসান মুন্না। এতো গেল পর্দার একপাশের গল্প। অন্যপাশটা যেন ঠিক বিপরীত, ধূসর অন্ধকার। এক শূটিং ছাড়া বাকি ৭টি ডিসিপ্লিনে অংশ নেয়া ২৮ এ্যাথলেটের সবাই করেছেন হতাশ। যাদের বেশিরভাগই হিটেই বাদ পড়েছেন। তবে সবচেয়ে সমালোচিত হয়েছে দেশসেরা নারী স্প্রিন্টার শিরিন আক্তারকে বাদ দিয়ে আমেরিকান প্রবাসী আলিদা শিকদারকে সরাসরি সুযোগ দেয়ার বিষয়টি। অথচ আলিদা কোন পদক জেতা দূরে থাক, দুটি ইভেন্টের একটিতেও অংশই নেননি। এতে করে নিঃসন্দেহে ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়েছে বাংলাদেশের। গুঞ্জন রয়েছে বড় টুর্নামেন্টের চাপ নিতে ব্যর্থ আলিদা ভয়ে শেষ পর্যন্ত ট্র্যাকেই নামেননি। তবে আলিদার এই ন্যক্কারজনক কা-ের কোন দায়ভার নিতে রাজি নয় এ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন। তাদের ব্যাখ্যা- এ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের নতুন কমিটি দায়িত্ব নেয়ার আগেই আলিদাকে বাকুতে খেলানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)। তারা অন্তত আলিদাকে বাকুকে পাঠানোর আগে বাংলাদেশে এনে একটা ট্রায়ালের ব্যবস্থা করতে পারত। সেখানে যদি তিনি ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে দ্রুততম মানবী শিরিনকে পরাস্ত করতে পারতেন তাহলে কোন প্রশ্নই উঠত না। কিন্তু বিওএ এ সবের ধারই ধারেনি। কাজেই আলিদা কেন বাকুতে দুটি ইভেন্টেই অংশ না নিয়ে বাকু ভ্রমণ শেষে আবারও যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গেলেন, সেটা বিওএ-ই ভাল বলতে পারবে। এছাড়া ভরাডুবি হয়েছে সাঁতার, জিমন্যাস্টিক্স, ভারোত্তোলন, কুস্তি এবং জুডোতে। তাইতো ভবিষ্যতে বড় টুর্নামেন্টের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান দেশের দ্রুততম মানব মেজবাহ আহমেদের। ১৯৮৪ সালে প্রথম অলিম্পিকে অংশগ্রহণ থেকে এ পর্যন্ত অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছে ঢের। তাইতো এখন সময় পদকজয়ের। সে লক্ষ্যেই এ্যাথলেটদের মানসিকতার পরিবর্তনও জরুরী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
×