ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নাম বিভ্রাটে ৬ দিন ধরে জেলহাজতে রফিকুল

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ২১ মে ২০১৭

নাম বিভ্রাটে ৬ দিন ধরে জেলহাজতে রফিকুল

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ২০ মে ॥ নিজের আর গ্রাম এ দুই নামে মিল থাকায় বিনা দোষে মারপিটের মামলায় ছয় দিন ধরে শনিবার পর্যন্ত জেলহাজতে রয়েছে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার চতলবাইদ (ভূঁইয়াপাড়া) গ্রামের দিনমজুর রফিকুল ইসলাম। গত ১৪ মে সখীপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। মৃত ঠা-ু মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলামকে এর আগে ২০১৫ সালের ১৪ মে একই মামলায় আটক করে সখীপুর থানা পুলিশ। পরে সে সময় তাকে আদালতে নেয়া হলে আদালত কারাগারে পাঠায়। পরে মামলার বাদী সায়েজ উদ্দিনের সহায়তায় রফিকুল ১৬ মে কারাভোগের পর মুক্তিলাভ করে। জানা যায়, সখীপুর উপজেলার চতলবাইদ (ভূঁইয়াপাড়া) গ্রামের দিনমজুর রফিকুল ইসলামের বাবা মৃত ঠা-ু মিয়া। শুধু গ্রাম ও নামের মিল দেখে গত রবিবার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে এবং সোমবার টাঙ্গাইল আদালতে পাঠায়। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রফিকুলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। রফিকুল কারগারে থাকায় চার সন্তান নিয়ে তার স্ত্রী নাজমা বেগম অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। মামলার বাদী গজারিয়া গ্রামের সায়েজ উদ্দিন বলেন, ২০১৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ক্যারম খেলা নিয়ে চতলবাইদ গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৫) তার ভাগ্নে খায়রুলের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় পরের দিন তিনি বাদী হয়ে রফিকুল ও আরও একজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। বিগত ২০১৫ সালের ১৪ মে পুলিশ যে রফিকুলকে গ্রেফতার করে তার বাবার নাম ঠা-ু মিয়া। পুলিশ যাকে গ্রেফতার করেছে মূলত এই রফিকুল প্রকৃত আসামি নয়। পরে সে ছাড়া পায়। এবারও একই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। একই ঘটনায় নাম ও গ্রামের নাম মিল থাকায় আবারও রফিকুল কারাভোগ করছে। বিষয়টি দুঃখজনক। মামলার বাদী সায়েজ উদ্দিন আরও বলেন, মামলার আসামি রফিকুল হলেও বাবার নাম আবদুর রশিদ, বাড়ি চতলবাইদের ভাতকুড়া চালায়, বয়স ২৫ বছর। দোষী সাজা পেলে খুশি হতাম। নির্দোষ রফিকুলকে বাঁচাতে আমি সেবার সাক্ষী দিয়ে জেল থেকে ছাড়িয়ে এনেছিলাম। প্রয়োজনে এবারও আদালতে সাক্ষী দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনব।
×