ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

খাতুনগঞ্জে কমতে শুরু করেছে ভোগ্যপণ্যের দাম

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ২১ মে ২০১৭

খাতুনগঞ্জে কমতে শুরু করেছে ভোগ্যপণ্যের দাম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অবশেষে দেশের প্রধান পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে কমতে শুরু করেছে ভোগ্যপণ্যের দাম। চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে রেকর্ড পরিমাণ পণ্য আমদানি ও খালাস হওয়ায় প্রভাব পড়েছে ভোগ্যপণ্যের বাজারে। টাকার সঙ্গে ডলারের বিনিময়হার অপরিবর্তিত থাকলেও গত কয়েকদিনের ব্যবধানে রমজানের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছোলা, চিনি এবং ভোজ্যতেলের দাম কেজিতে ১ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত কমেছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানির পর খালাস হয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার মেট্রিক টন ছোলা, ভোজ্যতেল ও চিনি। আর এপ্রিল মাসে সাড়ে ২৪ লাখ মেট্রিক টন ছোলা, ভোজ্যতেল ও চিনি আমদানি হয়। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার এএফএম আবদুল্লাহ খানের দাবি, এখন পর্যন্ত চাহিদার তুলনায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেশি ভোগ্যপণ্য আমদানি হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে ২৭ হাজার মেট্রিক টন ছোলা, ৪১ হাজার মেট্রিক টন ভোজ্যতেল এবং ৬০ হাজার মেট্রিক টন চিনি আমদানি হয়েছে। এর আগে এপ্রিল মাস পর্যন্ত দেশে ৫ লাখ মেট্রিক টন ছোলা, ১৫ লাখ মেট্রিক টন ভোজ্যতেল এবং সাড়ে চার লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি হয়েছিল। রমজান মাসে দেশে দেড় লাখ মেট্রিক টন ছোলা, প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ হাজার মেট্রিক টন ভোজ্যতেল এবং ১২ থেকে ১৩ হাজার মেট্রিক টন চিনির চাহিদা রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং রেটের পাশাপাশি ডলারের দর বেড়ে যাওয়ার অজুহাতে গত দু’সপ্তাহ পুরোপুরি অস্থির ছিল দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার। তবে আমদানির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় কমতে শুরু করেছে ভোগ্যপণ্যের দাম। গত সপ্তাহে উন্নতজাতের ক্যাবরা ছোলা প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৮১ টাকা বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৮ টাকা দরে। সাধারণ মানের ছোলা কেজিপ্রতি ৩ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৭৩ টাকায়। অন্যদিকে মণপ্রতি ২০ থেকে ৪০ টাকা কমেছে সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম। গত সপ্তাহে প্রতি মণ সয়াবিন ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও এখন ২ হাজার ৯৬০ টাকা, পাম অয়েল ২ হাজার ৬১০ টাকার পরিবর্তে ২ হাজার ৫৮০ টাকা এবং ২ হাজার ৭৭০ টাকার সুপার সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৭৪০ থেকে ৫০ টাকায়। কমেছে চিনির দামও। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মণপ্রতি চিনি ৬০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ১৩০ টাকা দরে। চট্টগ্রাম বন্দরে বর্তমানে ১ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি নিয়ে ৩টি এবং ৪৫ হাজার মেট্রিক টন ভোজ্যতেল নিয়ে দুটি জাহাজ খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে।
×