ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদের বাজেট অধিবেশন ৩০ মে শুরু

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১৫ মে ২০১৭

সংসদের বাজেট অধিবেশন ৩০ মে শুরু

সংসদ রিপোর্টার ॥ দশম জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হবে আগামী ৩০ মে মঙ্গলবার বেলা ১১টায়। এটি হবে বর্তমান সংসদের ষোড়শ ও চলতি বছরের তৃতীয় অধিবেশন। পরেরদিন পহেলা জুন সংসদ অধিবেশনে ২০১৭-১৮ বছরের বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। রবিবার সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতা বলে সংসদের এ অধিবেশন আহ্বান করেছেন। ৩০ মে সংসদ অধিবেশনের শুরু আগে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের কার্যোপদেষ্টা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকেই অধিবেশন কতদিন চলবে, কিভাবে চলবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তবে সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, এই বাজেট অধিবেশন হবে দীর্ঘতম। বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা হবে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ ঘণ্টা। সে কারণে ষোড়শতম অধিবেশন প্রায় দুইমাস চলার সম্ভাবনা রয়েছে। সংসদ সচিবালয়ের আইন শাখার কর্মকর্তারা জানান, আগামী পহেলা জুন সংসদে আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করা হবে। প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে জুন মাস জুড়েই আলোচনা চলবে। এরপর বাজেট পাস করা হবে। এদিকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সম্প্রতি পূর্ব লন্ডনের ইম্প্রেশন মিলনায়তনে তার সম্মানে আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা সভায় বলেন, এবার বাজেটের আকার ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা হবে। এ বাজেট বাস্তবায়ন হবে, এতে কোন সন্দেহ নেই তার মনে। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, এই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য ছিল বাজেট বা সরকারী ব্যয় বাড়িয়ে অভ্যন্তরীণ বাজারকে শক্তিশালী করা। সে কারণে ২০০৯ সালে মহাজোট সরকারের প্রথম বাজেট যেখানে ৯৫ হাজার কোটি টাকা ছিল, ২০১৬ সালে এসে তা ৩ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়। আর চলতি মেয়াদে বর্তমান সরকারের শেষ বাজেট ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পাঁচ লাখ কোটি টাকা ছুঁবে বলে তিনি জানান। দশম সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশন গত ২ মে শুরু হয়ে ৮ মে শেষ হয়। মোট পাঁচ কার্যদিবসের সংক্ষিপ্ত এ অধিবেশনে দুটি বিল পাস হয়। আইন প্রণয়ন সম্পর্কিত কাজ সম্পাদনের পাশাপাশি কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ বিধিতে ১৫১টি নোটিস পাওয়া যায়। নোটিসগুলো থেকে ৯টি গৃহীত নোটিসের মধ্যে ৩টি আলোচিত হয়। এছাড়া ৭১ (১) বিধিতে দুই মিনিটের আলোচিত নোটিসের সংখ্যা ছিল ৪৫টি। ওই অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর উত্তর দানের জন্য সর্বমোট ৫৪টি প্রশ্ন পাওয়া যায়। তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ১৫টি প্রশ্নের জবাব দেন। মন্ত্রীদের জন্য আনা ৮৪৩টি প্রশ্নের মধ্যে ৩৩০টি প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়।
×