ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাঈদীর মৃত্যুণ্ড চেয়ে রিভিউ আবেদন রবিবারের কার্যতালিকায় ॥ যুদ্ধাপরাধী বিচার

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ১৩ মে ২০১৭

সাঈদীর মৃত্যুণ্ড চেয়ে রিভিউ আবেদন রবিবারের কার্যতালিকায় ॥ যুদ্ধাপরাধী বিচার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে সুপ্রীমকোর্টের দেয়া আমৃত্যু কারাদ-ের পরিবর্তে মৃত্যুদ- চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা রিভিউ আবেদন সুপ্রীমকোর্টের রবিবারের কার্যতালিকায় এসেছে। আগামীকালের কার্যতালিকার ৩০ নম্বর ক্রমিকে রিভিউ আবেদনটি রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের সঙ্গে খালাস চেয়ে সাঈদীর দায়ের করা আবেদনও শুনানির জন্য ধার্য রয়েছে। গত ৬ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপীল বিভাগের বেঞ্চ এ দিন ধার্য করে। আদালতে ওইদিন সাঈদীর পক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ২০১৬ সালের ১২ জানুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসি চেয়ে রিভিউ আবেদন করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ। ওই বছরের ১৭ জানুয়ারি সুপ্রীমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালাস চেয়ে রিভিউ করেছিলেন সাঈদী। এর আগে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সাঈদীর আপীলের সংক্ষিপ্ত রায় দেয় আপীল বিভাগ। সংক্ষিপ্ত রায়ে মৃত্যুদ-ের পরিবর্তে তাকে আমৃত্যু কারাদ- দেয় সুপ্রীমকোর্ট। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মোঃ মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ সংক্ষিপ্ত রায় দেয়। তখন বেঞ্চে আরও সদস্য ছিলেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (বর্তমান প্রধান বিচারপতি), বিচারপতি মোঃ আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এবং বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে বলা হয়েছে, বাকি জীবন কারাগারেই কাটাতে হবে জামায়াতে ইসলামীর এই নায়েবে আমিরকে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে আংশিকভাবে মঞ্জুর করা হয় সরকার ও আসামিপক্ষের করা দুই আপীল। বিচারিক আদালতে প্রমাণিত মোট আট অভিযোগের তিনটিতে আপীলে খালাস পান সাঈদী। আর বাকি পাঁচটির মধ্যে তিনটিতে আমৃত্যু কারাদ- ও দুটিতে তাকে মোট ২২ বছরের দ- দেয় আপীল বিভাগ। সাঈদীর ব্যাপারে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে দুটি আপীল করে সরকার ও আসামিপক্ষ। আসামিপক্ষের আপীলের নম্বর-৩৯/২০১৩ এবং সরকারের আপীলের নম্বর-৪০/২০১৩। রায়ে বলা হয়, সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে আংশিকভাবে মঞ্জুর করা হয়েছে দুটি আপীলই। ষষ্ঠ, একাদশ ও চতুর্দশ অভিযোগ থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে খালাস পান সাঈদী। সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে আসামিকে খালাস দেয়া হয় অষ্টম অভিযোগের অংশবিশেষ থেকে। এই অভিযোগের অংশবিশেষের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে ১২ বছরের কারাদ- দেয়া হয় আসামিকে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ১০ বছরের কারাদ- দেয়া হয় সপ্তম অভিযোগে। আর দশম, ষোড়শ ও ঊনবিংশ অভিযোগে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের রায়ে স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত কারাদ- দেয়া হয় সাঈদীকে।
×