ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইটভাঁটির ধোঁয়ায় কৃষকের ধান পুড়ে শেষ ॥ হাহাকার

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ৯ মে ২০১৭

ইটভাঁটির ধোঁয়ায় কৃষকের ধান পুড়ে শেষ ॥ হাহাকার

নিজস্ব সংবাদদাতা, জয়পুরহাট, ৮ মে ॥ ইটভাঁটি থেকে নির্গত সালফারযুক্ত ধোঁয়ায় পুড়ে গেছে কৃষকের ধান। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভুট্টা আর পাটক্ষেত। ফসল হারিয়ে কৃষকের মাথায় হাত। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ জানিয়ে এখন ভাটা মালিকের হুমকির মুখোমুখি। ফলে অভিযোগ করে এখন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রয়েছে আতঙ্কে। জানা যায়, ২১ এপ্রিল সদর উপজেলার শালপাড়ায় (থিপুর মৌজা) হারুনুর রশিদের হারুন ব্রিকস ইটভাঁটিতে ইট পোড়ানোর আগুন বন্ধের দিন কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে হোল্ডার ডেবে যাওয়ায় ড্রেন তৈরি হয়ে সেদিক দিয়ে ব্যাপকভাবে সালফারযুক্ত ধোঁয়া বের হয়। ঐ ভাঁটির দক্ষিণ অংশের অন্তত ৫০ বিঘা জমির ধান পুড়ে গেছে। এছাড়া ধোঁয়া ভুট্টা ও পাট ক্ষেতেরও ক্ষতি হয়। কৃষক পাকা ধান যখন কেটে ঘরে তুলবে ঠিক তখন এমন ঘটনায় ঐ এলাকার কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ক্ষতিপূরণ চেয়ে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিত আবেদন করে। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল জালাল ম-লকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটি সরেজমিনে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতির কথা উল্লেখ করে ২৭ এপ্রিল তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান তদন্ত রিপোর্ট পেয়েছি। কৃষকের ক্ষতির ব্যাপারে ৯ মে সভা ডেকেছি। দরিদ্র কৃষক আব্দুর রশিদ তার পুড়ে যাওয়া ফসলের জমিতে দাঁড়িয়ে কেঁদে বলে আমার সব ধান পুড়ে গেছে, এখন আমি কি খাব। কৃষক মীর শহীদ জানান, তার ২৬ শতক জমির ধান পুড়ে গেছে। কৃষক মজিবর, গোলাম মোস্তফা, রোস্তম আলীসহ এলাকার কৃষক ক্ষোভের সঙ্গে জানায় আমাদের ধান পুড়েছে, আমরা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করে এখন প্রভাবশালী ভাটা মালিক হারুনুর রশিদের রোষানলে পড়েছি। মালিক নিয়মিত হুমকি-ধমকি দিয়ে চলেছে। প্রায় ৮০০/৯০০ মণ ধান পুড়ে গেছে। এছাড়া ভুট্টা ও পাটের জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
×