ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিচার বিভাগের সঙ্গে সরকারের কোন দূরত্ব নেই ॥ আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ৫ মে ২০১৭

বিচার বিভাগের সঙ্গে সরকারের কোন দূরত্ব নেই ॥ আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিচার বিভাগের সঙ্গে সরকারের কোন দূরত্ব নেই। বৃহস্পতিবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ লায়নস ক্লাবস জেলা ৩১৫ এ ওয়ান এর ২২তম বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তিনি। অনুষ্ঠান শেষে বিচার বিভাগের সাথে নির্বাহী বিভাগের দূরত্ব তৈরি হয়েছে কিনা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয় প্রধান বিচারপতি গতকালই এর অবসান ঘটিয়েছেন। তিনি অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলেছেন, বিচার বিভাগের সাথে সরকারের কোন দূরত্ব নাই।’ এর আগে অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী বলেন, দেশের অবকাঠামো, শিক্ষা, অর্থনীতিসহ সামগ্রিক উন্নয়নের সূচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। বর্তমানে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। এই সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে। আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ শক্ত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বর্তমানে ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও উপর। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে রফতানি আয় ছিল মাত্র ১০.৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৪.২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০০৯ সালে বিদ্যুত উৎপাদন ছিল ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। বর্তমানে বিদ্যুত উৎপাদন প্রায় ১৫ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুত সুবিধার আওতায় এসেছে। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। বিগত সাড়ে ৮ বছরে দেশে কৃষিখাতের ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। বছরে খাদ্যশস্য উৎপাদন প্রায় ৪ কোটি মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ এখন খাদ্য-উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। লায়নদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, আপনারা সমাজের দায়িত্বশীল অংশীদার। আপনাদের সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব ছাড়া উন্নয়ন এবং কোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাও সম্ভব নয়। আমি আপনাদের দেশের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। সভাপতির বক্তব্যে লায়নের ডিস্ট্রিক গভর্নর কল্পনা রাজিউদ্দিন বলেন, বিশ্বের বড় সমস্যা হলো বৈশ্বিক ঊষ্ণায়ন। আর এর জন্য দায়ী নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন। আমরা যদি সচেতন হই তাহলে এটি প্রতিহত করা সম্ভব। আর তাই আমরা লায়নের উদ্যোগে গাছ লাগানো ও সবুজায়নে জোর দিয়েছি। কাউন্সিল চেয়ারপার্সন স্বদেশ রঞ্জন সাহা বলেন, এ ওয়ান সব সময় এক নম্বর। তিনি লায়নের আরও অগ্রগতি কামনা করেন। এরপর নাজমুল হক লায়নের অগ্রগতি দেখিয়ে বলেন, লায়নের মোট ১০২টি ক্লাব আছে এর মধ্যে ৮টি ক্লাব এ বছর নতুন করে শুরু হয়েছে, যা খুব ভাল। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, লায়নরা অন্যের দুঃখে ঝাঁপিয়ে পড়ে আর্তমানবতার কাজ করে। আমরা যদি উপযুক্ত লায়ন তৈরি করতে পারি তাহলে বাংলাদেশের কোন দুঃখ থাকবে না। অনুষ্ঠান আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ সাবেক গভর্নরদের সম্মানসূচক স্মারক হিসেবে সিংহের মূর্তি দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ওয়াহিদুল হাসান এমজিএফ। এছাড়া ‘গো গ্রি সেভ আওয়ার আর্থ এবং ডিস্ট্রিক এন্ড ক্লাব এক্টিভিটিস’ শীর্ষক একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি শেখ কবির হোসেন এমজিএফও, এফবিবিসিআইর সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, মোসলেম আলী খান এমজিএফ, কাউন্সিল চেয়ারপার্সন স্বদেশ রঞ্জন সাহা এফসিএ পিএমজিএফ, ক্যাবিনেট সচিব ফজলে কাদের মুকুল, পিএমজিএফ, নাজমুল হক এমজিএফ, জিএমটি, এ কে এম রেজাউল হক প্রমুখ।
×