বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে পর্যটন খাত

বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবসার যে খাতগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে নীতিমালা তৈরি করে প্রথমবারের মতো সেই নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছেÑ বাংলাদেশের পর্যটন খাত। শনিবার ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড আয়োজিত ‘পর্যটনবর্ষে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ ঘোষণা দেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা রাজী হাসান। পর্যটন খাতে ব্যাংক এবং আথিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অধিকতর সংযুক্তি ও সহযোগিতায় বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির ভাষণে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ ঘোষণাকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প গত তিন বছরে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে যা অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের বরাত দিয়ে মন্ত্রী জানান, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা ছিল ৯৮ লাখ বা প্রায় ১ কোটি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী একজন ট্যুরিস্টের আগমনে ১১টি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। সেই হিসাবে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ১১ কোটি মানুষের জীবন জীবিকার উপলক্ষ ছিল বাংলাদেশের পর্যটন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে ১ কোটি ৩০ লাখ প্রবীণ আছেন এ প্রবীণদের একটা বড় অংশ দেশের মধ্যে ভ্রমণ করতে চান, তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় ভ্রমণের সুযোগ করে দেয়া গেলে সেটিও অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে। ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং সাবেক সচিব আরস্তু খান পর্যটন ও ব্যাংক খাত নিয়ে এ ধরনের আয়োজনকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে বলেন, ইসলামী ব্যাংক আগামীতে ট্যুরিজম খাতে যা যা সহযোগিতা করা সম্ভব তার সবকিছু করবে।Ñবিজ্ঞপ্তি