ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিপক্ষের জালে গোলবন্যা বার্সা ও রিয়ালের

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ২৮ এপ্রিল ২০১৭

প্রতিপক্ষের জালে গোলবন্যা বার্সা ও রিয়ালের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ স্প্যানিশ লা লিগায় প্রতিপক্ষের জালে গোলোৎসব করেছে দুই পরাশক্তি রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সিলোনা। এল ক্লাসিকোর পর দু’দলই আলাদা ম্যাচে বুধবার রাতে মাঠে নেমেছিল। ঘরের মাঠ নুক্যাম্পে বার্সিলোনা ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ওসাসুনাকে। কাতালানদের জয়ে জোড়া গোল করে ফের নায়ক বনে গেছেন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। ম্যাচটির আগে মেসিকে সম্মান জানানো হয় ৫০০ গোলের মাইলফলকের জন্য। এল ক্লাসিকোতে রিয়ালের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে বার্সার জার্সিতে এই কীর্তি গড়েন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। যে কারণে ভক্তরা তাকে শ্রদ্ধা জানান। একই রাতে অধিনায়ক সার্জিও রামোস, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, করিম বেনজামা ও গ্যারেথ বেলকে ছাড়া বিশাল জয় পেয়েছে রিয়াল। এ্যাওয়ে মাচে স্বাগতিক ডিপোর্টিভো লা করুনাকে ৬-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে জিনেদিন জিদানের দল। রিয়ালের জয়ে জোড়া গোল করেন জেমস রড্রিগুয়েজ। ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বার্সা। সমান পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রিয়াল। এখন লীগে বার্সার চার ও রিয়ালের পাঁচটি ম্যাচ বাকি আছে। আগের ম্যাচে রিয়ায়কে হারিয়ে বার্সিলোনা এখন চনমনে। তাদের আটকে রাখার সাধ্য কি আছে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা ওসাসুনার। কাতালানদের সামনে রীতিমতো খড়কুটার মতো উড়ে গেছে নিচের সারির এই দলটি। মেসি ছাড়াও আন্দ্রে গোমেজ আর পাকো আলকাসের জোড়া গোলে বড় জয় পায় তারা। ন্যুক্যাম্পে শুরু থেকেই ওসাসুনাকে চেপে ধরে বার্সিলোনা। আক্রমণের ফলটাও দ্রুতই পেয়ে যায় দলটি। ১২ মিনিটে দারুণ এক গোল করে দলকে লিড এনে দেন মেসি। এরপর ৩০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গোমেজ। বিরতি থেকে ফিরেই গোল ব্যবধান কমায় ওসাসুনা। রবার্টো টোরেসের দুর্দান্ত ফ্রিকিক বাতাসে ভেসে জড়িয়ে যায় বার্সার জালে। এরপর অবশ্য আর কোন সুযোগ পায়নি ওসাসুনা। একের পর এক গোল করে গেছে বার্সা। ৫৭ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন গোমেজ। চতুর্থ গোলটিও করেন। ৬৪ মিনিটে টুরানের বাড়ানো বলে গোল করেন আলকাসের। তিন মিনিট পর পেনাল্টি পায় বার্সিলোনা। পেনাল্টি নেয়ার সুযোগ দেয়া হয় জ্যাভিয়ের মাশ্চেরানোকে। আর স্পট কিক থেকে বার্সার হয়ে ক্যারিয়ারে প্রথম গোল করেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার। বার্সার জার্সি গায়ে এর আগে গোল যে করেননি তা কিন্তু নয়। পাঁচটি গোল করেছেন, কিন্তু সবকটি নিজেদের জালে। ৭ বছর আর ৩১৯ ম্যাচ পর অবশেষে বার্সিলোনার জার্সিতে প্রতিপক্ষের জালে গোল করলেন মাশ্চেরানো। ২০১০ সাল থেকে বার্সার হয়ে খেলছেন তিনি। ১৯৪তম ম্যাচে এসে করলেন নিজের প্রথম গোল। ম্যাচ শেষে বার্সা কোচ লুইস এনরিকে বলেন, আমাদের সামনে সুযোগ ছিল আরও কিছু খেলোয়াড়কে পরখ করে দেখার। এই ধরনের ম্যাচ সাধারণত অনিয়মিত খেলোয়াড়দের আরও বেশি উজ্জীবিত করে তোলে। বিশেষ করে দলের সবাই যেদিন ভাল খেলে সেদিন কোচ হিসেবে নিজেকেও বেশ নির্ভার মনে হয়। মৌসুমের শেষে এসে সত্যিকার অর্থেই আমি বেশ আশাবাদী হয়ে উঠেছি। ডিপোর্টিভোর মাঠে শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে রিয়াল। প্রথম মিনিটেই গোলের সূচনা করেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার আলভারো মোরাটা। ম্যাচের তখন মাত্র ৫৩ সেকেন্ড। ১৪ মিনিটে গোল করেন জেমস রড্রিগুয়েজ। ১৭ মিনিটে অফসাইডের কারণে বাতিল হয় মোরাটার গোল। ৩২ মিনিটে গোলের আরেকটি সহজ সুযোগ মিস করেন এই স্ট্রাইকার। ৩৪তম মিনিটে এক গোল পরিশোধ করে লা করুনা। প্রায় ফাঁকা জায়গায় বল পেয়ে রিয়ালের জালে জড়িয়ে দেন ফ্লোরিন আন্ডোনে। ৪৪ মিনিটে ভারকুয়েজের গোলে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় রিয়াল। দ্বিতীয়ার্ধে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে রিয়াল। ৬৬ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন রড্রিগুয়েজ। ৭৭ মিনিটে রিয়ালের হয়ে গোল করন ইস্কো। ৮৪ মিনিটে ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি পায় লা করুনা। গোল করেন জোসেলু। তবে ৮৭ মিনিটে কাসেমিরোর গোলে রিয়ালের বড় জয় নিশ্চিত হয়। এই নিয়ে টানা তিনটি এ্যাওয়ে ম্যাচ জিতলো রিয়াল। ম্যাচ শেষে রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদান বলেন, একজন কোচের জন্য এটা বেশ কঠিন কাজ। খেলোয়াড়রা যেভাবে খেলেছে হতে পারে পরের ম্যাচেই তাদের আমার একাদশের বাইরে রাখতে হচ্ছে। আমি জানি আমার দলে দারুণ কয়েকজন খেলোয়াড় আছে।
×