ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আটিবাজার কলাতিয়া খাল অবৈধ দখলে

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ১৮ এপ্রিল ২০১৭

আটিবাজার কলাতিয়া খাল অবৈধ দখলে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ, ১৭ এপ্রিল ॥ বুড়িগঙ্গা নদীর বৃহৎ আটিবাজার সংযোগ খালটির উভয় তীর প্রভাবশালীদের অবৈধ দখলে চলে গেছে। খোলামোড়া বাজার থেকে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে উৎপত্তি খালটি আটিবাজারের পর ভরাট করায় কলাতিয়া পর্যন্ত খালের পানি প্রবাহ বন্ধ রয়েছে। এতে জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে অবৈধ আরও ডজন খানেক খালের দখল মুক্ত করার অভিযান ভেস্তে যেতে বসেছে। আটি খালের ভাঙ্গাবাড়ি এলাকার দক্ষিণ পাড়ে কয়েকটি হাউজিং কোম্পানি তীর দখল করে প্লট আকারে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, অধিকাংশ জামায়াত নেতা ভুয়া দলিল দস্তাবেজ তৈরি করে নিরীহ লোকদের কাছে বিক্রি করে তাদের পথের ফকির বানিয়েছে। ভূমিদস্যুরা হলো জামায়াত নেতা শাহজাহান মাস্টার, সালাহউদ্দিন, রাজু, নূর হোসেন, আঃ রশিদ, বাবুল ও ফিরোজ। এ বিষয়ে স্থানীয় দক্ষিণ বালুচরের মহিউদ্দিন জানান, আটি খালের ভাঙ্গাবাড়ি সংলগ্ন খালের তীর বিক্রি করে শাহজাহান মাস্টার কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছে। এর সঙ্গে সালাহউদ্দিন, রাজু, ফিরোজ, বাবুল, রশিদ গংরা প্লট আকারে জমি বিক্রি করছে। এ সব জমি অবৈধভাবে দখল করে এলাকা মগের মুল্লুকে পরিণত করেছে। দক্ষিণ বালুচরের হানিফ জানান, ছোটবেলা থেকে এই খালে গোসল করেছি। মাছ ধরেছি। খালের পানি খেয়েছি। বর্তমানে খাল ছোট হয়ে গেছে। পানি পান করা তো দূরে থাক কুলি করা বা ওজু করাও যায় না। আনোয়ার হোসেন জানান, প্রভাবশালীরা খালের তীর দখল করায় খাল ছোট হয়ে গেছে। পানিতে দুর্গন্ধ। কোন মাছ নেই। এছাড়া বৃষ্টির দিনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে আটি বাজার থেকে মধুসিটিসহ একাধিক হাউজিং কোম্পানি খাল ভরাট করে প্রকাশ্যে প্লট আকারে বিক্রি করছে। এতে ওই এলাকার ১৪/১৫টি খালের পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। আগামী বর্ষা মৌসুমে এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আজ বড়াইবাড়ী দিবস স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ আজ ঐতিহাসিক বড়াইবাড়ী দিবস। ২০০১ সালের এই দিনে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কোন কারণ ছাড়াই অতর্কিতে ঢুকে পড়ে দ্বিপক্ষীয় সীমানার-১০৬৭/৩ পিলার অতিক্রম করে রৌমারী উপজেলার বাংলাদেশ ভূখ-ে বড়াইবাড়ী তৎকালীন বিডিআর ক্যাম্পসহ আশপাশের গ্রাম দখলের চেষ্টা করে এলোপাতাড়ি গুলি করে। কিন্তু গ্রামবাসীর তীব্র প্রতিরোধ আর বিডিআর জওয়ানদের প্রতিরোধের মুখে বিএসএফ পিছু হটে। এ সময় বিএসএফ ও বিডিয়ারের গুলিতে শহীদ হন তিন বিডিআর জওয়ান ও ১৬ বিএসএফ সদস্য। এই দিনটি আজও স্মরণ করে বিজিবি এবং বড়াইবাড়ী গ্রামের মানুষ। আজ স্মৃতিসৌধে পতাকা উত্তোলন এবং দোয়াসহ মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার দিন ভোর ৫টার দিকে সীমান্তের ওপার থেকে আসা ভারি অস্ত্রে সজ্জিত বিএসএফ, স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক লাল মিয়াকে সামনে পেয়ে বড়াইবাড়ী বিডিআর ক্যাম্পের কথা জানতে চাইলে তিনি ক্যাম্পসদৃশ্য প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে দেন। বিএসএফ বৃষ্টির মতো গুলি ছুড়তে ছুড়তে এগুতে থাকে সেদিকে। এর ফাঁকে লাল মিয়া দৌড়ে বড়াইবাড়ী ক্যাম্পের বিডিআর জওয়ানদের এ কথা জানান, বিডিআর জওয়ানরা তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় গ্রামবাসীরা। এ সময় বিএসএফের গুলিতে শহীদ হন ৩৩ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের সৈনিক ল্যান্সনায়েক ওয়াহিদ মিয়া ও সিপাহী মাহফুজ, ২৬ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের সিপাহী আবদুল কাদের। বিএসএফ অফিসারসহ ১৬ জন মারা যায়। দুজন বিএসএফকে জীবিত ফিরিয়ে দেয়া হয়।
×