ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রমঘন বিড়িশিল্প আজ হুমকির মুখে

প্রকাশিত: ০৩:৫০, ১৬ এপ্রিল ২০১৭

শ্রমঘন বিড়িশিল্প আজ হুমকির মুখে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বৈষম্যমূলক শুল্কনীতি এবং প্রাক-বাজেট আলোচনায় বিড়িশিল্পবিরোধী বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিড়ি শিল্প মালিক সমিতি। সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কুটিরশিল্প হিসেবে যে বিড়িশিল্প শুল্কমুক্তভাবে পথচলা শুরু করেছিল তা আজ বিশেষ গোষ্ঠীর সহায়তায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত নদী ভাঙ্গন ও দারিদ্র্যপীড়িত গ্রামবাংলার লাখ লাখ হতদরিদ্র শ্রমিক আজ বেকার হয়ে পড়েছে, যার অধিকাংশই স্বামী পরিত্যক্তা বোবা ও পঙ্গু নারী শ্রমিক। রাজধানী ঢাকায় অস্থায়ী কার্যালয়ে সম্প্রতি বিড়িশিল্প মালিক সমিতির এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিড়িশিল্প মালিক সমিতির সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ দে। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনÑ সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিউদ্দীন, রংপুরের বিড়িশিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মজিবুর রহমান ও সেক্রটারি সাখাওয়াত ইসলাম ঝন্টু, বগুড়ার বিড়িশিল্প মালিক সমিতির সভাপতি শরীফুল ইসলাম, শেরপুরের বিড়িশিল্প মালিক সমিতির সভাপতি ইদ্রিছ মিয়া। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ, কিশোরগঞ্জের বিড়িশিল্প মালিক সমিতির সভাপতি, সেক্রেটারি ও অন্য নেতৃবৃন্দ। প্রতিবাদ সভায় এনজিও প্রতিনিধিদের প্রাক-বাজেট আলোচনায় বিড়িশিল্প নিয়ে উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদ জানানো হয়। বিড়িশিল্প মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, বিড়িশিল্প নিয়ে এ ধরনের বক্তব্যে আমরা হতাশ হয়েছি। সিগারেট ও বিড়ি সহগোত্রীয় পণ্য হওয়া সত্ত্বেও বিড়ির প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ অত্যন্ত দুঃখজনক এবং শ্রমঘন বিড়িশিল্পের জন্য হুমকিস্বরূপ। এছাড়া শুল্কের মাধ্যমে সিগারেটে আনুকূল্য দেয়া এবং বিড়িতে অধিক পরিমাণে শুল্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে অসম ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করা হয়েছে, যা সরকারের নীতির পরিপন্থী। বিড়িশিল্প মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ এ ধরনের বক্তব্য প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছেন।
×