ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাপক সাড়া

‘রাজস্ব হালখাতা’ উৎসব আমেজে

প্রকাশিত: ০৭:৪৮, ১৪ এপ্রিল ২০১৭

‘রাজস্ব হালখাতা’ উৎসব আমেজে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করদাতাদের বকেয়া পরিশোধে উদ্বুদ্ধ করতে প্রথমবারের মতো সারাদেশে একযোগে ‘রাজস্ব হালখাতা’ পালন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। হালখাতা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রতিটি কর অফিসে ছিল উৎসবের আমেজ। দিনটিতে করদাতা ও অংশীজনসহ সর্বসাধারণের পদাচারণায় মুখরিত ছিল প্রতিটি সার্কেল অফিস। কর অফিসে উপস্থিত হয়ে বৃহৎ কারদাতারা তাদের বকেয়া কর পরিশোধ করেছেন। কেউ কেউ দিয়েছেন অগ্রিম কর। ‘বকেয়া কর আদায় নয়, পরিশোধ’Ñ সেøাগানে পালিত রাজস্ব হালখাতায় আমন্ত্রিত অতিথিদের মিষ্টি, বাতাসা, সন্দেশ, মুরালি, নিমকীসহ লোক ঐতিহ্যের বাহারী পদ দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। খাবার পরিবেশিত হয় মাটির সানকিতে। রাজস্ব হালখাতার সবচেয়ে বড় উৎসবমুখর আয়োজন ছিল বৃহৎ করদাতা ইউনিটে (এলটিইউ)। এখানে মূল ভবনে ঢুকতেই চোখে পড়ে বিশালাকৃতির হাতির শুঁড় দিয়ে সাজানো গেট। চৈত্রসংক্রান্তিতে এ ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে চোখে পড়ে বৈশাখী সাজ। এদিকে প্রথমবারের মতো পালিত রাজস্ব হালখাতায় বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) আয়কর আদায়ের পরিমাণ ২৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এ প্রসঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, রাজস্ব আহরণে রাজস্ব হালখাতা আমাদের নতুন উদ্যোগ। সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নে এটি অত্যন্ত কার্যকর। করদাতাদের বকেয়া পরিশোধ করার জন্য আমরা সময় দিয়েছি। হালখাতা করেছি। এরপরও যারা নির্দিষ্ট সময়ে কর পরিশোধ করবেন না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। হালখাতায় রাজস্ব আদায় প্রসঙ্গে বৃহৎ করদাতা ইউনিটের উপ কর কমিশনার মাসুদুল করিম ভূঁইয়া জনকণ্ঠকে বলেন, হালখাতায় এলটিইউর আয়কর আদায়ের পরিমাণ ২৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। তিনি বলেন, রাজস্ব হালখাতা এনবিআরের নতুন উদ্ভাবনী। নতুন ধরনের ধারণা প্রবর্তন করে এনবিআর বাঘের রূপ পরিবর্তন করেছে। তাই ব্যবসায়ীরাও বার বার এনবিআরে আসছে। এ ধরনের নিত্য নতুন উদ্ভাবনীকে স্বাগত জানাই, যা ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিশ্বস্ততা তৈরি করবে। তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল এনবিআর গঠনের ফলে কর ফাঁকির সুযোগ কমেছে। এদিকে বৃহৎ করদাতা ইউনিটের মতো প্রতিটি কর অফিসেই উৎসব মুখর পরিবেশে রাজস্ব হালখাতা পালিত হয়েছে। প্রতিটি কর অফিসই করদাতাসহ সর্বসাধারণের মিলনমেলায় পরিণত হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উৎসবের রঙে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়ন রাজস্ব সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
×