ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

যৌতুক ॥ সাতক্ষীরায় গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ৮ এপ্রিল ২০১৭

যৌতুক ॥ সাতক্ষীরায় গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ সাতক্ষীরায় যৌতুকের দাবিতে এক সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। লাশ হাসপাতালে ফেলে রেখে পাষ- স্বামী পালিয়ে গেছে। শুক্রবার ভোরে সাতক্ষীরা সদরের পলাশপোল এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত গৃহবধূ ইয়াসমিন হোসেন টুম্পা (২০) পলাশপোল গ্রামের মামুনুর রশিদের মেয়ে। নিহতের চাচা ইব্রাহিম হোসেন মধু জানান, দুই বছর আগে তার ভাইজির সঙ্গে পুরাতন সাতক্ষীরার মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে ফারুখ হোসেনের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। ফারুখ স্ত্রী সন্তান নিয়ে পলাশপোল এলাকায় ভাড়া থাকত। ফারুখ নেশাগ্রস্ত ছিল। যৌতুকের জন্য প্রায়ই সে স্ত্রীকে মারধর করত বলে জানায় তার বাবা। অভাবী ভ্যানচালক পিতা মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ফারুখ তার স্ত্রীকে নির্যাতন করে। রাত দুইটার সময় ফারুখ তার শ্বশুরকে ফোন করে জানায়, আপনার মেয়ে অসুস্থ তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। শ্বশুর বাড়ির লোকজন জামাইয়ের বাড়িতে গিয়ে কাউকে না পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পায় টুম্পার লাশ হাসপাতাল মেঝেতে পড়ে আছে। লাশের পাশে কেউ নেই। এরপর তারা জামাইকে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। গাজীপুরে সড়কে লাশ ফেলে পলায়ন স্টাফ রিপোর্টার গাজীপুর থেকে জানান, কালিয়াকৈরে শুক্রবার চলন্ত মাইক্রোবাস থেকে এক গার্মেন্টস কর্মীর লাশ মহাসড়কে ফেলে পালিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতের নাম সাহেদুল ইসলাম (৩৫)। রংপুরের উত্তরখলিয়া পূর্বপাড়া এলাকার মৃত আছিম উদ্দিনের ছেলে সাহেদুল কালিয়াকৈরের পল্লীবিদ্যুত এলাকায় ভাড়া থেকে স্থানীয় ইন্টারস্টপ কারখানায় চাকরি করতেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কালিয়াকৈরের চন্দ্রা ফরেস্ট অফিসের সামনে একটি মাইক্রোবাস থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে এক ব্যক্তির লাশ ফেলে চন্দ্রার দিকে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়রা ওই লাশ উদ্ধার করে চন্দ্রা মোড় এলাকার হাইওয়ে পুলিশের কাছে নিয়ে যায়। এ সময় লাশের সঙ্গে থাকা মোবাইলের সূত্র ধরে তার পরিচয় পাওয়া যায়। দিনাজপুরে পোড়া গৃহবধূর লাশ স্টাফ রিপোর্টার দিনাজপুর থেকে জানান, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় হাত-পা পোড়া কপোতি রানী চৌধুরী নামে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই গৃহবধূর স্বামী, সতীন ও সতীনের ছেলেকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ফুলবাড়ী পৌরসভার সুজাপুর গ্রামের রাস্তার ধারে একটি বাঁশঝাড় থেকে হাত-পা ভাঙ্গা ও পোড়া অবস্থায় মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত কপোতি রানী সুজাপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক সাধনা নন্দন চৌধুরীর স্ত্রী। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সকালে এলাকাবাসী বাঁশঝাড়ে পোড়া মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে। স্থানীয়রা জানায়, কপোতি রানীর স্বামী সাধনা নন্দন চৌধুরী প্রায় ২৫ বছর আগে আরও একটি বিয়ে করেছেন। প্রথম বিয়ের ৪ বছরের মাথায় তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী প্রতিমা রানীকে নিয়ে আলাদাভাবে সংসার পরিচালনা করেন। দাম্পত্য কলহ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কপোতি রানীর সঙ্গে তাদের বিবাদ লেগে ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কপোতি রানী তার স্বামী সাধনা নন্দন চৌধুরীর পৌর বাজারের ননীগোপাল মোড়ে চেম্বারে গেলে সেখানে দ্বিতীয় স্ত্রী প্রতিমা রানী ও তার ছেলে আকাশ নন্দন চৌধুরীর সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদের ঘটনা ঘটে। এরপরে আর কপোতি রানী বাড়িতে ফিরে আসেনি। চাঁপাইয়ে কলেজ ছাত্র স্টাফ রিপোর্টার চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে জানান, গোমস্তাপুর উপজেলার বসনিটোলা গ্রাম থেকে শুক্রবার সকালে এক কলেজ ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত কলেজ ছাত্র একই উপজেলার বসনিটোলা গ্রামের লালমোহাম্মদের ছেলে মাসুদ রানা (২১)। সে শিবগঞ্জ আদিনা কলেজের অনার্সের ছাত্র ছিল। পুলিশ জানায়, কলেজ ছাত্র মাসুদ রানার সঙ্গে চামাভাষা গ্রামের আমিনুল ইসলামের মেয়ে বসনিটোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী জয়তুন খাতুনের (১৬) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে জয়তুন ফোন করে ওই ছেলেকে তাদের বাড়িতে ডাকে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে মাসুদ রানা অসুস্থ বলে তার পরিবারকে জানায় জয়তুনের বাড়ির লোকজন। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে তারা মৃত দেখতে পায়। নওগাঁয় যুবক নিজস্ব সংবাদদাতা নওগাঁ থেকে জানান, শুক্রবার সকালে নওগাঁয় নির্মাণাধীন একটি ফাঁকা বাড়ির ছাদে গলায় রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, উদ্ধারকৃত মরদেহটি সদর উপজেলার বলিহার ইউনিয়নের ফারাদপুর গ্রামের মৃত লইমুদ্দীনের ছেলে ও নওহাটামোড় চৌমাশিয়া বাজারের মেসার্স হক ফিলিং স্টেশনের যানবাহনে তেলদেয়া শ্রমিক রুবেল আলীর (৩০)। তার নিজ বাড়ি ফারাদপুর গ্রামের জনৈক সাত্তারের নির্মাণাধীন ফাঁকা বাড়ির ছাদে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা থানায় সংবাদ দেয়। কালকিনিতে গৃহবধূ নিজস্ব সংবাদদাতা, কালকিনি (মাদারীপুর) থেকে জানান, কালকিনিতে পারিবারিক কলহের জের ধরে ডলি বেগম (৪৮) নামের এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সে রমজানপুর এলাকার চড়পালরদি গ্রামের জাকির হাওলাদারের স্ত্রী। শুক্রবার সকালে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা যায়। জানা গেছে, ডলি বেগম পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার স্বামী জাকির হাওলাদারের সঙ্গে সকালে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। এর জের ধরে অভিমান করে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেন। লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূ নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর থেকে জানান, জেসমিন আক্তার মোহলি (৩০) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রাম থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। মোহলি চরমনসা গ্রামের দৃষ্টিহীন রাশেদের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী। স্থানীয়রা জানায়, সিরাজ নামে এক ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়ে দেন চরমনসা গ্রামের মোহলি ও তার স্বামী রাশেদ। লোন নিয়ে দেয়ার কিছুদিন পর সিরাজ পালিয়ে যায়। তখন থেকে লোন পরিশোধের টাকা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার মীমাংসা করে দেন প্রতিবেশীরা। বৃহস্পতিবার রাতেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ হয়। পরে রাশেদের চাচাত ভাই মোশারফসহ কয়েকজন তাদের ঝগড়ার মীমাংসা করে দেয়। এই ঝগড়া-বিবাদের জের ধরে রাতে কোন একসময় মোহলি ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
×